Tag Archives: উতলধারা

                                                                    “সর্বদেবাময়ীং দেবীং সর্বরোগ ভয়াপহাম্‌। ব্রহ্মেশবিষ্ণুনমিতাং প্রণমামি সদা শিবাম্‌।। “ আমরা সেই দেবীর আরাধনা করছি যিনি সমস্ত …

  “মা ,একটা পাখি বানিয়ে দাও নাআআ..” আহ্লাদী সুরে আবদার করল রেণু । মা মুচকি হেসে ব্যস্ত হাতেই আটার গোলা থেকে একটু আটা নিয়ে বানিয়ে দিলো ছোট্ট একটা পাখি। রেণু তো মহা খুশি। সব কাজ ফেলে পাখিকে নিয়ে খেলতে বসে গেল। খেলতে খেলতেই প্রশ্ন জুড়ল, “মা, ওর নাম কি?” কাজ …

ছবি – সোমক সেনগুপ্ত শেফালির বিয়ের কথাটা মনে পড়লেই নৃপেন্দ্রশেখরের মুখটা তেতো হয়ে যায়, মেজাজ গরম হয়ে ওঠে। প্রেমিকা শেফালি নৃপেনের সঙ্গে তাদের সাত বছর চার মাসের সম্পর্ক ভেঙে দিয়ে দুম করে সূর্য পালিতকে বিয়ে করে বসে। সূর্য পালিত সরকারি হাসপাতালে অর্ডার সাপ্লাই এবং পৌরসভার ঠিকাদারি করে। নৃপেন তখনও কাঠ …

(শিয়ালনীর পাঠশালায় প্রচুর মজাদার ব্যাপার স্যাপার চলে, যার প্রথম হদিশটা দিয়েছিলাম ‘বাগে এলো বাঘু’ গল্পে। গাছপালার ফাঁকফোকর দিয়ে পাঠশালার খবর ভেসে আসে মাঝেসাঝেই। পাঠশালাটা কোথায় জানো? বনের ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা মিলে মাথার উপরে একটা চাঁদোয়ার মত বানিয়েছে, আর দুটো সেগুনগাছের ইয়া মোটা মোটা গুঁড়ি দুদিক থেকে এসে …

    বুধু অবাক হয়ে ছেলে তিনটির দিকে তাকিয়ে ছিল। তখন বিকেল শেষ হয়ে সন্ধ্যা শুরু হবে প্রায়। মাঠের ধারে ঝাঁকড়া কৃষ্ণচূড়া গাছটির নিচে কিছুটা ছায়া মতন। এখন সন্ধ্যা নামায় সেখানে ছায়া ক্রমশ প্রকট হচ্ছে। এদিক সেদিক হেঁটে হেঁটে ক্লান্ত হয়ে সেখানে গিয়ে ঘাসে বসে পড়ল বুধু। আর তখনই নজরে …

  কফিতে খানিকটা চিনি মিশিয়ে স্টিক দিয়ে ভালো করে নাড়াতে নাড়াতে মধু জিজ্ঞেস করল, -তারপর? -আর কী? হাসল সুমন, -সান রে কোম্পানীটায় পোষাল না। যেভাবে খাটাচ্ছে, সেভাবে কমপেনসেট করছে না। এদিকে এই সরকারী চাকরিটা পেয়ে গেলাম। ছেড়ে দিয়ে মালদা থেকে সোজা এখানে। -কাজের চাপ কেমন? কৌতূহলী মুখে মধু কফির কাপ …

              গতকালের আগুনঝরা গরমটা আজ অনেকখানি নরম। দুপুরবেলাতেই দমকা কালবৈশাখী এসেছিল আকাশ কালো করে। তার সঙ্গে  পাল্লা দিয়ে তুমুল বৃষ্টি। আকাশের সেই রাগী সূর্যস্যার তো ভয়েই কোথায় লুকিয়ে পড়লেন সঙ্গে সঙ্গে। বাতাসের আওয়াজ তো নয়, যেন সমুদ্রের গর্জন। গাছপালাদের মাথারা সমানে দুলছে এপাশ ওপাশ- যেন সেই সমুদ্রের ঢেউ। …

  পকেট থেকে দামী সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিয়ে খানিক চেয়ে দেখল সুনু। বেকার জীবন আজই শেষ হচ্ছে। কিন্তু যে বেকার জীবনে বিড়ি না খেয়ে সিগারেট, বিশেষ করে দামী সিগারেটের দিকে অপাঙ্গে চেয়ে দেখত ও, কই আজ চাকরি পেয়ে এই দামী সিগারেটের প্যাকেটটা হাতে নিয়েও কেন আর সুখটান দিতে ইচ্ছে করছে …

    প্রার্থনার পর ক্লাসে ঢুকেই চশমাটা নাকের ডগায় নামিয়ে আনল শিয়ালনী, “মনে আছে তো, আজ ‘ভূগোল ভাবনা’ পড়াবো বলেছিলাম?”           বাঘু পাশে বসা ভালকিকে ফিসফিস করে বলল, “ভারি ভাবনায় পড়া গেল!”           ভালকি পাত্তা দিল না। পাত্তা দিলেই বাঘু আরও ভুলভাল বকতে থাকবে! ওদিকে দিদিমণি বই খুলে পড়াতে শুরু …

  -না, তুমি মারা যেতে পার না। আমি বিষণ্ণ, দুর্বল গলায় বলে উঠলাম। -আমি ঠিক-ই আছি। তালগোল পাকানো ঠোঙার মতন ভাঙাচোরা কণ্ঠে আমার স্ত্রী বলে উঠল। কথা বলতে ওর বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু নিজেকে সুস্থ দেখাবার আপ্রাণ প্রচেষ্টায় শরীরের সব শক্তি একত্র করে সে আমার দিকে তাকিয়ে নিজেকে প্রকাশ করতে …