সে ছিল এক গভীর বন। আর সেই বনের ঠিক মধ্যিখানে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় ছিল এক ফুলগাছ। আশ্চর্যের কথা, আশেপাশে আর কোথাও কোন ফুলগাছ ছিল না। একটাই ফুল ধরে আছে গাছে। অদ্ভুত এক নরম আলো ছড়িয়ে আছে তাকে ঘিরে, আর তার মনমাতানো সুবাস ঘিরে রাখে সারা বন। মৌমাছিরা গুনগুন করে তাকে …
Read More »ঘুমকাতুরে রেলগাড়িটা -মৌসুমী পাত্র
এক যে ছিল রেলগাড়ি। ভোরবেলা হলেই সে কু-উ-উ-ঝিকঝিক সুর তুলে শুরু করত তার চলা। কখনো আঁকাবাঁকা পথে, কখনো বা সোজাই সে পাড়ি দিত। কত গাছপালা, নদনদী, বনজঙ্গলের বুক চিরে সে যখন দৌড়োত, ভারী সুন্দর লাগত তাকে দেখতে। কিন্তু হলে হবে কী, রেলগাড়িটা ছিল মহা ঘুমকাতুরে। যেই না কোন স্টেশনে …
Read More »লক্ষ্যভ্রষ্ট- সুদীপ্ত বিশ্বাস
পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে ঠিক যেভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে! মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে; সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে।
Read More »রসেবশে রামায়ণ- মৌসুমী পাত্র
রামায়ণের গল্প আমরা সবাই জানি। কিন্তু গল্পেরও কিছু ভেতরকার কথা থাকে। যাকে বলে, পেটের কথা। সেইরকম একটা কাহিনী আজ চুপিচুপি শোনাবো। তাড়কা রাক্ষসীর সঙ্গে রাম- লক্ষ্মণের যুদ্ধের কথা নিশ্চয়ই জানো। কিন্তু আসলে কী হয়েছিল? সে ভারি মজাদার ব্যাপার। বলি তবে? রাজা দশরথের সভায় একদিন এলেন মহামুনি বিশ্বামিত্র। তিনি আবার খুব …
Read More »জংলী রাত – সুদীপ্ত বিশ্বাস
ব্যাঙ চললো ব্যাংককে আর চিল চললো চাইনাতে রাত দুপুরে গান ধরল হাসনাবাদের হায়নাতে। মৎস্য বলে, ‘বৎস শোনো, চিংড়ি কোনও মাছই না।’ নেংটি বলে, ‘মাউস রে তোর রঙ্গ দেখে বাঁচি না!’
Read More »পুতুলের দেশে- মৌসুমী পাত্র
নদী ও প্রেমিক- সুদীপ্ত বিশ্বাস
পাহাড়ের বুক চিরে ঝর্ণাটা নামে অনেক না বলা কথা আছে নীলখামে। ঝর্ণারা মিলেমিশে হয়ে যায় নদী শুনবে নদীর গান, কান পাতো যদি। ও নদী কোথায় যাও? ছলছল তানে? দাও নদী দাও বলে, জীবনের মানে। ঘন্টার ঠুনঠুন, আজানের সুর; নদী জলে মিশে যায় সোনা রোদ্দুর। ছোটছোট ঢেউ তুলে নেচেনেচে যায় সব …
Read More »নেট প্র্যাকটিস- রঘুনাথ মণ্ডল
মানুষের মতোই প্রত্যেকটা শহরের একটা নিজস্ব মেজাজ থাকে। অল্প কিছুদিন হল জেলার এই সদর শহরে বদলি হয়ে এসেছি। এখনও শহরটার সঙ্গে বিস্তর আলাপচারিতা বাকি। অভ্যাসমতো ভোরবেলায় হাঁটতে বেরিয়েছি। খাতায় কলমে শীতকাল আসেনি তখনো। কিন্তু ভোরের বাতাসে একটা শিরশিরানি ভাব। হাঁটতে হাঁটতে একটা বড় বাড়ি, চারিদিক পাঁচিল ঘেরা। ভিতরের গাছপালার ডগাগুলো …
Read More »সানু নানি- মৌসুমী পাত্র
চরম খাড়াই রাস্তায় তীব্রগতিতে বাঁকের পর বাঁক পেরোচ্ছে গাড়িটা। ভয়ে চোখ বুজেই ফেললাম। আচমকাই পাশ থেকে মাসিমণি বলল, “নে, এবার চোখ খোল্। কালেবুঁ এসে গেছি।” “কালেবুঁ?”, আমি সংশয়ভরা দৃষ্টি মেলে তাকাই। “হ্যাঁ, রে, হ্যাঁ। তোরা যাকে কালিম্পং বলিস।” “মানে? কালিম্পং আর কালেবুঁ এক! ধুস, কী যে যা তা বকো না …
Read More »একাদশ ও দ্বাদশ পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
একাদশ পর্ব বিকেল পাঁচটা। বিডিও-র চেম্বার। চিন্তাহরণবাবু, পুলিন, পয়মন্ত, হ্লাদিনী দেবী , রামতারণবাবু সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিও আছেন। সবারই মনে একটা চোরা উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে কী এমন হল, যার জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো? নীরবতা ভেঙ্গে কথাটা তুলল পুলিনই, “বিডিও ম্যাডামকে তো দেখছি না।” হ্লাদিনী …
Read More »