হ্যাঁ, এটা ট্রু যে আমি টেগোরকে লাইক করি। আর করবো নাই বা কেন? এই যে, উনি যে নোবেল প্রাইজ অ্যাচিভ করেছেন, সেটা তো অ্যাপ্রিসিয়েট করার মতোই ম্যাটার! আর তারপর, এই যে আজ টেগোরের বার্থডে সেলিব্রেশন, এটা তো সিম্পলি ওয়াও! আমি বাড়িতে বলেই দিয়েছি, মাটন ছাড়া আজ চলবে না! এরকম …
Read More »কবি সম্মেলনে বাঘুবাবু – মৌসুমী পাত্র
পাঠশালায় আসছিল শিয়ালনি। আজ দেরিই হয়েছে কিছুটা। কাল সন্ধেবেলা খরগোশাই ডাক্তারদিদির বাড়ি নিমন্ত্রণ ছিল। জম্পেশ খাওয়াদাওয়া। সেসব সেরে বাড়ি ফিরে ঘুমোতেও দেরি হয়েছে। ফলে সকালে উঠতেও যেমন দেরি, তেমনি একের পর এক সব কাজেই। আর এত তাড়াহুড়োতে সকালবেলায় দাঁত মাজার ফাঁকে টুথপেস্ট অবধি খেতে ভুলে গেছে শিয়ালনি! …
Read More »উল্কার কবলে বাঘু – মৌসুমী পাত্র
(শিয়ালনীর পাঠশালায় প্রচুর মজাদার ব্যাপার স্যাপার চলে, যার প্রথম হদিশটা তোমাদের দিযছিলাম ‘বাগে এলো বাঘু’ গল্পে। গাছপালার ফাঁকফোকর দিয়ে পাঠশালার খবর লুকিয়েচুরিয়ে চলে আসে মাঝেসাঝেই। সেসব খবরটবর পেলেই ঝপাং করে তোমাদের জানিয়ে দি। পাঠশালাটা কোথায় জানো? বনের ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা মিলে মাথার উপরে একটা চাঁদোয়ার মত বানিয়েছে, …
Read More »জানোয়ার বার্তা ও বাঘুবাবু – মৌসুমী পাত্র
পিঠে থলে ঝুলিয়ে বাঘু চলেছে পাঠশালার পানে। মনে বেশ খুশি খুশি ভাব। একটা গাছের ডালকে লাঠির মতন বানিয়ে নিয়েছে আর ভুলভাল গান ভাঁজতে ভাঁজতে হাতের ডালটা সপাং সপাং এদিক ওদিক চালাচ্ছে। রাস্তার যত ধুলো পাউডারের মতন গায়ে লেপা হয়ে অপরূপ খোলতাই চেহারা হয়েছে বাঘুর, কিন্তু তার সেদিকে ভ্রূক্ষেপ নেই! …
Read More »ভয়ঙ্কর অতলে দরিয়া – মৌসুমী পাত্র
এমন একটা ভয়ঙ্কর মহাপ্রলয় যে ধেয়ে আসছে, সকালবেলাতে ঘুণাক্ষরেও আঁচ পাওয়া যায়নি। তবে কেউ কি আর পায়নি? খুনখুনে বুড়ি বিজলীবতী নিজের দাওয়াতে বসে লাঠি ঠুকঠুক করতে করতে বলেছিল, “ওরে, গতিক সুবিধের ঠেকছে না। আজ আর কেউ জাল নিয়ে বেরোস নে!” তা সে বললে কি আর চলে? মাঝসাগরে জাল ফেলে …
Read More »উপেক্ষিতা – মৌসুমী পাত্র
“দেবী! অনুগ্রহ করে গাত্রোত্থান করুন। ঊষাদেবী রথে আসীন হয়ে গগনপথ পরিক্রমায় বেরিয়েছেন।” ধীরে, অতি ধীরে প্রভাতে কুমুদ প্রস্ফুটিত হবার মতোই নয়নদুটি অর্ধ উন্মীলিত হল ঊর্মিলার। পরক্ষণেই অতিশয় ক্লান্ত অনুভব করলেন তিনি। পুনরায় একটি দিবস অতিবাহিত করার অমোঘ যন্ত্রণা! প্রভাতের অরুণকিরণ স্বচ্ছ তিরস্করণীর আবরণ ভেদ করে গৃহাভ্যন্তরে নানাবিধ আলপনা …
Read More »ছবি আঁকেন বাঘুবাবু – মৌসুমী পাত্র
(শিয়ালনীর পাঠশালায় প্রচুর মজাদার ব্যাপার স্যাপার চলে, যার প্রথম হদিশটা দিয়েছিলাম ‘বাগে এলো বাঘু’ গল্পে। গাছপালার ফাঁকফোকর দিয়ে পাঠশালার খবর ভেসে আসে মাঝেসাঝেই। পাঠশালাটা কোথায় জানো? বনের ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা মিলে মাথার উপরে একটা চাঁদোয়ার মত বানিয়েছে, আর দুটো সেগুনগাছের ইয়া মোটা মোটা গুঁড়ি দুদিক থেকে এসে …
Read More »পাঠশালা মহাসভায় হাতুশি – মৌসুমী পাত্র
প্রার্থনার পর ক্লাসে ঢুকেই চশমাটা নাকের ডগায় নামিয়ে আনল শিয়ালনী, “মনে আছে তো, আজ ‘ভূগোল ভাবনা’ পড়াবো বলেছিলাম?” বাঘু পাশে বসা ভালকিকে ফিসফিস করে বলল, “ভারি ভাবনায় পড়া গেল!” ভালকি পাত্তা দিল না। পাত্তা দিলেই বাঘু আরও ভুলভাল বকতে থাকবে! ওদিকে দিদিমণি বই খুলে পড়াতে শুরু …
Read More »ক্রান্তিকালে, হে রবিঠাকুর! – মৌসুমী পাত্র
না, দূরত্বের অনুভব নিবিড় হয়ে এল না এবারের জন্মদিনে। আসবেই বা কী করে? ছ’ফুটের দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে যে! মাস্কের আড়ালে মুখ বাঁচে লুকিয়ে। মহামারীর বীজ বয়ে চলা অগণিত নরদেহ পিপিই কিটের অন্তরালে পৃথিবী থেকে বিদায় নিচ্ছে চিরতরে! প্রিয়জন, পরিজন বিচ্ছিন্ন। হে কবি, কে ভূয়োদর্শী কবি, কষ্টকল্পনাতেও কি ভেবেছিলে …
Read More »ভোটে দাঁড়ালেন বাঘুবাবু- মৌসুমী পাত্র
বাঘু বেচারির কী দুর্দশাই না গেল গত কয়েকদিনে! দোল মিটতে না মিটতেই বাঘিপিসী এসে হাজির। সঙ্গে আবার বাঘনি! তার উপরে, বাঘিপিসী দিদিমণির সঙ্গে কথা বলে বাঘনিকে পাঠিয়েও দিচ্ছিল পাঠশালায়! আহা! বাঘু যেন বোঝে না কিছু? আসল মতলব তো বাঘুর ওপর নজরদারি করা! আর বাঘনিটারও বলিহারি! রোজ সন্ধেবেলা গুনে …
Read More »