একাদশ পর্ব
বিকেল পাঁচটা। বিডিও-র চেম্বার। চিন্তাহরণবাবু, পুলিন, পয়মন্ত, হ্লাদিনী দেবী , রামতারণবাবু সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিও আছেন। সবারই মনে একটা চোরা উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে কী এমন হল, যার জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো?
নীরবতা ভেঙ্গে কথাটা তুলল পুলিনই, “বিডিও ম্যাডামকে তো দেখছি না।”
হ্লাদিনী দেবী চিন্তার সুরে বললেন, “তাই তো। উনি আমাকে বললেন, বিকেল পাঁচটার মধ্যে সবাই যেন অতি অবশ্যই হাজির হয়ে যাই।”
হ্লাদিনী দেবীর কথা শেষ হতে না হতেই সুইং ডোরে একটা ক্যাঁচ আওয়াজ উঠল আর ভেতরে ঢুকলেন দারোগাবাবু। একটা মৃদু বিস্ময়ের স্বর ছিটকে এল তাঁর গলা থেকে, “এ কী! আপনারাও সবাই এখানে?” বলতে বলতেই তাঁর বিশাল বপু নিয়ে ধপ করে তিনি বসে গেলেন বিডিওর পাশের চেয়ারে। একটা মৃদু কাঁই করে আর্তনাদ উঠল চেয়ারটার থেকে আর মিলিয়েও গেল। আর তার প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই ভেতরের অ্যান্টি চেম্বার থেকে বেরিয়ে এলেন বিডিও। হাতে একতাড়া কাগজ, কয়েকটা সিডি।
“আরে, সবাই এসে গেছেন দেখছি। বড়োবাবুও এসে গেছেন। তাহলে আর দেরি করা উচিত না। কাজের কথায় আসি। চা খাবেন তো সবাই?”
বেল টিপতেই বেয়ারা আসে। তাকে চা-বিস্কুটের অর্ডার দিয়ে বিডিও আবার শুরু করেন, “আমি এখানে জয়েন করার পরই ভুঁড়েলবাটির খ্যাতির কথা শুনেছিলাম। তারপর আপনারা যখন এলেন, তখন আপনাদের মুখে সব শুনে ব্যাপারটা আমার বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছিল। ভাবলাম, থানা-পুলিশ যা করছে করুক, আমি নিজে একবার বিষয়টা নাড়াচাড়া করে দেখি। তা নাড়াচাড়া করতে গিয়ে বেশ কিছু অদ্ভুত জিনিস লক্ষ করলাম। এক, আপনাদের যা জীবনযাপন তাতে সাধারণভাবে ভুঁড়ি ঝরার কথা নয়। আর দুই, ভুঁড়ি নিয়ে আপনারা সবাই ফূর্তিতেই ছিলেন। আর তিন, একসঙ্গে এতোগুলো মানুষের ভুঁড়ি এককথায় ঝরে যাবে, এটাও ঠিক স্বাভাবিক ঠেকে নি আমার কাছে। কিন্তু কথা হচ্ছে, ভুঁড়ি যদি চুরিই হবে, তবে তার উদ্দেশ্যটাই কী আর হলই বা কিভাবে?”
ঘরের মধ্যে টানটান নৈঃশব্দ্য খেলা করছে। সবাই চুপ। দারোগাবাবু তাঁর মাথার টুপি হাতে নিয়ে প্রচণ্ড মনোযোগ সহকারে পর্যবেক্ষণ করছেন। বিডিও আবার মুখ খুলতে যাবেন, হেনকালে চা-বিস্কুট নিয়ে দুজন ঢুকল। চায়ে এক চুমুক দিয়ে বিডিও আবার মুখ খুললেন, “যাইহোক, এর পরের কথায় আসছি। কিন্তু তার আগে বড়োবাবু, আপনাদের তরফে এর কোন কিনারা হল?”
দারোগাবাবু আপনমনে গরম চা খাচ্ছিলেন, বিডিওর আচমকা প্রশ্নে চমকে টমকে একাকার।
বহু কষ্টে নিজেকে সামলে নিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, মানে ইয়ে, মানে না। মানে… মানে, আমি আপনার সঙ্গে একমত নই ম্যাডাম। ভুঁড়ি আবার কখনো চুরি যায় নাকি? যতোরাজ্যের ফালতু কথা। আমি তাই এইসব ব্যাপার নিয়ে আর মাথা ঘামাইনি। এত ছোটখাটো ব্যাপার নিয়ে পুলিশের মাথা ঘামালে চলে না।”
দারোগাবাবুর কথা শেষ হতেই একটা ছোটোখাটো প্রতিবাদের ঝড় উঠল। পুলিন বলল, “এভাবে আমাদের ভুঁড়িকে অপমান করার কোন অধিকার নেই আপনার।”
চিন্তাহরণবাবু ঘাড় দুলিয়ে বললেন, “হ্যাঁ, ভুঁড়ির ইজ্জত বলে কথা!”
পয়মন্ত গলা খাঁকরানি দিল, “ভুঁড়ি আমাদের সৌভাগ্যের প্রতীক।”
হ্লাদিনী দেবী এতক্ষণ চুপচাপ শুনছিলেন। এবারে মুখ খুললেন, “ভুঁড়ি না থাকলে মানুষ ডিসিপ্লিনড হতে শেখে না।”
রামতারণবাবু দেখলেন, সবাই বলছে, তাঁরও কিছু বলা দরকার। তিনি বললেন, “আমরা ভুঁড়ি সুরক্ষা সমিতির পক্ষ থেকে থানায় ডেপুটেশান দেব।”
বিডিও দেখলেন, পরিস্থিতি আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। তিনি শান্ত করার চেষ্টা করলেন, “আপনারা দয়া করে থামুন। আমি দেখছি বিষয়টা। আপনাদের এটাই বলার জন্য ডেকেছি যে ভুঁড়ি চুরির ব্যাপারটা আমি মোটামুটি ফয়সালা করে ফেলেছি।”
ঘরের মধ্যে একটা পাতা পড়লেও শব্দ হবে, এমন নৈঃশব্দ্য নেমে এল মুহূর্তের মধ্যে। দারোগাবাবু বললেন, “তাড়াতাড়ি বলে ফেলুন। লোকটাকে ধরে ফেলি। আমার আবার দেরি সয় না।”
বিডিও হাসলেন, “তাই? আচ্ছা, বলছি। তবে বলার আগে একটা সিডি দেখাই। এটাই আপনাদের সব সন্দেহ দূর করে দেবে আশা করি।”
টেবিলের উপরে থাকা ল্যাপটপে একটা সিডি গুঁজে দিলেন বিডিও। খানিক পরেই ভেসে উঠল ছবি। জায়গাটা বড্ডো চেনা ঠেকল সবারই। রামতারণবাবু অস্ফুটে বললেন, “আমার বাড়ি!”
বিডিও মন্তব্য করলেন, “ঠিক তাই। কিন্তু এখন কোন কথা নয়, চুপচাপ দেখে যান সবাই।”
দুটো স্পিকার লাগানো আছে ল্যাপটপের দুপাশে। জোরালো ঘুরুত-ঘোঁ ঘুরুত-ঘোঁ আওয়াজ। রামতারণবাবুর নাকডাকারই হবে। এবারে ক্যামেরাটা একটু ঘুরে গিয়ে ফোকাস করেছে একটু দূরের ল্যাম্পপোস্টের দিকে। একজন ছায়ামূর্তিকে নড়াচড়া করতে দেখা যাচ্ছে। মানুষটা আস্তে আস্তে এগিয়ে যাচ্ছে রামতারণবাবুর জানালার দিকে। আবছা বোঝা যায়, তার হাতে একটা ছোট যন্ত্রমতো কী যেন। সে এবারে ধীরে ধীরে রামতারণবাবুর জানালায় যন্ত্রের মুখটা বাড়িয়ে ধরল। শ- শ-সোঁ- ও- ও করে একটা আওয়াজ হলো কিছুক্ষণ ধরে। তারপর হটাৎ পিং করে একটা শব্দ হল আর সেই ছায়ামূর্তি যন্ত্রটাকে পুরে নিল নিজের পকেটের মধ্যে। এইবারে মানুষটা পেছনদিকে ফিরল আর ল্যাম্পপোস্টের স্বল্প আলোতেও তার মুখ এক ঝলকের জন্য স্পষ্ট দেখা দিয়েই স্ক্রিনটা অন্ধকার হয়ে গেল। বিডিওর বিশাল টেবিলের উল্টোদিকে বসে থাকা মানুষগুলির চোখ ততক্ষণে ঘুরে গেছে বিডিওর পাশের চেয়ারের দিকে। দারোগাবাবুর মাথা ঝুলে গেছে। রামতারণবাবু চেঁচিয়ে উঠেলেন, “দারোগাবাবু, আমার ভুঁড়ি কেন চুরি করলেন আপনি? জবাব দিন।”
বিডিও-র ঠাণ্ডা গলা শোনা গেল, “শুধু আপনার ভুঁড়িই নয়, রামতারণবাবু। আপনাদের সবার ভুঁড়িই উনি চুরি করেছেন।”
হ্লাদিনী দেবীর গম্ভীর গলা, “কিন্তু কেন? ওঁর কী ক্ষতি করেছি আমরা?”
সিডিটা ল্যাপটপের থেকে বের করতে করতে উত্তরটা দিলেন বিডিও, “সেটা উনিই ভালো বলতে পারবেন। সত্যি কথা বলতে কী, এই রহস্যটা আমার কাছেও পুরোপুরি পরিষ্কার হয়নি।”
এতক্ষণে মুখ খুললেন দারোগাবাবু, “আমি নাহয় রামতারণবাবুর জানলার কাছে গিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে এটা কী করে প্রমাণ হয় যে আমিই ভুঁড়ি চুরি করেছি? আপনার সিডিটাও তো জাল হতে পারে।”
বিডিও নড়েচড়ে বসলেন চেয়ারে, “গুড কোয়েশ্চেন, বড়োবাবু। দেখুন, নিজের মনকে চোখ ঠেরে তো কোন লাভ নেই। আপনি যতই নিজেকে সাধু প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করুন, আপনি নিজে তো ভালোমতোই জানেন যে এই অপকীর্তিগুলো আপনারই। প্রথম থেকে সবাই একবার ভাবুন। চিন্তাহরণবাবুর সঙ্গে খেলার মাঠে আপনার দেখা হয়েছিল। আপনি ওঁর সাথে করমর্দন করেছিলেন। তার পরই ওঁর ভুঁড়ি ঝরে যায়। পুলিনের সঙ্গেও একই ব্যাপার। ওর হাত ধরে ঝাঁকিয়ে করমর্দন করেছিলেন, আর তার পর পরই ওর ভুঁড়ি চুপসে যায়। হ্লাদিনী দেবীর ক্ষেত্রে অনেক দূর থেকে কেউ বাইনোকুলারের মত কোন যন্ত্র তাক করেছিল। আর পয়মন্তের পা জড়িয়ে অনেকক্ষণ প্রণাম করেছিল কেউ। এ দুটোও আপনি বলেই আমার ধারণা। রামতারণবাবুরটা তো আমি স্বচক্ষেই দেখেছি। জগত্তারণবাবুর আর টিনুবৌদির ভুঁড়ি খোওয়া যাওয়াটাও আপনারই কারসাজি বলে আমার ধারণা। খালি কেন করলেন আর কীভাবে করলেন, এই দুটো ব্যাপারই ঠিক ঠিক বুঝে উঠতে পারিনি। সেটাই আপনি খোলসা করুন।”
টেবিলের উল্টোদিক থেকে সমস্বরে রব উঠল, “বলুন, দারোগাবাবু, বলুন।”
দারোগা চুপ করে রইলেন অনেকক্ষণ। হয়তো মন মনস্থির করতেই সময় নিলেন। তারপর ধরা ধরা গলায় যা বললেন তার মর্মার্থ মোটামুটি এরকমঃ
পুলিশের চাকরিতে ঢোকা ইস্তকই ভুঁড়ি না থাকার জন্য বিস্তর আক্ষেপ তাঁর। রোগা প্যাকাটি মার্কা পুলিশকে কজন পোঁছে? এদিকে তাঁর একজন বন্ধু দীর্ঘদিন ধরেই গবেষণা করছিল কী করে মেদ ঝরানো যায় বা সেই ঝরানো মেদ কীভাবে পুনঃ প্রতিস্থাপন করা যায়। দারোগাবাবু বন্ধুর আবিষ্কৃত যন্ত্রগুলি বিদেশ থেকে আনান এবং তার পরপরই তাঁর বদলি ভুঁড়েলবাটি থানায়। যে সুযোগের জন্য এতদিন অপেক্ষা করছিলেন, সেই সুযোগ একদম হাতে নাতে পেয়ে গেলেন। নতুন জায়গায় এসে শুরু থেকেই তিনি নবলব্ধ দ্রব্যাদির সদব্যবহার শুরু করে দিলেন। একটা ছিল খূব ছোট সূক্ষ্ম একটি যন্ত্র। সেটা বাইরে বেরোনোর সময় ডান হাতের মধ্যমার তলায় লাগিয়ে নিতেন। করমর্দনের সময় ভুঁড়েল লোকের ভুঁড়ি তাঁর শরীরে জমা হত। তবে, ওই যন্ত্রের কার্যকারিতা কম। তাই চিন্তাহরণবাবু, পুলিন বা পয়মন্তের ভুঁড়ি ঝরে গেলেও তাঁর দেহে মেদবৃদ্ধি হয়েছে অল্পই। বরং দ্বিতীয় যন্ত্রটি, যেটি দেখতে অনেকটা বাইনোকুলারের মতো, সেটার কার্যকারিতা অনেক বেশি। সেটা দিয়েই হ্লাদিনী দেবী বা রামতারণবাবুর ভুঁড়ি বাগিয়েছেন তিনি। আর জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিকে তিনি একদিন সকালে কলেজের মাঠে নিজেদের মধ্যে তর্কবিতর্ক করতে দেখে দূর থেকে যন্ত্র তাক করেছিলেন। ওঁরা যে যার যুক্তি গোছাতে এতই ব্যস্ত ছিলেন যে দারোগাবাবুর দিকে আর কারুরই নজর পড়েনি।
দারোগাবাবুর কথা শেষ হতেই একটা ছোটখাটো ঝড় উঠল ঘরে। সকলেই যে যার চোরাই ভুঁড়ি ফেরত চায়। চিন্তাহরণবাবু বললেন, “ভুঁড়ি ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের চিন্তা যাবে না।”
তাঁর কথায় একটা হইহই রব উঠল। দারোগাবাবু বললেন যে তিনি শুধু নেওয়ার পদ্ধতিই শিখেছেন, ফেরত দেওয়ার পদ্ধতি শেখেননি। ক্ষণিকের মধ্যে একটা শোকের পরিবেশ নেমে এল পুরো ঘর জুড়ে। বিডিও চিন্তাভাবনা করে বললেন, “তা কেন? যে পদ্ধতিতে নিয়েছেন, সেই পদ্ধতিতে ফেরত দিলেই তো ল্যাঠা চুকে যায়।”
একমাত্র দারোগাবাবু বাদে বাকি সবারই কথাটা মনে ধরল। দারোগাবাবু নীরব দেখে পুলিন বলে উঠল, “কী ব্যাপার, দারোগাসাহেব? কথাটা কি আপনার মনে ধরল না?”
দারোগা আমতা আমতা করে উত্তর দিলেন, “না, মানে ঠিকই আছে। কিন্তু আমাকে কয়েকটা দিন সময় দিতে হবে। আসলে ভুঁড়িটাকে ভালোবেসে ফেলেছি তো।” বলেই নিজের ভুঁড়িতে একবার আলতো করে হাত বুলিয়ে নিলেন।
বিডিও হাল ধরলেন এবার, “দেখুন দারোগাবাবু, নিজেরটুকু নিয়েই সন্তুষ্ট থাকা ভালো। ওঁরা ওঁদের ভুঁড়ি নিয়ে সুখে শান্তিতে আছেন। আপনিও আপনার চেহারা নিয়ে সুখে থাকুন না। কে কী বলল, তাতে কী আসে যায়? আসল কথাটা হল, নিজে আনন্দে থাকা। সেটা হলেই দেখবেন, আর কিছু আপনার গায়ে লাগবে না।”
হ্লাদিনী দেবী গলাটা সামান্য খাঁকরিয়ে নিয়ে মুখ খুললেন, “আরে, চেষ্টায় কী না হয়? আপনি উদ্যমী লোক, লেগে থাকলে নিজের ভুঁড়ির উন্নতি নিজে করতে পারবেন না? পুলিশ হয়ে চোরাই ভুঁড়ির কারবার! ছি! ছি!”
অত্যন্ত অনিচ্ছার সঙ্গেই ঘাড় কাত করলেন দারোগাবাবু, “বেশ। আপনারা সবাই বলছেন যখন এত করে। একটা দিন ঠিক করুন, আমি ফেরত দিয়ে দেব।”
এ কথায় সমবেত উল্লাসধ্বনি উঠল একটা।
দ্বাদশ পর্ব
শীতের সকাল। ভুঁড়েলবাটির বার্ষিক ভুঁড়ি প্রতিযোগিতা। শ্রেষ্ঠ ভুঁড়ির অধিকারী ব্যক্তি পাবেন ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়িরত্ন সম্মান। সকাল থেকেই সাজো সাজো রব। পয়মন্ত একদিকে টেবিল চেয়ার বিছিয়ে বসে গেছে। প্রচুর লোকজন আসছে তার কাছে নিজের ভুঁড়ি একবার ছুঁইয়ে নিতে।
পুলিন একটা মোটা লাঠি নিয়ে খাকি জামাপ্যান্ট পরে তদারকি করে বেড়াচ্ছে। তাকে সত্যি সত্যিই পুলিশের মতো লাগছে। একপাশে টিনুবৌদি আর জগুবাবুর তর্ক বেধে গেছে কে জিতবে তাই নিয়ে।
প্রচুর প্রতিযোগী বলে ঠিক হয়েছে প্রথমে হিটস হবে। হিটসের শেষ রাউণ্ড শুরু হবে। আরো সবার সাথে হ্লাদিনী দেবী আর চিন্তাহরণবাবুও আছেন। রেফারি পুলিন তার বাঁশি বাজাতে যাবে, এমন সময় সাদা হাফ শার্ট, শর্ট প্যান্ট আর টুপি পরা একজন তাঁর ভুঁড়ি নিয়ে হাঁফাতে হাঁফাতে এসে বললেন, “পুলিন, আমিও দাঁড়াবো।”
গলাটা খুব চেনা লাগায় সকলে একসাথে ঘাড় ঘুরিয়ে চমকে যায়- আরে! এ যে দারোগাবাবু! নিজের চেষ্টাতেই ভুঁড়ির বেশ উন্নতি ঘটিয়ে ফেলেছেন এই কয়দিনে। সবাই সরাসরি করে জায়গা করে দেয়।
পুলিন হুইসল দেয়- ফুরররর!
.……..০……
(সমাপ্ত)
আগের পর্ব গুলি দেখুন – ধারাবাহিক লিঙ্কে