নবম পর্ব নিশুত রাত। নতুন দারোগাবাবু পোশাক আশাক পরে বাইরে বেরোবার জন্য তৈরি। অভ্যাসমত সার্ভিস পিস্তলটা একবার নেড়েচেড়ে দেখে নিলেন। এবার দাঁড়ালেন আয়নার সামনে। নিজের চেহারা দেখে নিজের মনেই আত্মপ্রসাদের হাসি হাসলেন একটু। পুলিশবাবু আজকেও থানাতে এসছিল। ভুঁড়ি চুপসে গিয়ে আগের সেই জৌলুসটাও নেই। বলতে নেই, একটু মায়াই হচ্ছিল …
Read More »চড়াইছানার চড়ুইভাতি – মৌসুমী পাত্র
খুদে খুদে চড়াইছানা। এইটুকুনি মুখ, ছোট ছোট ডানা। ছানাগুলোর খিদে পেয়েছে। মা চড়াই গেছে খাবার আনতে। আসে না, আসেই না। মা চড়াই বলে গেছে, “চুপচাপ থাকবি। গোলমাল করবি না।”
Read More »সপ্তম ও অষ্টম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
সপ্তম পর্ব ফিরছিলেন সকলে। থানা পেরিয়ে একটু এগোলেই বিডিও অফিস। বড় বড় করে লেখা ‘সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়’। দলটা তার পাশ দিয়ে বেরোনোর সময় পয়মন্তের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল কথাটা, “আচ্ছা, ব্লকে গিয়ে বিডিওকে একবার জানালে হয় না?” দেখা গেল, বাকি সবারই মনে কথাটা ঘুরঘুর করছিল। …
Read More »ষষ্ঠ পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভু্ঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
ষষ্ঠ পর্ব নতুন দারোগাবাবু গুছিয়ে বসে নানান ভাবনাচিন্তা করছিলেন একটু আগে। তাঁর পূর্বসূরী খাসা একখানা চেম্বার বানিয়ে রেখে গেছেন। নরম গদিওয়ালা চেয়ারে বসে হালকা ঠাণ্ডা আমেজে তাঁর চোখ জুড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে। বেয়ারা সবুজলাল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তার নতুন সাহেবকে। ভুঁড়েলবাটির জলবাতাসের প্রভাবেই হবে হয়তো, এ ক’দিনেই সাহেবের গায়ে বেশ …
Read More »মেঘবৃষ্টি -মৌসুমী দে
নীল আকাশে ছেঁড়া তুলোর ছোট্ট ছোট্ট ভেলা, রোদ বৃষ্টি মেঘের যেন লুকোচুরি খেলা।
Read More »পঞ্চম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
পঞ্চম পর্ব উপর্যুপরি এইসব ঘটনায় গঞ্জে মহা শোরগোল পড়ে গেল। লোকজনের সমবেত চাপা দীর্ঘশ্বাসে প্রায় সারাক্ষণই ছোটখাটো ঝড় বইছে। আশেপাশের দশটা গাঁয়ের লোক যতই মহুলবাটিকে ভুঁড়েলবাটি বলে হাসাহাসি করুক না কেন, মহুলবাটির বাসিন্দারা নিজেদের নিয়ে বরাবরই অত্যন্ত গর্ববোধ করে। ছেলেছোকরারা অন্যান্য গ্রামের লোকজনদের শুনিয়ে শুনিয়ে ছড়া কাটে- এমন ভুঁড়িটি কোথাও …
Read More »আমার বাড়ি- মৌসুমী পাত্র
আমার বাড়ি রঙ- বাহারি আলো-ছায়ায় ঘেরা। সবুজ ঘাসে পাখির ডাকে …
Read More »চতুর্থ পর্ব – ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
চতুর্থ পর্ব মানময়ী গার্লস স্কুলের প্রাক্তন বড়দিমণি চাকরি থেকে অবসর নিয়েছেন বছর চারেক আগে। বিয়ে-থা করেননি। একাই থাকেন একটি বুড়ি ঝিকে নিয়ে। দুর্জনেরা বলে, তাঁর বাবা মেয়েকে বিস্তর বুঝিয়ে সুঝিয়ে একখানা সুপাত্র জোগাড় করতে পেরেছিলেন বটে, কিন্তু যেই হ্লাদিনী দেবীর কানে গেল যে পাত্রের ভুঁড়ি নেই, সুঠাম নির্মেদ শরীর, অমনি …
Read More »ডুলুং পাড়ের সিঁড়ি -নির্মাল্য ঘরামী
খোলা জানালা দিয়ে গণুবাবুর দৃষ্টি চলে গেল ডুলুং-এর দিকে। আগের সেই বেগবতী দিন আর নেই। মজে গেছে নদীটা। যেভাবে তাঁর সূর্য অস্তমিত হয়েছে, ঠিক সেইরকম ছোটবেলার দেখা, অনুভবে পাওয়া প্রাণচঞ্চলা ডুলুং-এর দিন-ও ঘনিয়ে আসছে। নিশ্চিত তিনি। তবু সে একটা চেষ্টা করে চলেছে। মরীয়া হয়ে। কিন্তু তাঁর তো কোন উপায়ও নেই, …
Read More »তৃতীয় পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
তৃতীয় পর্ব পয়মন্তর মনটা আজ একটু ভার ভার। উপস্থিত ক’দিন যাবত ভুঁড়েলবাটিতে তেমন কোন ঘটনাই নেই। পরীক্ষা-টরিক্ষাও শেষ হয়ে গিয়েছে, কেউ কোন শুভকাজে বেরোচ্ছে না। ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটছে না। কিন্তু এরকম চললে তারই বা চলে কি করে? মনটা তাই আজকাল তার খারাপ হয়েই আছে। পয়মন্তর নামের একটা ইতিহাস আছে। সে …
Read More »