কম তো বয়স হল না স্বাধীনতার। ইংরেজ শাসন কি অবলুপ্ত, নাকি শেষ হয়েও হইল না শেষ? আমাদের চলনে- বলনে, আচার- আচরণে, বেশভূষায়, ভাষা- কথাবার্তায় ইংরেজের প্রতি অন্ধ আনুগত্যের প্রমাণ প্রতি পদে দিয়ে চলেছি। সিম্পল লিভিং, হাই থিংকিং-র যুগ থেকে হাই লিভিং অ্যাণ্ড সিম্পল থিংকিং-র এক সর্বনাশা যুগে ক্রমশঃ প্রবেশ …
Read More »বাক্যহারা – সুদীপ্ত বিশ্বাস
অবলা কথারা আটকে রয়েছে চোখে অবুঝ মনের বোবা কান্নার মত আজকে এখন পাথর চোখেতে শুধু হারানো আবেগ পুরানো দিনের ক্ষত। বুঝলে না কিছু বুঝতে চাওনি বলে সুরের ইশারা সুরকার শুধু জানে দূরের বাতাস দূরে চলে যায় আরও মন শুধু বোঝে হারানো গানের মানে।
Read More »গিঁটের গেরোয় বাঘু- মৌসুমী পাত্র
(শিয়ালনীর পাঠশালায় প্রচুর মজাদার ব্যাপার স্যাপার চলে, যার প্রথম হদিশটা দিয়েছিলাম ‘বাগে এলো বাঘু’ গল্পে। শিয়ালনীর পাঠশালার খবর তোমাদের মাঝেমধ্যে দেবো। পাঠশালাটা কোথায় জানো? বনের ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা মিলে মাথার উপরে একটা চাঁদোয়ার মত বানিয়েছে, আর দুটো সেগুনগাছের ইয়া মোটা মোটা গুঁড়ি দুদিক থেকে এসে একটা দরজার …
Read More »রথের ঠিকানা- মৌসুমী পাত্র
বৃষ্টি নামে মেঘলা দিনে রথের ঠিকানায়- মেলা শেষে খোকাখুকু ফিরছে পায় পায়। পাঁপড় খেল খোকাবাবু জিলিপি খেল খুকু- কচি কচি মুঠোয় ধরা খুশির রেশ টুকু।
Read More »ছেঁড়া রামধনু – মৌসুমী পাত্র
আমার মা বেজায় দুষ্টু হয়েছে আজকাল। একটা কথাও শুনতে চায় না। এই তো পরশুদিন, বললাম, মা, আইসক্রিম খাবো। কিনেই দিলো না। উলটে বলল, তোর না গত সপ্তাহে সর্দিজ্বর হয়েছিলো! বোঝো ঠ্যালা! গত সপ্তাহে জ্বর হয়েছিলো বলে এ সপ্তাহেও আইসক্রিম পাবো না! তারপরে এই তো গতকালই, বললাম টফি কিনে দিতে। তাও …
Read More »গোলাপী নীলের দুনিয়া- জলছবি
(জলছবি বেচারি একেই খানিক আলসে, তার ওপর নানা কারণে পুরো ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েছিল বহুদিন। যাই হোক, বিস্তর জিভ টিভ কেটে বেচারি আবার হাজির হয়েছে আপনাদের দরবারে। ভাবখানা এই যে কাঁদুনি গেয়ে আপনাদের মন ভোলাবে। যাই হোক, কিছু সহৃদয় পাঠক তার অন্তর্ধানে বড়ই বিচলিত হয়ে পড়েছিলেন। বেচারি করজোড়ে মাফ চাইছে। যদিও …
Read More »ডানাভাঙা পাখি- ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য্য
রিয়ার এখন ক্লাস সেভেন। উত্তর কলকাতার নামি সরকারি স্কুলের মেধাবী ছাত্রী। ব্যবহারেও স্কুলের সকলের প্রিয় সে। এই নিয়ে পরপর ৩ বছর ক্লাস প্রিফেক্ট। সকাল ১০টা থেকে ৫টা – স্কুলের এই সময়টুকু বড় ভালো কাটে রিয়ার। স্কুলের সামনেই ঢিল ছোড়া দূরত্বে তার বাড়ি। রিয়ার এখন মাঝে মাঝে বন্ধুদের সাথে একা বাড়ি …
Read More »জহুরীর চোখ- নির্মাল্য ঘরামী
স্কুল থেকে ফেরার সময়ে অরুণজীর চোখ হঠাৎই চলে গেল রাস্তার দিকে। কিছুটা দূরে ফুটপাথের উপরে বসে পাগলি মতন একটা মেয়ে তার বোঝা নামিয়ে রেখে কোন রেস্তোরাঁর ফেলে দেওয়া একটা প্যাকেট বের করে সেটা থেকে একমনে হরেক খাবার বের করে খাচ্ছিল। আরে ও বিনসা না! আঁতকে উঠলেন তিনি। আরে কি যা …
Read More »চিত্রগুপ্তের কম্পিউটার- মৌসুমী পাত্র
“যত্ত সব আদ্যিকালের জিনিস নিয়ে কাজকারবার! আর পারা যায় না বাপু!”, নিজের মনেই গজগজ করতে থাকেন বুড়ো চিত্রগুপ্ত। “কী হে, কী বিড়বিড় করছ নিজের মনে? কাজকর্মে তোমার মন কিন্তু দিনদিন কমছে। এমনি হলে কিন্তু এবারে পুজোর বোনাস বন্ধ!” “নিকুচি করেছে আপনার বোনাসের!”, বলতে বলতেই ধড়াম করে একমণি খাতাটা চিত্রগুপ্ত নামান …
Read More »পরাবাস্তবতা – সুদীপ্ত বিশ্বাস
এখানে হৃদয় জুড়ে শুধুই বিস্মৃতি হাঁচড়-পাঁচড় শেষে অবসন্ন দেহে তীরভূমি ছুঁয়ে দেখি, হাসে মহাকাল। সবকিছু মিশে যায় দিকচক্রবালে অবিরাম বেজে চলে কালের সেতার। অতীতেরা চুপচাপ ফিরে ফিরে এলে সময়ের গাছ থেকে খসে পড়ে পাতা মিশরের মমি থেকে উঠে আসে কেউ আগামীর …
Read More »