একাদশ পর্ব বিকেল পাঁচটা। বিডিও-র চেম্বার। চিন্তাহরণবাবু, পুলিন, পয়মন্ত, হ্লাদিনী দেবী , রামতারণবাবু সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিও আছেন। সবারই মনে একটা চোরা উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে কী এমন হল, যার জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো? নীরবতা ভেঙ্গে কথাটা তুলল পুলিনই, “বিডিও ম্যাডামকে তো দেখছি না।” হ্লাদিনী …
Read More »নবম ও দশম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর
নবম পর্ব নিশুত রাত। নতুন দারোগাবাবু পোশাক আশাক পরে বাইরে বেরোবার জন্য তৈরি। অভ্যাসমত সার্ভিস পিস্তলটা একবার নেড়েচেড়ে দেখে নিলেন। এবার দাঁড়ালেন আয়নার সামনে। নিজের চেহারা দেখে নিজের মনেই আত্মপ্রসাদের হাসি হাসলেন একটু। পুলিশবাবু আজকেও থানাতে এসছিল। ভুঁড়ি চুপসে গিয়ে আগের সেই জৌলুসটাও নেই। বলতে নেই, একটু মায়াই হচ্ছিল …
Read More »ষষ্ঠ পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভু্ঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
ষষ্ঠ পর্ব নতুন দারোগাবাবু গুছিয়ে বসে নানান ভাবনাচিন্তা করছিলেন একটু আগে। তাঁর পূর্বসূরী খাসা একখানা চেম্বার বানিয়ে রেখে গেছেন। নরম গদিওয়ালা চেয়ারে বসে হালকা ঠাণ্ডা আমেজে তাঁর চোখ জুড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে। বেয়ারা সবুজলাল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তার নতুন সাহেবকে। ভুঁড়েলবাটির জলবাতাসের প্রভাবেই হবে হয়তো, এ ক’দিনেই সাহেবের গায়ে বেশ …
Read More »পঞ্চম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
পঞ্চম পর্ব উপর্যুপরি এইসব ঘটনায় গঞ্জে মহা শোরগোল পড়ে গেল। লোকজনের সমবেত চাপা দীর্ঘশ্বাসে প্রায় সারাক্ষণই ছোটখাটো ঝড় বইছে। আশেপাশের দশটা গাঁয়ের লোক যতই মহুলবাটিকে ভুঁড়েলবাটি বলে হাসাহাসি করুক না কেন, মহুলবাটির বাসিন্দারা নিজেদের নিয়ে বরাবরই অত্যন্ত গর্ববোধ করে। ছেলেছোকরারা অন্যান্য গ্রামের লোকজনদের শুনিয়ে শুনিয়ে ছড়া কাটে- এমন ভুঁড়িটি কোথাও …
Read More »দ্বিতীয় পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
দ্বিতীয় পর্ব পুলিশবাবুর আজকাল ঘুম থেকে উঠতে বেশ একটু বেলাই হয়ে যাচ্ছে। সবাই তাঁকে ‘পুলিশবাবু’ বলে ডাকে ঠিকই, কিন্তু আদতে তিনি পুলিশ নন। আর তাঁর দুঃখটা ওখানেই। ছোটবেলা থেকেই তাঁর বাসনা ছিল পুলিশ হবার। বাচ্চাবেলায় তাঁর বন্ধুরা ‘বড় হয়ে কী হতে চাও’ প্রশ্নের উত্তরে যেখানে ‘ডাক্তার হব’, ‘ইঞ্জিনীয়ার হব’, বা …
Read More »