Tag Archives: মৌসুমী পাত্র

বৃষ্টি নামে মেঘলা দিনে        রথের ঠিকানায়- মেলা শেষে খোকাখুকু          ফিরছে পায় পায়।   পাঁপড় খেল খোকাবাবু           জিলিপি খেল খুকু- কচি কচি মুঠোয় ধরা         খুশির রেশ টুকু।

পূর্ণিমার চাঁদটা ভেসে আছে বিরাট একটা গোল থালার মতো। একটা শিশুগাছের ডালের কয়েকটা পাতার ছায়া আঁকাবাঁকা হরিণের শিং-র মতো জেগে আছে চাঁদের বুকে। একটা প্যাঁচা কোনদিক থেকে এসে বসল শিশুগাছের ডালটায়। হরিণের শিং টা কেঁপে গেল কয়েক মুহূর্তের জন্য। নরম জ্যোৎস্নায় ভিজে গেছে চারপাশের গাছপালা, ঘরবাড়ি। প্যাঁচাটা সেদিকে একবার তাকিয়ে …

আমার মা বেজায় দুষ্টু হয়েছে আজকাল। একটা কথাও শুনতে চায় না। এই তো পরশুদিন, বললাম, মা, আইসক্রিম খাবো। কিনেই দিলো না। উলটে বলল, তোর না গত সপ্তাহে সর্দিজ্বর হয়েছিলো! বোঝো ঠ্যালা! গত সপ্তাহে জ্বর হয়েছিলো বলে এ সপ্তাহেও আইসক্রিম পাবো না! তারপরে এই তো গতকালই, বললাম টফি কিনে দিতে। তাও …

“যত্ত সব আদ্যিকালের জিনিস নিয়ে কাজকারবার! আর পারা যায় না বাপু!”, নিজের মনেই গজগজ করতে থাকেন বুড়ো চিত্রগুপ্ত। “কী হে, কী বিড়বিড় করছ নিজের মনে? কাজকর্মে তোমার মন কিন্তু দিনদিন কমছে। এমনি হলে কিন্তু এবারে পুজোর বোনাস বন্ধ!” “নিকুচি করেছে আপনার বোনাসের!”, বলতে বলতেই ধড়াম করে একমণি খাতাটা চিত্রগুপ্ত নামান …

সে ছিল এক গভীর বন। আর সেই বনের ঠিক মধ্যিখানে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় ছিল এক ফুলগাছ। আশ্চর্যের কথা, আশেপাশে আর কোথাও কোন ফুলগাছ ছিল না। একটাই ফুল ধরে আছে গাছে। অদ্ভুত এক নরম আলো ছড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে, আর তার মনমাতানো সুবাস ঘিরে রাখে সারা বন। মৌমাছিরা গুনগুন করে তাকে …

  এক যে ছিল রেলগাড়ি। ভোরবেলা হলেই সে কু-উ-উ-ঝিকঝিক সুর তুলে শুরু করত তার চলা। কখনো আঁকাবাঁকা পথে, কখনো বা সোজাই সে পাড়ি দিত। কত গাছপালা, নদনদী, বনজঙ্গলের বুক চিরে সে যখন দৌড়োত, ভারী সুন্দর লাগত তাকে দেখতে। কিন্তু হলে হবে কী, রেলগাড়িটা ছিল মহা ঘুমকাতুরে। যেই না কোন স্টেশনে …

রামায়ণের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু গল্পেরও কিছু ভেতরকার কথা থাকে। যাকে বলে, পেটের কথা। সেইরকম একটা কাহিনী আজ চুপিচুপি শোনাবো। তাড়কা রাক্ষসীর সঙ্গে রাম- লক্ষ্মণের যুদ্ধের কথা নিশ্চয়ই জানো। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? সে ভারি মজাদার ব্যাপার। বলি তবে? রাজা দশরথের সভায় একদিন এলেন মহামুনি বিশ্বামিত্র। তিনি আবার খুব …

চরম খাড়াই রাস্তায় তীব্রগতিতে বাঁকের পর বাঁক পেরোচ্ছে গাড়িটা। ভয়ে চোখ বুজেই ফেললাম। আচমকাই পাশ থেকে মাসিমণি বলল, “নে, এবার চোখ খোল্‌। কালেবুঁ এসে গেছি।” “কালেবুঁ?”, আমি সংশয়ভরা দৃষ্টি মেলে তাকাই। “হ্যাঁ, রে, হ্যাঁ। তোরা যাকে কালিম্পং বলিস।” “মানে? কালিম্পং আর কালেবুঁ এক! ধুস, কী যে যা তা বকো না …

একাদশ পর্ব   বিকেল পাঁচটা। বিডিও-র চেম্বার। চিন্তাহরণবাবু, পুলিন, পয়মন্ত, হ্লাদিনী দেবী , রামতারণবাবু সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিও আছেন। সবারই মনে একটা চোরা উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে কী এমন হল, যার জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো?           নীরবতা ভেঙ্গে কথাটা তুলল পুলিনই, “বিডিও ম্যাডামকে তো দেখছি না।” হ্লাদিনী …