Tag Archives: অঙ্ক

    দুপদাপ পা ফেলে হাঁটছিল গণ্ডামণ্ডা। মেজাজটা তার বেশ খারাপ। গণ্ডারনি দিদিমণি মাঝেমাঝে এমন ভয়ঙ্কর কাণ্ডকারখানা করেন যে বলার নয়!         হয়েছিল কী, গতকাল পাঠশালায় গণ্ডারনি দিদিমণি তাঁর খড়্গে ক্যাটকেটে বেগুনি রঙ করে তাতে আবার ইয়াব্বড়ো একটা নোলক ঝুলিয়ে এসেছিলেন! দোষের মধ্যে গণ্ডামণ্ডা খালি বলে ফেলেছিল, “দিদিমণি, ওই বেগুনি …

            বিচ্ছিরি গরম পড়েছে! একেবারে বাঘিপিসী-মার্কা! বাঘুর অন্ততঃ তাই-ই মনে হচ্ছে! বাঘিপিসী যেমন সব সময় ফুটছে তো ফুটছেই, কিসে যে উনি খুশি হবেন বোঝাই দায়- আগুন ঝরিয়ে যাচ্ছেন তো ঝরিয়েই যাচ্ছেন! আকাশের সূর্যস্যারও হয়েছেন তেমনই, মাথা গরম করে বসে আছেন তো বসেই আছেন! সেই সন্ধেবেলা হলে তাঁর নাকে তেল …

    অনেক দিন পর শীলার সঙ্গে দেখা, তা প্রায় পঞ্চাশ বছর। হাইস্কুলে আমরা একসঙ্গে পড়তাম। ও ছিল অঙ্কে কাঁচা কিংবা অঙ্ক কষার ঝামেলায় যেতে চাইত না। আমার খাতা থেকে বেমালুম টুকে স্যারকে দেখাতো, আর মাখন সাহার দোকান থেকে চানাচুর কিনে এনে খাওয়াতো। আঃ! কী স্বাদ! এখনও যেন লেগে আছে …

সুশীলা ওকে অনুরোধটা না করলে, হয়তো কাজটা হাতেই নিত না ভুবন। ফেসবুকে যোগাযোগ আছে ওরে সঙ্গে, যদিও তা অনিয়মিত। বাল্যের সেই টানটা হয়তো নেই, কিন্তু একটা চার্ম কি থেকে যায় না? আর এমনিতে মেয়েটা ওর থেকে কোনদিন কোন সাহায্য চায় নি। ফলে বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন মধ্য যৌবনে পৌঁছে গিয়েও ওকে না …