পূর্ণিমার চাঁদটা ভেসে আছে বিরাট একটা গোল থালার মতো। একটা শিশুগাছের ডালের কয়েকটা পাতার ছায়া আঁকাবাঁকা হরিণের শিং-র মতো জেগে আছে চাঁদের বুকে। একটা প্যাঁচা কোনদিক থেকে এসে বসল শিশুগাছের ডালটায়। হরিণের শিং টা কেঁপে গেল কয়েক মুহূর্তের জন্য। নরম জ্যোৎস্নায় ভিজে গেছে চারপাশের গাছপালা, ঘরবাড়ি। প্যাঁচাটা সেদিকে একবার তাকিয়ে ডাক ছাড়ল- ভুতুম থুম! ভুতুম থুম!
জ্যোৎস্নার আলোটা একটু দূরে গিয়ে ধাক্কা খেয়েছে মাঠের মধ্যে জেগে থাকা বাড়িটায়। জ্যোৎস্নাটা ভেবেছিল, দোতলার জানলা দিয়ে ঢুকবে। কিন্তু ইলেকট্রিকের আলো দেখে সাহস পায়নি। অগত্যা অপেক্ষা করে আছে, কখন লোডশেডিং হয়!
ঘরের মেঝেতে মাদুর পাতা। ছেলেটা খালি গায়ে আপন মনে পড়ছে দুলে দুলে-
কুমোর পাড়ার গোরুর গাড়ি-
বোঝাই- করা কলসি- হাঁড়ি।
গাড়ি চালায় বংশীবদন,
সঙ্গে- যে যায় ভাগ্নে মদন।
প্যাঁচাটা আরেকবার ডাকতে যাচ্ছিল, ছড়ার সুর শুনে থমকে গেল। সত্যিই তো! এতো কিছু যানবাহন চোখে পড়ে রাস্তাঘাটে, গোরুর গাড়ি তো কই বড় একটা চোখে পড়ে না আজকাল। রাতের বেলা অবরেসবরে ট্রেনের ছাদে চেপেছে, নাইট সার্ভিস বাসে সওয়ার হয়েও গেছে কতো দূর দূর। কিন্তু… কিন্তু… গোরুর গাড়ি তো চাপা হয়নি কখনো। একবার তো চাপা দরকার । ভাবতেই কেমন যেন একটা অ্যান্টিক অনুভূতি হচ্ছে!
ছেলেটা ওদিকে পড়েই যাচ্ছে-
সর্ষে ছোলা ময়দা আটা
শীতের র্যাপার নক্সাকাটা,
ঝাঁঝরি কড়া বেড়ি হাতা,
শহর থেকে সস্তা ছাতা।
প্যাঁচাটা সেইদিকে তাকিয়ে একবার ভাবল। গোরুর গাড়িতে চাপার ইচ্ছেটা ক্রমশঃ প্রবল হচ্ছে। কী করা যায়? কী করা যায়? প্যাঁচাটা দুই চোখের কল্পিত ভুরু এক করে ভাবতে থাকে।
বেশ খানিকক্ষণ পরে প্যাঁচার মুখে অল্প হাসির আভাস দেখা যায়। এই তো, হাতের কাছেই দিব্যি সহজ সমাধান। সে হল গিয়ে প্যাঁচা, লক্ষ্মীপ্যাঁচা। খোদ মা লক্ষ্মীর বাহন। মুশকিল আসান তো তিনিই করবেন। ডানাদুটো জড়ো করে দু’চোখ বুজে প্যাঁচা প্রাণপণে স্মররণ করতে থাকে মা লক্ষ্মীকে-
“হ্যাঁ রে প্যাঁচা, বল্। হঠাৎ এই অসময়ে? দুর্গাপুজোর তো এখনও অনেক দেরি রে!”
“মা! মা গো! একটা নিবেদন আছে।”
“বলে ফ্যাল্, বলে ফ্যাল্ তাড়াতাড়ি। আমেরিকার ওরা এখন কল সেন্টারগুলোতে যোগাযোগ করছে। প্রচুর লেনদেনের ব্যাপার। খুব তাড়া আছে।”
“মা, মাগো! যদি অভয় দাও তাহলে তোমার চরণে বিনীত নিবেদন এই যে আমায় একটিবারের জন্য অন্ততঃ গোরুর গাড়ি চড়ার ব্যবস্থা করে দাও।”
“ক্কী? কী বললি? গোরুর গাড়ি? তোর কি মাথাটাথা খারাপ হয়ে গেল?”
“না গো, মা। আমি তোমার বাহন। আর তোমার বাহনকে একদিনের জন্য একটা বাহনের ব্যবস্থা করে দাও না মা!সে তুই বল্ না, কোন্ গাড়িতে চাপবি? রোলস রয়েস, মার্সিডিজ…। প্রাইভেট এরোপ্লেন বললে তাও নাহয় হয়ে যাবে। – দু’চারজন শিল্পপতিকে এক্ষুণি স্বপ্নাদেশ দিয়ে দিচ্ছি। মিগ টিগ যদি বলিস, সেটা একটু সমস্যা হবে। তবে হয়ে যাবে।”
“না মা, আমার আর অন্য কিছুই চাই না। ওসব ভারি গাড়িতে প্রচুর পরিবেশ দূষণ, বিস্তর জ্বালানী খরচ। আর এটা পুরোপুরি পরিবেশবান্ধব, জ্বালানী খরচের বালাই নেই। ইচ্ছেমতো মালগাড়ি হিসেবে ব্যবহার করতে পারো, আবার গাড়িভর্তি যাত্রীও নিয়ে যেতে পারো। একটা কিছু করো মা। আমি চাঁদনী রাতে ছইয়ের উপরে বসে ফুরফুরে হাওয়া খেতে খেতে যাবো।”
“ওটা করা তো আমার পক্ষে বেজায় মুশকিল রে। আচ্ছা, আমার একটা ফোন আসছে। পরে কথা হবে। বাই।”
প্যাঁচা মুষড়ে পড়ল বেজায়। মা লক্ষ্মীর ওপর যে বিন্দুমাত্রও ভরসা করা যাবে না, তা তো টিউবলাইটের আলোর মতোই পরিষ্কার। তাহলে? যাকগে! অন্যের উপর ভরসা না করে নিজের ডানায় বিশ্বাস রাখাই ভালো। পূর্ণিমার আলোয় ডানাদুটো মেলে উড়তে থাকে সে।
জ্যোৎস্নার হলুদমাখা আলোয় ঘুমন্ত নবনীপুর গ্রাম। গ্রামের বাইরে শিবমন্দির। গ্রামের বাইরে শিবমন্দির। অল্প জিরিয়ে নেবার জন্য শিবমন্দিরের চাতালে প্যাঁচা একটু বসে। আর তখনই চোখে পড়ে, সামনেই বিশাল বড়ো একটা গোয়াল। সারি সারি গোরু মোষ মেঝেতে শুয়ে ঘুমোচ্ছে যে যার মতো।
প্যাঁচাটা সামান্য উড়ে গিয়ে বসে একটা বাঁশের খুঁটির ওপর। কয়েকবার হাঁক দেয়- ভুতুম থুম! ভুতুম থুম!
একটা গোরুরও ঘুম ভাঙে না। প্যাঁচাটা তবু বসে থাকে, বসেই থাকে। সময় গড়াতে থাকে, গড়াতেই থাকে। আচমকা প্যাঁচাটার চোখ চলে যায় একদম শেষ প্রান্তের একটা গোরুর দিকে। লেজে একটা মশা সমানে ভনভন করায় গোরুটা ঘুমচোখে লেজ নেড়ে মশা তাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে যাচ্ছে।
প্যাঁচা গিয়ে গোরুর জাবনার জায়গার ওপর বসে। গলাটা যথাসম্ভব মোলায়েম করার চেষ্টা করে, ‘গোরুমহাশয়! ও গোরুমহাশয়!’
‘কে রে, অসময়ে ঘুমের ডিস্টার্ব করে?’, গোরুটা সত্যিই বিরক্ত।
‘এই যে আমি, প্যাঁচা।‘, নরম নরম গলা প্যাঁচার।
‘তুই আবার কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসলি?’, গোরুর গলায় রীতিমতো ঝাঁঝ।
‘রাগ করবেন না, স্যার। অপরাধ নেবেন না, স্যার’, প্যাঁচা ডানাদুটো জড়ো করে বুকের কাছে।
‘স্যার’ ডাকে গোরুটা একটু নরম হয় বুঝিবা। ঘুমজড়ানো গলায় বলে, ‘ঠিকাছে। ঠিকাছে। ক্ষমা করে দিলাম। ক্ষমাই গোরুর ধর্ম। এবারে বল্।’
-স্যার, বলছিলাম কী, আপনারা যখন বাইরে যান তখন কি গাড়ি নিয়ে যান?
– তুই ঠিক কী জানতে চাস বল্ তো?
– আসলে স্যার, আমি জানতে চাইছিলাম আপনি ড্রাইভারি করেন কিনা।
– ও! এই কথা! দ্যাখ, আমরা তো আজকের ড্রাইভার নই। কয়েক প্রজন্ম ধরেই ড্রাইভারি করছি। তবে কিনা, আমাদের গাড়িতে তো একজন ড্রাইভারে হয়না, দুজন লাগে। দুঃখের কথা কী আর বলি বল্, সেই কোন্ বাছুরবেলা থেকে গাড়ি চালাচ্ছি, আর এখন আমাকেই বসিয়ে রেখেছে।
– সে কী! বসিয়ে বসিয়ে মাইনে দিচ্ছে?
– না রে, পুরো বসায়নি। গাড়ি চালানো বাদে বাকি সব কাজই করতে হয়। তা তোর আসল মতলবটা কী ঝেড়ে কাশ দেখি।
– আসলে স্যার, আমার না গোরুর গাড়ি চড়ার খুব শখ। আপনি যদি একটু ব্যবস্থা করেন।
– তুই একটা জিনিস ভাব। আমি ডে শিফটে চাকরি করি। আর তুই ডিউটি করিস নাইট শিফটে। কী করে হবে বল্ তো?
-স্যার, আপনি একটু বিষয়টার গরুত্ব অনুধাবন করুন। আপনি দয়া না করলে যে পুরো ভেসে যাবো।
– দ্যাখ, দয়া করা না করা কি আমার হাতে? মালিককে বলে দেখতে পারিস। সে যদি মনে করে গাড়ি বের করবে, তাহলে চড়িস।
– ঠিক আছে, স্যার। কাল তাহলে ওঁর সঙ্গে দেখা করবো। আর যদি কিছু খবর থাকে, তাহলে জানাবেন।
ডানার এক ঝটকায় প্যাঁচা বেরিয়ে আসে গোয়ালঘর ছেড়ে। পেটটা টনটন করছে খিদেয়। মধ্যরাত্র ভোজনের সময় যে কখন পেরিয়ে গেছে খেয়ালই করেনি। আসার সময় অবশ্য নজরে পড়েছে, শিবমন্দিরের ওপাশের খামারটায় বিস্তর ইঁদুর আছে। চুপিসারে প্যাঁচা ঢুকে পড়ে খামারটার ভেতরে।
পরের রাত। প্রতিপদের জ্যোৎস্না পিচকিরি ছিটিয়ে যাচ্ছে আপন মনে। প্যাঁচা নিঃশব্দে ঢোকে মালিকের ঘরে। মাটির বাড়ির দোতলা। জানালার লোহার শিকের ফাঁক গলে চাঁদের আলো ঢুকছে। মালিকের মাথার কাছে খানিকটা জ্যোৎস্না কাত হয়ে পড়ে আছে। পাশের কুলুংগিতে নিঃসাড়ে গিয়ে বসে সে। কী বলবে দস্তুরমতো মহড়া দিয়ে এসেছে মনে মনে। মালিককে সে রাজি করাবেই করাবে। আলতো করে একটা হাঁক দেয়, ‘ভুতুম থুম! ভুতুম থুম!
সেই ডাকেই কিনা কে জানে, মালিকের ঘুম ভাঙে। কুলুঙ্গিতে রাখা জলের বোতলটা হাত বাড়িয়ে নিতে যায়। আর তখনই চোখ পড়ে কুলুঙ্গিতে বসে থাকা অতিকায় লক্ষ্মীপ্যাঁচার ওপর। আঁ-আঁ- আঁ করে মালিক ওখানেই ভির্মি খায়।
প্যাঁচা তাড়াতাড়ি বেরিয়ে আসে ঘর ছেড়ে। বলা যায় না, ভয় দেখানোর অপরাধে জেলে না ঢুকিয়ে দেয়!
কিছুতেই কিছু সুরাহা করা যাচ্ছে না। সেই গোরুটার কাছেও আরো বারকয়েক গেল সে। কিন্তু লাভের লাভ কিছুই হল না। আরো মুশকিল, চারদিকে কিভাবে যেন রটে গেছে তার গোরুর গাড়ি চড়ার শখের কথা। এই তো সে রাতে, দক্ষিণবাঁধের ধারে একটা জবরদস্ত পোকাকে ধরে সবে মুখে ঢোকাতে যাবে, এমন সময় পোকাটা নির্বিকার চিত্তে তার থাবায় বসে হাসতে হাসতে বলে-
নবনীপুরের গোরুর গাড়ি
প্যাঁচার সাথে করে আড়ি।
বেজায় চমকে পোকাটাকে তৎক্ষণাৎ ছেড়ে দিয়েছিল সে। উড়ে যেতে যেতে অনেক সময়েই টের পায়, আড়ালে আবডালে জেগে থাকা পাখিরা তাকে দেখে হাসছে, ‘ওই দ্যাখ, দ্যাখ, গোরুর গাড়ি যাচ্ছে। চাপবি?’ বড্ডো মানে লাগে তার তখন।
এর মধ্যে একদিন অবশ্য গোরুর গাড়ি বেরিয়েছিল। মালিকের কুমড়ো বিক্রি হয়নি কয়েকদিন। এমনিতে লোকে লরি নিয়ে এসে পাইকারি দরে মাল তুলে নিয়ে যায়। কিন্তু যে কোন কারণেই হোক, কয়েকদিন ধরে লরি ঢোকেনি। মালিক তাই জটনকে দিয়ে গাড়ি ভর্তি কুমড়ো পাঠাচ্ছিল সিমলাপালের বাজারে বিক্রির জন্য। প্যাঁচার বন্ধু গোরুটাকে জুতেছিল জটন। সংগে আর একটা পাটকিলে রঙের গোরু। সব মাল তোলা হয়ে গেলে আড়মোড়া ভেঙে উঠে দাঁড়াতে দাঁড়াতে বন্ধু গোরুটার মনে পড়েছিল প্যাঁচার কথা। ‘হাম্বা’ ‘হাম্বা’ করে বারকয়েক হাঁকও দিয়েছিল সে। কিন্তু প্যাঁচা তখন গভীরস্য গভীর দিবানিদ্রায় অভিভূত। গোরুর ডাক কানেই গেল না তার। রাতে এসে যখন শুনল সবকথা, তখন আফশোসের চোটে গোয়ালের এবড়োখেবড়ো মেঝেতেই ক্রমাগতঃ মাথা ঠুকতে থাকে সে।
দিন যায়, মাস যায়। প্যাঁচাটা প্রায় আশা ছেড়েই দিয়েছে। তবুও, অনেকটা নিয়মমাফিকই, মাঝেমধ্যে আসে গোরুটার কাছে-
‘কী গো গোরুদাদা, খবর আছে কিছু?’
‘না গো, কোন খবর নেই।’
তারপরে খানিকক্ষণ সুখদুঃখের গল্প করে প্যাঁচা বিদায় নেয়।
মালিকের বৌয়ের মাঝরাতে হঠাৎ করে খুব পেটব্যথা শুরু হয়েছে। অল্প সময়ের মধ্যেই গাঁ শুদ্ধু লোক জড়ো হয়ে গেল মালিকের বাড়িতে। সকলে একমত, এক্ষুণি সিমলাপালের ব্লক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে গিয়ে ভর্তি করতে হবে।
বললেই তো আর হয় না। নিয়ে যাবে কিসে? সাইকেলে বা বাইকে নিয়ে যাওয়া অসম্ভব। গাঁয়ে কারুরই চারচাকা নেই। এতো রাতে জোগাড় করাও চাট্টিখানি কথা নয়। জটন বলে, “বলি হ্যাঁ দাদা, ঝট করে গরুর গাড়িটা জুতব? বৌও যাতে পারবে, সাথে তুমিও। গাঁঘরের আরো লোক যাতে পারবে। তুমাদের জিনিসপত্রও তো, ধর কেন্নে, গাদা লিতে হবে। তুমি হঁ কর, আমি গাড়িটা লিয়ে আসি।”
জটন গাড়ি জোতার তোড়জোড় করতে থাকে। আগের জুটিটাই রাখে। ঘুমঘুম চোখে গোরুদুটো জটনের হুকুম তামিল করতে থাকে।
প্যাঁচা গোয়ালে ঢোকেইনি সেদিন। খামারে ঘুরঘুর করছে খাবারের খোঁজে। আচমকা চেনা গলা ভেসে আসে- হাম্বা-আ-আ-আ, হা- ম্বা- আ-আ-আ-আ। আরে, এই গোরুটা এমন অসময়ে ডাকে কেন? তড়িঘড়ি ডানা ঝাপটায় সে।
গোরুর গাড়ি পুরো তৈরি। গাড়ির ভেতরে ভালো করে খড়ের আঁটি পেতে তার উপর কাঁথা, লেপ, চাদর দিয়ে পুরু করে বিছানা করা হয়েছে। জিনিসপত্র নিয়ে ভেতরে গুছিয়ে বসেছে সবাই। গাড়ি রওনা দেবে, এমন সময় গাড়ির বাইরের লোকেদের চোখে পড়ে গাড়ির ছইয়ের ওপর অতিকায় এক লক্ষ্মীপ্যাঁচা। বয়স্করা বলে- ‘লক্ষ্মীপ্যাঁচা শুভলক্ষণ। তোর বৌ ভালো হয়ে ফিরবে রে!’
প্যাঁচার সেদিকে খেয়াল নেই। অন্যের কান বাঁচিয়ে নিজের মনে সে গুনগুন করে গান করছে-
নবনীপুরের গোরুর গাড়ি
বোঝাই করা রুগীর বাড়ি
গাড়ি চালায় শুঁটকো জটন
সঙ্গে যে যায় পেচক রতন।
পূর্ণিমার পথ। রাধাচূড়া ফুলের মতো হলুদ আলোয় ঝিকিয়ে উঠেছে মোরামের রাস্তা, আশপাশের গাছপালা। গাড়ির ছইয়ের উওপর গুরুগম্ভীর মেজাজে বসে আছে প্যাঁচা। তার এখন অনেক দায়িত্ব। একটা অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে আনতে হবে। আপনমনে সে ডেকে ওঠে- ‘ভুতুম থুম!’
……০……