দুপদাপ পা ফেলে হাঁটছিল গণ্ডামণ্ডা। মেজাজটা তার বেশ খারাপ। গণ্ডারনি দিদিমণি মাঝেমাঝে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ডকারখানা করেন যে বলার নয়! হয়েছিল কী, গতকাল পাঠশালায় গণ্ডারনি দিদিমণি তাঁর খড়্গে ক্যাটকেটে বেগুনি রঙ করে তাতে আবার ইয়াব্বড়ো একটা নোলক ঝুলিয়ে এসেছিলেন! দোষের মধ্যে গণ্ডামণ্ডা খালি বলে ফেলেছিল, “দিদিমণি, ওই বেগুনি …
Read More »এমন একটি কবিতা লিখতে চাই – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী
আমি দেখেছি অনেক ঘটনা, শুনেছি অনেক কিছু কিন্তু চুপ করে থেকেছি – বলিনি একটি কথাও সত্যকে বার বার অস্বীকার করেছি অজানা বিপদের আশঙ্কায় এভাবে ভেতরের মানুষটাই হয়তো মরে গেছে কবে, তবু আজ এমন একটি কবিতা লিখতে চাই যা শব্দের কৌশল নয় – আসলে ঝরা সময়ের গান। আমি সচরাচর অপ্রিয় …
Read More »ম্যাকব্রুম সত্য কথা বলে – অনুবাদে নূপুর রায়চৌধুরী (মূল গল্পঃ সিড ফ্লাইসম্যান)
ম্যাকব্রুমের চমৎকার এক একর খামার সম্পর্কে এত বেশি বোকাবোকা অর্থহীন কথা বলা হয়েছে যে, আমাকে ব্যাপারগুলো খোলসা করতেই হচ্ছে । আমি ম্যাকব্রুম । জশ ম্যাকব্রুম । তরমুজগুলো সম্পর্কে আমি এক মিনিটের মধ্যেই ব্যাখ্যা করব। ঘটনাগুলো …
Read More »নব বরষে রঙ্গ বরষে – সোমক সেনগুপ্ত
শিল্পী সোমক সেনগুপ্তের অনবদ্য তুলির জাদুতে ‘উতলধারা’ পরিবারের পক্ষ থেকে সকলকে জানাই নতুন ১৪৩১ সালের একরাশ শুভকামনা-
Read More »মেয়েলি – মৌসুমী পাত্র
ঢং ঢং করে স্কুলের ঘন্টাটা শেষ অব্দি পড়েই গেল। হাঁফাচ্ছে কুহেলি, প্রাণপণে দৌড়োচ্ছে স্কুলে যাবার গড়ানে রাস্তা ধরে। এইটুকুনি রাস্তা এতটা দূর হয়! এপাশের বাড়ির পলাশ গাছটা থেকে দুটো পলাশফুল সামনেই মাটিতে পড়ল। হাতে সময় থাকলে ঠিক কুড়িয়ে নিত। আজ… ইসস! বাচ্চাগুলো বেরোতে শুরু করেছে। হাঁফাতে হাঁফাতেই কুহেলি পৌঁছোল …
Read More »যেতে যেতে – মৌসুমী পাত্র
ক্লান্ত ছিল বছর যে এক ভালো লাগা কোথাও এক মুঠ, বাদলা-মন মনখারাপের মেঘে- জলের ফোঁটা আলগা দে- ছুট! ক্লান্ত ছিল বছর যে এক, উতল দিনে বেরঙ সাদা-কালো আখরে কথা ফুটবে বলেছিল, সময় তাকে কে দেয়, বলো? হাওয়া কবে উড়বে এলোমেলো ভাসিয়ে দিয়ে উধাও স্রোতে পাড়ি- ক্লান্ত বছর বোঝেনি সে-সব কথা, …
Read More »হাসান- নামা – রঘুনাথ মণ্ডল
লোকটা ফস্ফস্ করে বিড়ি ফুঁকছিল। আমাকে দেখে মুখের বিড়িটা ফেলে দিয়ে বলল, “বাবু, ভালো আছেন?” চল্লিশ- বিয়াল্লিশ বয়স, ভাঙাচোরা এলোমেলো চেহারা, মুখে রুখো দাড়ি। রাস্তার পাশের বাড়িতে রাজমিস্ত্রীর যোগাড়ের কাজ করছে। আমার স্মৃতিশক্তি চিরকালই কমজোরি। হাঁ করে তাকিয়ে থাকা দেখেই লোকটি আবার বলে, “বাবু, আমি হাসান। টিনভাঙা, লোহাভাঙা, প্লাস্টিক …
Read More »মিলনের পরে – নির্মাল্য ঘরামী
সেই ঘরটির দিকে যেতে যেতে অমিয়বাবুর আজ মনে পড়ে যাচ্ছিল সৌরীনের কথাগুলো, -একজন সফল সাহিত্যিককে বড় মাপের অসৎ হতেই হবে। -কেন? হতবাক অমিয়বাবু হাতের বইটা থেকে মুখ তুলে জিজ্ঞেস করেছিলেন, -কোন মাপকাঠিতে? -সমাজের মানদণ্ডে। সংক্ষেপে বলেছিল সৌরীন। অমিয়বাবু এত ছোট উত্তর আশা করেন নি। থুতনিতে হাত রেখে কিছুক্ষণ …
Read More »স্বীকারোক্তি- ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য
আজই ফোনটা ডেলিভারি দিয়ে গেলো। অনলাইনে একবার দেখেই ভারি পছন্দ হয়ে গেছিল সমীর রায়ের। অনেকদিন ধরেই শখ ছিল এমন একটা অ্যান্টিক লুকের হ্যান্ডসেট কেনার। লেখক মানুষ। পছন্দগুলোও বেশ একটু কেতাবি ধরনের। বৈঠকখানা ঘরে গ্র্যান্ড ফাদার ক্লকের পাশেই যে মেহগনি কাঠের তেপায়াটা আছে তারই ওপর রাখলেন ফোনটা। টেলিফোন কোম্পানীতে …
Read More »বিস্মৃত ব্যক্তিত্ব রথীন্দ্রনাথ : বহুমুখী প্রতিভার নিভৃত বিচ্ছুরণ – রঞ্জন চক্রবর্ত্তী
রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর ছিলেন বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী একজন অশেষ গুণসম্পন্ন মানুষ। সারা জীবন তিনি নিরলসভাবে দক্ষতার সঙ্গে বিভিন্ন কাজ করে গেছেন, কিন্তু তা করেছেন নীরবে এবং লোকচক্ষুর আড়ালে। নিজের জীবনচর্যায় রথীন্দ্রনাথ বরাবরই পিতা রবীন্দ্রনাথের একনিষ্ঠ অনুগামী ছিলেন। একদা নিজের জন্মদিনে নগেন্দ্রনাথ গঙ্গোপাধ্যায়কে একটি চিঠিতে তিনি লিখেছিলেন — “বাবাকে যত …
Read More »