Tag Archives: আলো

ক্লান্ত ছিল বছর যে এক ভালো লাগা কোথাও এক মুঠ, বাদলা-মন মনখারাপের মেঘে- জলের ফোঁটা আলগা দে- ছুট! ক্লান্ত ছিল বছর যে এক, উতল দিনে বেরঙ সাদা-কালো আখরে কথা ফুটবে বলেছিল, সময় তাকে কে দেয়, বলো? হাওয়া কবে উড়বে এলোমেলো ভাসিয়ে দিয়ে উধাও স্রোতে পাড়ি- ক্লান্ত বছর বোঝেনি সে-সব কথা, …

অন্ধকার কি দূর হয় এতোই সহজে? এতোই সহজ? দীপাবলি আলোর উৎসব। এবং শব্দের। এবং অপরিণামদর্শিতার। এবং হয়তো বা কিছুটা অন্ধকারেরও। দীপাবলি মানে কী? দীপ মানে প্রদীপ অর্থাৎ আলো। আবলি মানে সমূহ। সোজা কথায় প্রদীপসমূহ। হিমের রাতে ওই গগনের দীপগুলিকে জ্বালিয়ে অন্ধকার দূরীভূত করার সমবেত প্রয়াস। আলো জ্বলে ঠিকই, আপন আলো …

    জিভ দিয়ে ঠোঁটটা একবার চেটে নিল শাক্য। গরমও পড়েছে যথেষ্ট। কিন্তু তেষ্টা আর গরম কী শুধু এইরকমই হয়? বৃষ্টি নামবে কবে?   বৃষ্টি! বৃষ্টি! কী মিষ্টি এই নামটা! ওর দুষ্টু হাসির সঙ্গে একটু আদিম রসিকতা মাখানো নিষ্পাপ ধরনের কথাবার্তা, বঙ্কিম গ্রীবার চাহনি ওকে যে কী পরিমাণে আকর্ষণীয়া, আবেদনময়ী …

যেভাবে তারার পাশে গ্রহে-গ্রহে জেগে ওঠে প্রাণ জ্যোৎস্নার পরশ পেলে পাহাড়ও তো গেয়ে ওঠে গান। আলো-জল-মাটি পেলে সেভাবেই বীজ জেগে ওঠে হাজার বছর পরে দীঘি জুড়ে নীলপদ্ম ফোটে। কত আশা, কত স্বপ্ন, কত ধৈর্যে সব চেপে রেখে সময় সুযোগ পেলে ফুলে-ফলে ছবি দেয় এঁকে। চতুর্দিকে অমানিশা, প্রাণঘাতী কত চক্রব্যূহ লুকিয়ে …

ক্রিঁক……ক্ল্যাং………ক্রিঁক…………ক্ল্যাং…………ক্রিঁক…………ক্রিঁক………..ক্রিঁক………ক্রিঁক………ক্রিঁক…. একটানা এই বিচ্ছিরি আওয়াজটা শুনে ঘুম ভেঙে গেল চন্দ্রমণিজীর। প্রথমে ঘুমের ঘোরে ঠিক বুঝতে পারেন নি, ঘুম ভেঙে গেলেও না, কেননা ঘুমের রেশ তখনো কাটেনি। তন্দ্রালু অবস্থাতেই উঠে বসলেন বিছানায়। নাহ, শব্দটা অ্যালার্মের নয়। সেটার আওয়াজ আলাদা। তাছাড়া বাইরে সূর্যের আলো ফোটেনি। জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন, দূরে দূরপীন পাহাড়ের …

তুই পিদিম,না জোনাকী? আলো হয়ে,আলো দিস কখনও বা বৃক্ষ,লতা,দূর্বাঘাস। কখনও সরীসৃপ তুই, রাতপাখির ডানা ঝাপটানি, পৌরুষের লবণে গলিত জোঁক প্রাগৈতিহাসিক পসারিনী।