ক্রিঁক……ক্ল্যাং………ক্রিঁক…………ক্ল্যাং…………ক্রিঁক…………ক্রিঁক………..ক্রিঁক………ক্রিঁক………ক্রিঁক…. একটানা এই বিচ্ছিরি আওয়াজটা শুনে ঘুম ভেঙে গেল চন্দ্রমণিজীর। প্রথমে ঘুমের ঘোরে ঠিক বুঝতে পারেন নি, ঘুম ভেঙে গেলেও না, কেননা ঘুমের রেশ তখনো কাটেনি। তন্দ্রালু অবস্থাতেই উঠে বসলেন বিছানায়। নাহ, শব্দটা অ্যালার্মের নয়। সেটার আওয়াজ আলাদা। তাছাড়া বাইরে সূর্যের আলো ফোটেনি। জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন, দূরে দূরপীন পাহাড়ের …
Read More »কিটু কি আমাকে ভালোবাসে?-নির্মাল্য ঘরামী
প্রশ্নের সঠিক উত্তরটা এই মুহূর্তেও আমি জানি না। পুরোনো বন্ধুত্ব, অন্তরঙ্গতা, ভাবাবেগ- সবই ঠিক আছে। কিন্তু আমি এখনও পরিষ্কার করে বুঝে উঠতে পারছি না কিটু আমাকে ভালোবাসে কিনা। আচ্ছা, এটা জানার কী খুব দরকার আছে? কিন্তু ভাবনা বাস্তবের সীমানা ছাড়িয়ে কল্পলোকে পাখনা মেলে দেয়। কৌতূহল চরিতার্থ করার ইচ্ছে বড়ই প্রকট …
Read More »জহুরীর চোখ- নির্মাল্য ঘরামী
স্কুল থেকে ফেরার সময়ে অরুণজীর চোখ হঠাৎই চলে গেল রাস্তার দিকে। কিছুটা দূরে ফুটপাথের উপরে বসে পাগলি মতন একটা মেয়ে তার বোঝা নামিয়ে রেখে কোন রেস্তোরাঁর ফেলে দেওয়া একটা প্যাকেট বের করে সেটা থেকে একমনে হরেক খাবার বের করে খাচ্ছিল। আরে ও বিনসা না! আঁতকে উঠলেন তিনি। আরে কি যা …
Read More »ডুলুং পাড়ের সিঁড়ি -নির্মাল্য ঘরামী
খোলা জানালা দিয়ে গণুবাবুর দৃষ্টি চলে গেল ডুলুং-এর দিকে। আগের সেই বেগবতী দিন আর নেই। মজে গেছে নদীটা। যেভাবে তাঁর সূর্য অস্তমিত হয়েছে, ঠিক সেইরকম ছোটবেলার দেখা, অনুভবে পাওয়া প্রাণচঞ্চলা ডুলুং-এর দিন-ও ঘনিয়ে আসছে। নিশ্চিত তিনি। তবু সে একটা চেষ্টা করে চলেছে। মরীয়া হয়ে। কিন্তু তাঁর তো কোন উপায়ও নেই, …
Read More »রিকভারি সফটওয়্যার@মেঘ_কুয়াশা_খাদ -নির্মাল্য ঘরামী
-হঠাৎ চলে গেলে কেন ঋতু? কেন আমাকে একবার-ও জানালে না? -তীব্র সেই মানসিক যন্ত্রণা আর আমি সহ্য করতে পারছিলাম না ঋষি। -আমার কথা একবার-ও ভাবলে না। অভিমানভরা গলায় ঋষি বলল, -জান আমি কত খোঁজ করেছিলাম তোমার?
Read More »এখন বারোটা বাজে -নির্মাল্য ঘরামী
ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতুলবাবুকে দেখতে দেখতে বড়ুয়াসাহেব চ্যাটার্জিসাহেবকে বললেন, -কী মনে হয়? -কী? একটু অপেক্ষা করলেন বড়ুয়াসাহেব। দরজা খুলে প্রতুলবাবু বেরিয়ে গেছেন। ধীরে ধীরে সেই দরজাও বন্ধ হয়ে গেল।
Read More »