আত্মারামের বিয়ে, কনে বিল্ববাসিনী। আগে আত্মারাম কনে দেখেনি। বাবা, মামা সম্বন্ধ করে ঠিক করেছেন। পাত্রী দেখে এসে বাবা বলেছিলেন, “আহাও নয়, ছিছিও নয়, চলনসই!” বরাসনে বসে থেকে আত্মারামের ঘুম পেয়ে গেল, কোমর কটমট। এক কাপ কড়া লিকার চা হলে বেশ হতো! বোশেখের শেষ রাতে লগ্ন। এখন খানা-পিনায় সব …
Read More »লোনাজলের আঁকিবুঁকি – রঘুনাথ মণ্ডল
শেষ হেমন্তের পড়ন্ত বেলা। চারিদিকে ছড়ানো পলকা হলদে রোদ – আছে কিন্তু থাকবে না গোছের। ওরা দুজনে বসেছিল পাড়ার চণ্ডীমণ্ডপের বাঁধানো চাতালে- সোশ্যাল ডিসট্যান্স মেনেই। অনঙ্গদা ও টগরপিসি। দু-একজন পাশ দিয়ে যেতে যেতে স্বভাব-ধর্মে বাঁকা চোখে তাকাচ্ছিল কিন্তু তেমন কিছু মনে করছিল না। আজ থেকে কুড়ি বছর আগে ওরা …
Read More »হেসে কেশে ভালোবেসে- সোমক সেনগুপ্ত
বড়, উন্নত শহর মানেই পেল্লাই সব বাড়ি। যেমন বই এর তাকে বই রাখা থাকে, তেমনই থরে থরে মানুষ সাজানো থাকে। কেউ পনেরো তলা, কেউ আঠারো তলা, মাটি থেকে কয়েকশো ফুট ওপরে পায়রার খুপরিতে সুখ-সারির বাসা। একরত্তি ব্যালকনিতে শুকোতে দেওয়া জামাকাপড় দেখে, বাসিন্দাদের সংখ্যা ও বয়স কিছুটা আন্দাজ করা …
Read More »স্মৃতি সততই শোকের – যশোব ন্ত্ বসু
ছবি – সোমক সেনগুপ্ত শেফালির বিয়ের কথাটা মনে পড়লেই নৃপেন্দ্রশেখরের মুখটা তেতো হয়ে যায়, মেজাজ গরম হয়ে ওঠে। প্রেমিকা শেফালি নৃপেনের সঙ্গে তাদের সাত বছর চার মাসের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে দুম করে সূর্য পালিতকে বিয়ে করে বসে। সূর্য পালিত সরকারি হাসপাতালে অর্ডার সাপ্লাই এবং পৌরসভার ঠিকাদারি করে। নৃপেন তখনও কাঠ …
Read More »