Home / কিশোর গল্প / নাটক বিভ্রাট -মৌসুমী পাত্র

নাটক বিভ্রাট -মৌসুমী পাত্র

এই রে! ফুটকিদি আবার নাটক নামাবে বলছে! ফুটকিদির নাটকের কথা শুনলেই কিরকম জানি হৃৎকম্প হয় আজকাল আমার।
এই তো, গত বছরের আগের বছর, দুর্গাপুজোর সপ্তমীর দিন, ফুটকিদির পরিচালনায় আমাদের নতুন নাটক মঞ্চস্থ হল, ‘সিরাজদৌল্লা’।


প্রথম দৃশ্যে আমি দিব্যি সিরাজদৌল্লা হয়ে দাড়িতে একটা গোলাপফুল বোলাচ্ছি আনমনে, হেনকালে পুত্র মহম্মদের প্রবেশ। আমার পার্ট বলার পালা। কিন্তু পার্ট বলব কী, তার দিকে তাকিয়েই আমার চক্ষু ছানাবড়া! মহম্মদের চোখে জ্বলজ্বল করছে জ্বলজ্যান্ত চশমা!
মহম্মদের পার্ট করছিল বিশু। সে আমার হতভম্ব দশা দেখে মুখের কাছে হাত পাকিয়ে ইঙ্গিত করল পার্ট বলার জন্য। আমি কোনমতে চোখের কাছে আঙুল ঘুরিয়ে বিশুকে ইশারা করলাম চশমাটা খুলে আসতে। তাতে ফল হল হিতে বিপরীত!
বিশু, থুড়ি, মহম্মদ মুখ খুলল, “হে পিতা, এ কী হাল তব? কেন দিতেছ হাত চক্ষে বারংবারে? করিতেছে কি চক্ষু কিরকির?”
করিতেছে কি চক্ষু কিরকির? রাগের চোটে মনে হল মহম্মদকে ঠাসঠাস করে দু’ চড় কষাই! নেহাত সামনে দর্শক!
আমাকে চুপচাপ দেখে বিশু আবার কিছু খুচরো রান তোলার চেষ্টা করল, “নীরব কেন, আজি, হে পিতা? চক্ষু কি করিতেছে বেদম কিরকির?”
আর হতভাগা, তোর কিরকির? রেগেমেগে হাঁকড়ালাম, “করে নাই মম চক্ষু কিরকির। কিন্তু কহো, তোমার কি হইয়াছে কোন অক্ষিরোগ?”
বলার সঙ্গে সঙ্গেই আবার চোখে হাত দিয়ে দেখালাম। হনুমানটা তাও বোঝে না। উপরন্তু বলে, “আমাকে লইয়া দুশ্চিন্তা করিও না, পিতা। দেহে মনে বিলকুল সুস্থ আমি।’’

natok-bibrath
natok-bibrath

হুংকারই ছাড়লাম এবারে, “কেন তবে পরিয়াছ বিধর্মী ম্লেচ্ছ অক্ষিগোলক? অই ফিরিঙ্গিগুলা বুঝি মন্ত্র দিতেছে তোমারে? চশমা পরিয়া চশমখোর হইয়াছ তুমি, পুত্র! বেচাল দেখিলে ত্যাজ্যপুত্র করিব তোমারে আমি।”
বিশুর যা প্রতিক্রিয়া হল, সে দেখার মতো! সে তিন হাত লাফ দিয়ে জিভটিভ কেটে বলে উঠল, “এই রে! চশমাটা খুলে আসতে একদম ভুলে গেছি!”
দর্শকেরা ওদিকে হো হো করে হাসছে। আমি দাবড়ানি দিলাম, “করিও না সকলি মাটি! যাও, খুলিয়া আইস তব চশমা! নতুবা কথা বলিব না আমি!”
বিশু তো দাবড়ানি খেয়ে চলে গেল। আমি এদিকে সিংহাসন থেকে নেমে পদচারণা শুরু করলাম, “একাকীত্ব প্রয়োজন মম। চাহি না কোন কথা বলিতে।”
বলেটলে হাতের ইঙ্গিত করলাম পর্দা ফেলে দেবার জন্য। পর্দা ফেলার দায়িত্বে ছিল গজা! সে এদিকে সিন শেষ হতে দেরি আছে ভেবে চা খেতে গেছে। আমি তো আর অতশত তখন জানি না। পর্দা ফেলছে না দেখে হাঁক দিলাম, “কোথা মোর অনুগত অনুচরগণ? ভৃত্যবাহিনী কোথা মম? বাতায়নের পর্দা দাও ফেলি, একাকী থাকিতে চাহি আমি।”
সেকেণ্ড দশেক পদচারণা করলাম। কেউ আসে না। অগত্যা দর্শকদের দিকে মুখ করে গলা যথাসম্ভব কাঁপিয়ে আওড়ালাম, “বিপদে আমি নাহি ডরি। যদি কেহ না আসে মম পাশে, একাকীই টানিব পর্দা।”
দর্শকাসনে ওদিকে ব্যাপক হইহই। আমিও উৎসাহ পেয়ে প্রাণপণে পর্দা টানছি। কিন্তু কী পর্দা রে বাবা! টানাও যায় না। এমন সময় আমার কানের পর্দাতেই জোর টান। তাকিয়ে দেখি, ফুটকিদি! কান ধরে হিড়হিড় করে টানতে টানতে বলল, “ঢের হয়েছে। আর তোকে নাটক করতে হবে না।”
আর অমনিই গজাও কোনদিক থেকে এসে ঝপাঝপ পর্দা ফেলে দিল।
গ্রিনরুমে তারপরে পলাশীর যুদ্ধ! আমি যে ব্যাপারটা প্রায় মেরামত করেই এনেছিলাম, সেকথা ফুটকিদিকে বোঝায় কে? যত বোঝাবার চেষ্টা করি, “তুমি না ঢুকলে নাটক দিব্যি পেরিয়ে যেত। ঢুকেই যত গোল পাকিয়েছ”, ফুটকিদি ততই রেগে যায়।
বিশু আবার এঁড়ে তক্ক করতে ওস্তাদ, “মহম্মদ যদি চশমা পরেই, তোর তাতে অসুবিধে কোথায়? তার চোখ খারাপ হতেই পারে, আর চোখ খারাপ হলে চশমা পরতেই পারে। তুই নিজের পার্ট বললেই পারতিস!”
শুনেটুনে ফুটকিদির আরো মাথা খারাপ। দু’পাশে আমাদের দুজনের মাথা রেখে আর মাঝখানে নিজের মাথা রেখে ঠাঁইঠাঁই করে ঠুকতে শুরু করে দিল দেয়ালে।

গত বছরও কম কিছু হয়নি। ভাইরাল ফিভার হয়েছিল বলে ফুটকিদি ছাড় দিয়েছিল। না হলেও আমি করতাম না। ‘সিরাজদৌল্লা’য় বিনা দোষে খামোকা ওরকম অপমান! ভোলা যায়?
দর্শকাসনে বসে নাটক দেখছি। নাটকের নাম ‘যমের দক্ষিণ দুয়ার’। প্রথম দুটো সিন বেশ ভালোভাবে উতরে গেল। তৃতীয় দৃশ্যেই হল বিপত্তি। স্ক্রিপ্টে আছে, বিধাতার দরবার। সেখানে যম, চিত্রগুপ্ত ও আরো দু’চারজন বসে আছে। যমদূতেরা একটি বুড়োমানুষের মৃতদেহ নিয়ে এসে সবার সামনে মেঝেতে শুইয়ে রাখবে। তা ওই শুইয়ে রাখতে গিয়েই হল গণ্ডগোল। মৃতদেহ সেজেছিল টেবলু। টেবলুর মাথার কালোচুল ঢাকতে তাকে সাদা পরচুলা পরানো হয়েছিল। যমদূতেরা যেই চ্যাংদোলা করে নিয়ে এসেছে, অমনই টেবলুর মাথার পরচুলা গেছে খুলে। বিধাতা ছিল বিশু, সে পরিস্থিতি সামাল দেবার চেষ্টা করল, “হে যম! খাইয়াছ কি চক্ষের মাথা? জ্যান্ত মানুষেরে কেমনে আনিছ তুমি হেথায়?”
যমও পরিস্থিতি বুঝে “আর কোনদিন করব না স্যার, ভুল হয়ে গেছে স্যার, এবারের মত ছেড়ে দিন স্যার” বলেটলে নিজের নাককান মুলে ম্যানেজ দেবার চেষ্টা করল। ম্যানেজ প্রায় হয়েও গিয়েছিল, গোলমাল পাকাল টেবলু স্বয়ং। তার মোটেও মৃতদেহ সাজার ইচ্ছে ছিল না। নিতান্ত ফুটকিদির প্রবল শাসানিতে বেচারা গুটিয়ে ছিল।
এখন সুযোগ পেয়ে সে তড়াক করে উঠে দাঁড়িয়ে কোমরে হাত দিয়ে বীরদর্পে হাঁকল, “আনিয়াছে মোরে কোন হতভাগা? মানহানির মোকদ্দমা করিব আমি। পরচুলা পরায়েছে মোরে, পরচুলা? ওই হতভাগা হাবু, থুড়ি, যমের মুখে ছাই দিয়া বহু বছর বাঁচিব আমি।”
সাথে সাথে বিশাল ক্ল্যাপ। টেবলো তো উৎসাহ পেয়ে গিয়ে সিংহবিক্রমে পায়চারি করছে স্টেজে। বিশু দেখলাম ইশারায় যমদূতদের কিসব বলল। তারাও পেছন থেকে গিয়ে টেবলুকে জাপটে ধরল। টেবলু তাও ছাড়ে না, “যাইব না আমি, কোনমতে না। ন্যায্য বিচার চাহি। বগলে হাত দিসনে রে দাদা, কাতুকুতু লাগছে।”
দর্শকরাই তখন হাসির কাতুকুতুর চোটে অস্থির। যমদূতদুটোকে বুদ্ধিমানই বলতে হবে, বিকটসুরে হা-রে-রে-রে আওয়াজ করে টেবলোর গলা চাপা দিয়ে নিয়ে চলে গেল। আর পর্দাও পড়ে গেল।

এবারে ফুটকিদি রীতিমতো আটঘাট বেঁধেই নেমেছে। চারদিকে পোস্টার পড়েছে, মাইকে তেড়ে প্রচার চলেছে, “‘হাহা- হিহি নাট্য কোম্পানী’র নবতম প্রয়াস সমাজ-সচেতনতামূলক হাসির নাটক ‘ভুজুং ভাজুং’। নিজে দেখুন ও সবাইকে দেখান। টিকিটের দাম মাত্র দশ টাকা, দশ টাকা, দশ টাকা।” যাতে কারুর কোন দুঃখ না থাকে, সেজন্য খান সাতেক মূল চরিত্র রেখেছে ফুটকিদি। ডাক্তার, শিক্ষিকা, মুদী, পুলিশ, উকিল, নাপিত, কেরানী- সবাই প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে একে অন্যকে ঠকানো যায়। ডাক্তার সবার কাছে কাঁড়ি কাঁড়ি ফি নিচ্ছে, আর তাকে মুদী ঠকাচ্ছে, উকিল ফাঁকি দিচ্ছে, শিক্ষিকা বলছে তার কাছে টিউশন না পড়ালে ডাক্তারের ছেলে পরীক্ষায় হায়েস্ট পাবে না। পুলিশ সবার কাছে ঘুষ খাচ্ছে, আবার উকিল, মুদী তাকে ঠকিয়ে ঠকাস করে দিচ্ছে।
মোটামুটি দৃশ্যগুলো চলছে ঠিকঠাক। খালি দ্বিতীয় দৃশ্যে, বেশি তা’ দিতে গিয়ে আমার গোঁফ খুলে আসার জোগাড় হয়েছিল। কোনমতে সামলেছি। আর পঞ্চম দৃশ্যে নাপিত উকিলবাবুকে বলার বদলে দিদিমণিকেই ভুল করে বলে ফেলেছিল, “দিদিমণি, আপনার দাড়িটা আমি ফ্রিতেই কামিয়ে দেব।”
যাইহোক, এবারে দশম ও শেষ দৃশ্য। স্কুলে পেরেন্ট-টিচার মিটিং চলছে। যাদের ছেলেমেয়েরা শিক্ষিকার কাছে পড়ে, তারা ভালো ভালো নম্বর পেয়েছে। তিনি হেসে হেসে তাদের সাথে কথা বলছেন। মুদী বেচারী অত টাকা দিয়ে টিউশন পড়াতে পারেনি, শিক্ষিকার কাছে বেদম ঝাড় খাচ্ছে। মুদীর এবার বলার কথা, “দিদিমণি, এবারটির মত পাশ করিয়ে দেন ফুলিরে, পরের বার আমি আপনার কাছে পড়তে পাটাবো।”
বলতে গিয়ে সে বলে বসল, “দিদিমণি, এবারটির মত আপনারে আমি পাশ করিয়ে দিচ্ছি, পরের বার থিকে কিন্তু ফুলির কাছে পড়তে পাটাবো।”
আমাদের তো প্রায় মাথায় হাত! দিদিমণিও রেগে কাঁই, “ক্কী, ক্কী বললে তুমি?”
মুদী নিরুত্তাপ, “হ্যাঁ দিদিমণি, ফুলির কাছে পড়লে আপনি পাশ করে যাবেন। ভাবতে হবে নি কো।”
আমি প্রমাদ গুণলাম। বেচারীর বোধহয় মাথা কাজ করছে না। এক ঠেলা দিলাম, “কীসব ভুলভাল বকছিস? ঠিক করে বল।”
ফল হল উল্টো। ঠেলা খেয়ে সে পড়েই গেল। দু’দিন দু’রাত জেগে পার্ট মুখস্ত করার ফল!
স্টেজের ওপর মহা গণ্ডগোল বেধে গেল। উকিল ডাকে, “পুলিশ, পুলিশ”। আমি বিরক্ত হয়ে বললাম, “পুলিশে কী করবে? ল অ্যাণ্ড অর্ডার পরিস্থিতি নাকি? ডাক্তার! ডাক্তার!”
বুঁচকি বিচ্ছিরি রকমের নাকমুখ কুঁচকে বলল, “আমি মেডিসিনের ডাক্তার নই, ডেন্টিস্ট।”
আমারো ভয়ানক রাগ হল, “তাহলে যে এতোক্ষণ আমাদের সব রোগ অসুখ দেখে বেড়ালেন!”
বুঁচকির গম্ভীর মন্তব্য, “ওরকম ভুজুং ভাজুং দিতে হয়!”
আর সাথে সাথে কী ক্ল্যাপ! কী ক্ল্যাপ! ক্ল্যাপের তোড়ে উল্টেই যাবো প্রায়। এদিকে ফুটকিদি পইপই করে বলে দিয়েছে, নাটক যেন কোন পরিস্থিতেই বন্ধ না হয়। হাতের ব্যাটন নাচাতে নাচাতে দিদিমণিকেই শুধোলাম, “আশু কী কর্তব্য?”
সে কিছু উত্তর দেবার আগেই ঝপাং করে প্রবল একটা আওয়াজ আর তার সাথে মঞ্চে যাকে দেখলাম, তাকে দেখে আমরা ভিরমি খাবার যোগাড়! জগঝম্প একটা আলখাল্লা পরা এটা কে? কোনমতে শুধোলাম, “কে তুমি? দেবী না মানবী?”
উত্তর এলো, “নহি দেবী! নহি সামান্যা মানবী! আমি ফুটকি!”
কেরানী আমাকে চিমটি কাটল, “চিত্রাঙ্গদার ডায়লগ আওড়াচ্ছে রে!”
ঠিক মাথার ওপরেই মাইক থাকায় কেরানীর বক্তব্য আর অস্ফুট রইল না! ফুটকিদিও বাউন্সার পেয়ে বাউণ্ডারি হাঁকাল, “নহি চিত্রাঙ্গদা! হাতে মম নাহি গদা!”
আচমকা সামনের সারি থেকে মহিলাকণ্ঠে আর্তনাদ শুনলাম, “ওগো! মেয়ে যা করছে করতে দাও। তুমি বাধা দিতে যেও না!”
কিছু বুঝে ওঠার আগেই দেখি, ঝড়ের গতিতে একজন ভদ্রলোক স্টেজে প্রবেশ করলেন। ওরে বাবা, এ যে ফুটকিদির বাবা! গলায় গর্জন, “এতো ভালো নাটকটার এই হাল করলি তুই হতভাগা!”
এদিকে ফুটকিদিও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ, নাটক সফল করবেই। হাতজোড় করল সে, “হায় পিতঃ! এই কি উচিত কাজ তব? দেব দিবাকর আগে যাক অস্তাচলে, সন্ধ্যার তিমির আসুক নিবিড় হয়ে। কহি তোমারে পিতা, ফুটকি আমি!”
বুঝলাম, ‘গান্ধারীর আবেদন’, ‘কর্ণকুন্তী সংবাদ’ সব গুলে খেয়েছে। কিন্তু ফল হল, কাকু দাঁত কিড়মিড় করতে করতে বললেন, “আয়! দেখাচ্ছি তোকে, অস্তাচলে কে পশিবে আজি?”
ফুটকিদিও অটল, “চলে এস, পিতা! কবাডি! কবাডি!”
উত্তেজনায় ফুটকিদির পিতাও চেঁচালেন, “চু-কিতকিত কিতকিত!”
খেলা দেখতে আমরা স্টেজের মাঝখান ফাঁকা করে দিয়ে দুই ধারে দাঁড়ালাম। হেনকালে আমার চোখ পড়ল গজার দিকে। সব ভুলে একমনে খেলা দেখছে। গজাকে টেনে নিয়ে গেলাম মঞ্চের একধারে। কর্ডলেস মাইকটা নিয়ে দৃপ্তকণ্ঠে শুরু করলাম, “ভুজুং ভাজুং! ভুজুং ভাজুং! ভুজুং ভাজুং!”, দম নিলাম একটু, “আজকের দিনে বাবা মেয়েতে যে সহমর্মিতার অভাব, যে টানাপোড়েন, তার ফলে অবিরত তৈরি হয় জেনারেশান গ্যাপ। প্রতিনিয়ত চলছে এই অনন্ত কবাডি। সমাজজীবনে অনবরত ঘটে চলেছে ঠকা ও ঠকানো। তার বিরুদ্ধেই আমাদের সম্মিলিত প্রয়াস “ভুজুং ভাজুং!”
আমি থামলাম। একটানা করতালির মাঝে গজা চটপট পর্দা টেনে দিল।

দর্শকাসন পুরো খালি। ফুটকিদি হাঁটুতে মুখ গুঁজে বসে আছে। বিশু বলল, “ফুটকিদি! মনখারাপ করো না। নাটক খারাপ হয়নি। সবাই প্রশংসা করছে।”
আমারা সায় দিলাম। ফুটকিদি মুখ তুলল, “সত্যি বলছিস?”
বুঁচকি জোর গলায় বলল, “হ্যাঁ গো, হ্যাঁ।“
হাতের চেটোয় মুখ মুছে ধরা ধরা গলায় ফুটকিদি বলল, “আসছে বছর…”
আমরা সোল্লাসে চেঁচিয়ে উঠলাম, “আবার হবে!”

Leave a comment

Check Also

ভুতুম থুম- মৌসুমী পাত্র

পূর্ণিমার চাঁদটা ভেসে আছে বিরাট একটা গোল থালার মতো। একটা শিশুগাছের ডালের কয়েকটা পাতার ছায়া …

 ছেঁড়া রামধনু – মৌসুমী পাত্র

আমার মা বেজায় দুষ্টু হয়েছে আজকাল। একটা কথাও শুনতে চায় না। এই তো পরশুদিন, বললাম, …

chitrogupter-computer-mp

চিত্রগুপ্তের কম্পিউটার- মৌসুমী পাত্র

“যত্ত সব আদ্যিকালের জিনিস নিয়ে কাজকারবার! আর পারা যায় না বাপু!”, নিজের মনেই গজগজ করতে …

শিল্পী- গুঞ্জা

ফুল-পাখি কথা – মৌসুমী পাত্র

সে ছিল এক গভীর বন। আর সেই বনের ঠিক মধ্যিখানে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় ছিল এক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *