Home / গল্প / জহুরীর চোখ- নির্মাল্য ঘরামী

জহুরীর চোখ- নির্মাল্য ঘরামী

স্কুল থেকে ফেরার সময়ে অরুণজীর চোখ হঠাৎই চলে গেল রাস্তার দিকে। কিছুটা দূরে ফুটপাথের উপরে বসে পাগলি মতন একটা মেয়ে তার বোঝা নামিয়ে রেখে কোন রেস্তোরাঁর ফেলে দেওয়া একটা প্যাকেট বের করে সেটা থেকে একমনে হরেক খাবার বের করে খাচ্ছিল।

আরে ও বিনসা না!

আঁতকে উঠলেন তিনি।

আরে কি যা তা ভাবছেন উনি? নিজের মনেই নিজেকে বলে উঠলেন তিনি, -সে কি আর এ তল্লাটে আছে?

কোন তল্লাটেই নেই। কেননা থাকা সম্ভব না।

তার ছবি নিয়েই তো সেবারে বিশাল মিছিল বের করলেন গোটা শহর জুড়ে। মিছিল থেকে আওয়াজ উঠছিল,

শহীদ বিনসা জিন্দাবাদ!

জয় গোর্খা। জয় গোর্খা।

বঙ্গাল সরকার হোঁশিয়ার!

বিনসা অমর রহোস।

সাহসে ভর দিয়ে চোখ কচলে ভালো করে তাকালেন তার দিকে।

নাহ, এ আরেকটা পাগলি। সারা পাহাড়ে, সারা ভারতে সমাজ পরিত্যক্তা মেয়ের কি কোন অভাব আছে? অভাব শুধুই জহুরীর চোখের, যে চোখ তাঁর ছিল! হয়তো বা এখনও আছে।

আর তাই মাঝে মধ্যেই তিনি বিনসাকে এখানে সেখানে দেখছেন। দরকার নেই এই জহুরীর চোখের! শুধু একটু শান্তি পেলে হয়।

কিন্তু তাঁর এই জহুরীর চোখ কী আর অবসর নেবে না?

কোনদিন তাঁকে ছেড়ে যাবে না?

মনে হয় না!

 

(২)

ফোনটা সজোরে পাশে নামিয়ে রাখলেন অরুণ প্রধান। নেহাত সেখানে গদি ছিল, নাহলে ফোনের কপালে দুঃখ ছিল। এই বনধের দিনে ফোনটা নষ্ট হলে নতুন একটা ভাল ফোন জোগাড় করাও কষ্টের। চেক তো দিতেই পারেন, কিন্তু লোকে এখন ক্যাশ পছন্দ করছে। সব ব্যাংক বন্ধ, সব এটিএম বন্ধ- হাতে নগদ কোথায় লোকের?

-কি হল? পাশ থেকে মনোজ মোক্তান জিজ্ঞেস করলেন।

-ওরা বলছে যে এত দূর থেকে কিছু করতে পারবে না। হতাশ গলায় বললেন অরুণজী।

-তাহলে চলবে কি করে? উত্তেজিত গলায় মনে হল নিজেই নিজেকে প্রশ্ন করলেন মনোজজী।

-সেটাই জানি না। জানালা দিয়ে তিস্তাপারের সিকিম পাহাড়চূড়া দেখতে দেখতে অরুণজী বললেন, “উনি বলে দিলেন এতদূর দার্জিলিং থেকে তোমাদের ওখানে কিছু পাঠাতে পারব না। এখন নিজেদেরই ম্যানেজ করতে হবে। আন্দোলন থামলে পরে দেখা যাবে।”

-তাহলে কি নিজেদের পকেট থেকেই এই এত বড় মুভমেন্ট চালাব আমরা? ক্ষোভে মাথা নেড়ে মনোজজী বললেন, -এতদিন হয়ে গেল। এভাবে হয় নাকি!

-আবার প্রচ্ছন্ন হুমকিও দিয়ে রাখল।

-যেমন? উত্তেজিত হয়ে একটু পাশে সরে এলেন মনোজজী। মুখটা অরুণজীর মুখের কাছে এনে জিজ্ঞেস করলেন, -এই পরিস্থিতিতেও? আমরা এত কষ্ট করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও?

-হ্যাঁ! বলছে যে তোমাদের ওখানে তো কিছুই আন্দোলন হচ্ছে না। এবারে মাঠে নামো। না হলে নেতৃত্বে বদল আনতে হবে।

-এ্যাঁ? এতদিন আমরা এই অ্যাজিটেশন টানলাম, পুরোটাই নিজেদের পকেট থেকে, আর এখন বলছে যে বদল আনবে?

-তবে আর বলছি কি? বলছে যে সেরকম হলে ইয়ং জেনারেশনকে মাঠ ছেড়ে দাও।

-সে নিক না। যা খুশী মর্জিমতন করছে আর ভুগছি আমরা। ক্ষোভের সঙ্গে মাথা নেড়ে বলে মনোজজী বলে চললেন, -একবারও আমাদের সঙ্গে শলা-পরামর্শ করে না!

-সেখানেও একটা সমস্যা আছে?

-যেমন?

-দ্যাখ, আমরা তো দল বদল করতে পারব না।

-ঠিক। মনোজজী মাথা দোলালেন, -সে প্রশ্নই নেই।

-তাছাড়া আমাদের দলটা ছাড়া এখন পাহাড়ে আর কোন দল-ই নেই। তাই যা করার দু’দিক বাঁচিয়েই করতে হবে।

-এক’শবার। মনোজজী জোর দিয়ে বললেন, -ইয়ং চ্যাংড়ারা হাতে আন্দোলনের রাশ পেলে যা-তা করে ফেলতে পারে। আর পরিচিত মুখ হিসেবে আমরা তো তখন আর দায়িত্ব এড়াতে পারব না। ধরবে তো বটেই! একবার ঢুকলে আর নিস্তার নেই। কবে বেরোতে পারব, কোন ঠিক নেই।

-নাহ! কোথায় লুকোব? অরুণজী হতাশ গলায় বললেন, -এই বয়সে পালিয়ে বেড়াবার রাজনীতি করতে পারব না।

-ঠিক, মনোজজী স্থির কন্ঠে বললেন, -এই বয়সে জেলে যাওয়া পোষাবে না। আর এই পরিস্থিতিতে সেখানে ঢুকলে জামিন পাওয়া অসম্ভব। তার মানে আন্দোলনের রাশ আমাদের হাতেই রাখতে হবে। সেটাতেই সবার মঙ্গল।

-ঠিক। কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে না চটিয়ে একটা দেখাবার মতন কোন কাজ করতে হবে। সতর্ক গলায় অরুণজী বললেন, মাথা খাটাতে হবে। দ্রুত কোন উপায় একটা বের করতে হবে আমাদের।

মোবাইলটা হাতে তুলে নিয়ে চায়ের অর্ডার দিলেন অরুণজী। একটু মাথা ঘামানো দরকার। উপায় একটা বেরোবেই।

 

(৩)

জানালা দিয়ে নিচের দিকে তাকালে চোখ চলে যায় লঙ্গরখানার দিকে। সেটা পার্টি থেকে চালানো হচ্ছে। গাদা লোক ত্রিপলে বা চেয়ারে বসে খাওয়া-দাওয়া করছে। এখানে এলে দিনে একবার নিশ্চিত খাওয়া পাওয়া যায়। বনধের দিনে সমতল থেকে পাহাড়ে বেশি গাড়িটাড়ি আসছে না। ফলে রসদে টান পড়েছে। তাছাড়া কোন কাজকর্ম নেই কারুর হাতে। গাড়ি ড্রাইভারেরা বসে আছে, হোটেল মালিক-কর্মীরা হোটেল বন্ধ করে রাখতে বাধ্য হয়েছে, রাস্তা বা বাড়ি-ঘর তৈরীর কাজ বন্ধ, দোকান-হাট দিনেমানে একপ্রকার বন্ধই থাকে। মদ খেয়ে শুয়ে-বসে হাহুতাশ করা ছাড়া দিন-আনা দিন-খাওয়া লোকেদের আর কিছুই করার নেই। কাজ কোথায় লোকের হাতে? অদ্ভূত এক বনধ নেমে এসেছে সর্বত্র। তবে এই অবস্থাতেও পয়সা ফেলতে পারলে সব পাওয়া যায়, মায় লেপার্ডের চামড়া! তাই অনেক লোকই ইদানীং ভিড় জমাচ্ছে পার্টি পরিচালিত এই লঙ্গরখানায়। মূলত বাজারের ব্যবসায়ীদের উপরে বেঁধে দেওয়া তোলার টাকায় চলে এটা।

 

বিনসাকে লক্ষ্য করছিলেন অরুণজী। মেয়েটি কালিদাড়ায় থাকে। মানে বাড়ি ছিল সেখানে। এখন গোটা শহরই ওর বাড়ি। তার মাথায় ছিট দেখা দেওয়ার পরে বাড়ির লোকজন প্রথমদিকে ওষুধ খাওয়াবার চেষ্টা করেছিল। তবে এখানে মেন্টাল হাসপাতাল না থাকায় বারে বারে ডাক্তার দেখাতে শিলিগুড়ি নিয়ে যাওয়া আর তাদের পক্ষে সম্ভব হয় নি। তাছাড়া সে মোটেই ওষুধ খেতে চাইত না। বাড়ির লোক প্রথমে চেষ্টা-চরিত্র করলেও পরে হাল ছেড়ে দেয়। বিনসা একমনে প্লাস্টিকের থালা থেকে ডাল আর রাই শাক মাখিয়ে ভাত খাচ্ছিল।

 

কিছুক্ষণ অরুণজী দোনা-মোনা করলেন। অবশ্য দ্রুত সেটা কাটিয়েও উঠলেন। আর উপায় কী? তাঁর হাব-ভাব দেখে মনে হল একটা সিদ্ধান্তে তিনি এসেছেন। হাল্কা একটা হাসির রেখা ফুটে উঠল মুখে। মনে মনে ভেবে নিলেন যে আগে থেকে কি ঘটতে চলেছে, সেটা পুলিশকে না জানালেও আঁচ একটা দিয়ে রাখবেন, যাতে পরে তাঁকে তারা দোষারোপ না করতে পারে। সবদিক সামাল দিয়ে না চলতে পারলেই পা ফসকে পাহাড়ি খাদে পড়বেন!

এটা পাহাড়!

এখানে যে নেতা একবার ক্ষমতার চূড়া থেকে সরে যায়, সে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে না।

এটাই এখানে নিয়তি!

(৪)

গন্ডগোল যে আজ কিছু একটা হবে, সেটা আঁচ করা যাচ্ছিল সকাল থেকেই। পাহাড়ের এই আন্দোলনে যে ঝড় উঠেছিল, সেটা একদিন না একদিন আছড়ে পড়বে, সেটা অনেকেই জানত। কবে হবে বা কিভাবে, সেটা আন্দাজ করতে পারেনি আগে থেকে।

সকাল থেকেই সরকারী বাস স্ট্যান্ডের কাছে বিশাল একটা জমায়েত হয়েছিল। যদিও ঝামেলার কারণে নিরাপত্তার অভাবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের সরকারি বাস ইদানীং থানার সামনে থেকেই ছাড়ছিল, তবুও অফিসটা-তো আর উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া যায় না। এবারে বিক্ষোভকারীরা সেই অফিসটাকেই টার্গেট করেছিল। সকাল থেকেই সেটার সামনে একদল লোক জড় হয়ে স্লোগান দিচ্ছিল। সামনের সারিতে ছিল মূলত সালোয়ার-কামিজ পরে মেয়েরা। কয়েকজন বয়স্ক, গরীব মেয়ে শাড়িও পরেছিল। মূলত সার্কুলার রোডের বস্তিগুলো থেকেই এরা এসেছে। তারা নেপালিতে হরেক স্লোগান দিচ্ছিল।

-বঙ্গাল অ্যাওটা কবরস্থান। কবরস্থানমা হামিলে বসদই ন!

-জয় জয় গোর্খা, জয় গোর্খা।

-বঙ্গাল দূর হটো।

-জয় জয় কালী, মা কালী।

আয়ো আয়ো গোর্খালী!

দলে বেশ কিছু যুবক পিছনের দিকে দাঁড়িয়ে সজোরে আওয়াজ দিচ্ছিল। তাদের কারুর কারুর মুখ কালো কাপড়ে ঢাকা। আর একপাশে জনাকয়েক বাঙালী দাঁড়িয়ে ছিল। তাদের একপ্রকার ভয় দেখিয়েই আনা হয়েছিল। যদিও তাদের গায়ে কেউ কখনো হাত দেয়নি, তবুও তারা বেশ সিঁটিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল। তারা মুখ কাঁচু-মাচু করে মাথা নিচু করে সেইসব স্লোগানে মাঝে মাঝে গলা মেলাচ্ছিল। কিছুটা দূরে একদল পুলিশ উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহনের অফিসটাকে গার্ড করে দাঁড়িয়ে ছিল। সংখ্যায় তারা বেশি নয়, কেননা শহরের প্রশাসনিক ভবন ছাড়াও বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিং জ্বালানোর প্ল্যান করেছে আন্দোলনকারীরা, সেই খবর পুলিশের কাছে পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ফোর্স-ও বেশি নেই। ফলে শংকিত মুখে হেলমেট মাথায়, চেস্ট গার্ড পরে, হাতে লাঠি বা টিয়ার গ্যাস চালাবার রাইফেল বা এমনি থ্রি নট থ্রি রাইফেল নিয়ে তারা দাঁড়িয়ে ছিল। কয়েকজনের হাতে ছিল অটোমেটিক, তবে এইসব অস্ত্র মূলত রাবার বুলেট ছোঁড়ার জন্য। দার্জিলিং-এর গন্ডগোলের পরে এখানে পরিষ্কার বলে দেওয়া হয়েছে যতটা সম্ভব রাবার বুলেট ব্যবহার করার।

 

-আমরা পাশের গলিতে যাব মিছিল করে, দলটা থেকে বিনসা চিৎকার করে উঠল, -যেতে দে আমাদের।

-ভাগ, পাগলি! একজন স্থানীয় নেপালি পুলিশ চেঁচিয়ে বলল, -তুই এখানে কি করছিস?

-দ্যাখ, দ্যাখ, তোকে উল্টো-পাল্টা কথা বলে দিল। দলটা থেকে একজন বিনসাকে উস্কে বলল, -তোকে ভেবেছেটা কি ওরা? তোকে বাড়ি যেতে দিচ্ছে না।

পুলিশদের সামনে কিছুটা ফাঁকা জায়গা। আর তার পরে পুলিশী ব্যারিকেড। তার এপাশে ব্যারিকেড থেকে কিছুটা দূরে জটলা। ভিড় থেকে এগিয়ে এসে সেই ব্যারিকেড ধরে সজোরে নাড়াতে নাড়াতে বিনসা বলল,

-সরা এগুলো। আমি বাড়ি যাব কিভাবে?

-এখান থেকে কেটে পড়। হ্যা, হ্যা করে হেসে সেই পুলিশ কনস্টেবলটি বলল, -যদি না উপরে যেতে চাস।

-তোকে ভয় দেখাচ্ছে! বিনসা, তোকে ভীতু বলছে। তুই এগো তোর সঙ্গে আমরা আছি।

জটলা থেকে চিৎকার করে কয়েকটি মেয়ে বিনসাকে বাহবা দিল। বিনসা এবারে সজোরে ব্যারিকেডগুলি ধরে নাড়াতে থাকল। সেগুলো বাঁধা ছিল না, গায়ে গায়ে ঠেকানো ছিল মাত্র।

-থাম! থাম! কয়েকটি পুলিশ এবারে একসাথে চিৎকার করে উঠল, -সরে যা। ঝামেলায় পড়বি। সর, সর……

দু’টি ব্যারিকেডের মাঝে আলগা হয়ে ততক্ষণে ফাঁক হয়ে গেছে। বিনসা সজোরে সেই ফাঁক আর কিছুটা বড় করে নিজেকে গলিয়ে দিল তার মধ্যে। হাতে তার আন্দলোনকারীদের নেতার ছবি দেওয়া পতাকা। ইতোমধ্যে পিছন থেকে সেই ছেলেগুলো পুলিশকে লক্ষ্য করে ঢিল-পাথর ছোঁড়া শুরু করে দিয়েছে। হঠাৎই পরিস্থিতি বিগড়েও যেতে দেখে পুলিশেরা ঘাবড়ে গেল। তারা দ্রুত পরিস্থিতি জানিয়ে আরো ফোর্স আর নির্দেশ চাইল। ততক্ষণে তাদের মধ্যে কয়েকজন পাথরে আঘাত পেয়ে হাত বা পা চেপে বসে পড়েছে। নেহাত হেলমেট ছিল, নাহলে মাথা বাঁচত না। সঙ্গী-সাথীদের কয়কেজনকে আহত দেখে, একরকম নেতৃত্বহীন হয়ে গিয়ে, এই প্রবল চাপের মুখে পড়ে পুলিশেরা আর মাথা ঠিক রাখতে পারল না।

 

প্রথম রাবার বুলেট-টা এসে লেগেছিল বিনসার পায়ে, হাঁটুর ঠিক উপরে। অসহ্য যন্ত্রণায় পড়ে যেতে যেতে মনে হল তার হাড় ভেঙ্গে গেছে। মাটিতে বসে পড়ে জায়গাটি দেখতে গেল সে। মাথার উপর দিয়ে রাবার বুলেট উড়ে যাচ্ছে। কোথাও টিয়ার গ্যাসের শেল ফাটল। দূরে থেকেও চোখ-গলা তার জ্বালা জ্বালা করে উঠল। কিন্তু পায়ের যন্ত্রণার কাছে তা কিছুই না। ঠিক এই মুহূর্তেই একটা রবার বুলেট এসে আঘাত করল তার গলা।

……০……

Leave a comment

Check Also

স্বীকারোক্তি

স্বীকারোক্তি- ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য

    আজই ফোনটা ডেলিভারি দিয়ে গেলো। অনলাইনে একবার দেখেই ভারি পছন্দ হয়ে গেছিল সমীর …

দর্পণে

দর্পণে – নির্মাল্য ঘরামী    

    -চল, আমি জোরের সঙ্গে বললাম, -ওসব একদম ভাবিস না। তোকে এতদিন পরে পাচ্ছি, …

ফয়সালা

ফয়সালা – নির্মাল্য ঘরামী

  -দেখুন স্যার। বলে সিকিউরিটি গার্ডটি বিজয়ীর দৃষ্টিতে মহাকুলসাহেবের দিকে তাকালো। তার হাতে ধরা ব্যাগটির …

রক্তগোলাপ/ মৌসুমী পাত্র/ পুণ্যতোয়া ধর

রক্তগোলাপ – মৌসুমী পাত্র

  একটা মোটা দড়ি থেকে পাশাপাশি ঝোলানো সারি সারি মৃতদেহ। ছাল ছাড়ানো। গত কদিন ধরেই …