Home / গল্প / স্বীকারোক্তি- ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য

স্বীকারোক্তি- ইন্দ্রাণী ভট্টাচার্য্য

স্বীকারোক্তি
শিল্পী- পুণ্যতোয়া ধর

 

 

আজই ফোনটা ডেলিভারি দিয়ে গেলো। অনলাইনে একবার দেখেই ভারি পছন্দ হয়ে গেছিল সমীর রায়ের। অনেকদিন ধরেই শখ ছিল এমন একটা অ্যান্টিক লুকের হ্যান্ডসেট কেনার। লেখক মানুষ। পছন্দগুলোও বেশ একটু কেতাবি ধরনের। বৈঠকখানা ঘরে গ্র্যান্ড ফাদার ক্লকের পাশেই যে মেহগনি কাঠের তেপায়াটা আছে তারই ওপর রাখলেন ফোনটা। টেলিফোন কোম্পানীতে খবর দেওয়া আছে। তারা এসে কাল লাইন দিলেই সচল হবে সেটি। আপাতত ফোনটি রেখে বেশ খুশি খুশি মনে বসলেন নিজের আরাম কেদারায়। কিছুক্ষণ পর খবরের কাগজটা পড়তে পড়তে সেখানেই তলিয়ে গেলেন ঘুমের অতলে।

 

ঘুমটা ঠিক ভাবে গাঢ় হতে না হতেই হঠাৎ ভেঙে গেল ফোনের তীব্র ক্রিং ক্রিং শব্দে। সমীর বাবু বেশ অবাক হলেন। ফোনটিতে আওয়াজ হওয়ার তো কথা নয়। লাইন তো দেওয়াই হয় নি এখনও। তবে কি কোনো ভাবে তার ছাড়াই চলে ফোনটা, আজকাল যেমনটা মুঠোফোনে হয় আর কি।

 

ত্রস্ত পায়ে রিসিভারটা ধরে কানে ঠেকিয়ে ,”হ্যালো” বলতেই ওপ্রান্ত থেকে বেশ গম্ভীর গলায় কেউ যেন বলে উঠল – “নমস্কার মিস্টার রায়। আপনি হয়তো চেনেন না আমাকে। বিখ্যাত মানুষ আপনি। যদিও আমি আপনাকে খুব ভালো করে চিনি। আসলে একটা দরকারি কথা বলার ছিল।”

  • বলুন।
  • আপনি তো মেট্রোপলিটন ইনস্টিটিউশনে পড়তেন, তাই না?
  • হ্যাঁ। ঠিকই।
  • আজ থেকে তিরিশ বছর আগে মাধ্যমিক দিয়েছিলেন, তাই তো?
  • বাঃ। আপনি তো আমার সম্পর্কে অনেক খবর রাখেন।
  • ওটুকু তো সকলেই জানে। আমি যদিও আপনার লেখার বড় ভক্ত। গুণমুগ্ধ পাঠক। তাই জানার পরিধিটা আরেকটু বেশি।

 

সমীর রায় বেশ খুশি হলেন মনে মনে। নিজের প্রশংসা শুনতে কে না ভালোবাসে? তিনি রিসিভারটা কানে ধরে চুপ করে রইলেন। মাঝে মাঝে এরকম ফোন এলে ভালই লাগে। লোকটি সেই অবসরে বলে চললেন, ” দীননাথ ইনস্টিটিউশনে সেবার আপনাদের সিট পড়েছিল। রেজাল্ট বেরোতে দেখা গেল ভূগোল পরীক্ষায় আপনি আপনার স্কুলে সব থেকে বেশি নম্বর পেয়েছেন, ঠিক কি না?”

সমীর বাবু বেশ খুশি হয়ে বললেন, “হ্যাঁ। মানে ওই একশতে আশি আর কি”।

 

  • হম। বই দেখে লিখলে তেমনটা পাওয়াই স্বাভাবিক।
  • কী , কী বলছেন? কাকে এসব আজেবাজে কথা বকছেন? মাথার ঠিক আছে তো আপনার?

এবারে জোরে হেসে উঠলেন অন্য প্রান্তের মানুষটি , “হা হা হা। সত্যি বললাম বলে বুঝি রাগ হল? নিতে পারলেন না? দেখুন তো ভেবে ঠিক বলছি কিনা? টয়লেটে ময়লার বালতির মধ্যেই তো রেখেছিলেন বইটা?”

  • এবার কিন্তু বাড়াবাড়ি হচ্ছে। আআআপনি কে বলুন তো মশাই? শিগগির বলুন।
  • বলবো বলবো। অল্পেই এত উতলা হতে নেই। আসলে আপনি সেদিন টিভিতে মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের কিসব সাফল্যের টিপস দিচ্ছিলেন, শুনলাম। তাই ভাবলাম এই টিপসটা দিতে বুঝি ভুলে গেছেন। মনে করিয়ে দিলাম সে কারণে। আচ্ছা নমস্কার।
  • দাঁড়ান, বলুন আগে কে আপনি, কার হয়ে টিকটিকিগিরি করছেন? হ্যালো হ্যালোওওও..”

না কোনো শব্দ নেই আর। ডায়াল টোন অব্দি শোনা যাচ্ছে না। মেজাজটা একেবারে বিগড়ে গেলো সমীর বাবুর। সারাদিনে আর একটা লাইনও লিখতে পারলেন না। তাড়াতাড়ি খেয়ে দেয়ে শুয়ে পড়লেন।

 

পরদিনই টেলিফোন দপ্তর থেকে এসে লাগিয়ে দিয়ে গেলো লাইন। তারা অবিশ্বাস করতে পারে ভেবে সমীর বাবু আর বললেন না আগের দিন আসা উড়ো ফোনটার কথা। মনকে বোঝালেন, নিশ্চয়ই ছোটবেলার কোনো বন্ধু হিংসার বশবর্তী হয়ে তাকে পুরোনো কথার জের টেনে উত্যক্ত করার চেষ্টা করছে। তিনি নিজেও এরপর কিছুদিন পর ভুলে গেলেন ব্যাপারটা।

 

আবার ফোনটা এলো দিন তিনেকের মাথায়। তখন তিনি সবে রাতের খাবার খেতে বসেছেন। কার্তিক এসে বলল, “দাদাবাবু আপনার ফোন”।

 

সমীর বাবু যথারীতি “হ্যালো” বলতেই আবার শুনতে পেলেন সেই ঋজু কণ্ঠস্বর – ” যাক, ঘুমোন নি তবে! তা, ইয়ে বলছিলাম, মিস সুনয়না সেনকে কবে বিয়ে করছেন? আজকের কাগজে আপনাদের দুজনের একটা যৌথ সাক্ষাৎকার পড়তে পড়তে মনে হল হঠাৎ।”

  • আপনাকে বলবো কেনো মশাই? সেটা আমার ব্যক্তিগত ব্যপার।
  • না, সে নাই বলতে পারেন। আপনারা সেলিব্রিটি মানুষ, বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যত আপনাদের হাতে, থুড়ি আপনার কলমে। আপনার সাথে কথা হচ্ছে এই ঢের।
  • আশা করি কথা হয়ে গেছে। রাখি তবে ফোনটা?
  • নিশ্চয়ই, শুধু একটা বিষয় একটু মনে করানোর ছিল।

এই অব্দি শুনে সমীরবাবু একবার ভাবলেন রেখে দেবেন ফোনটা। তারপর মনে হল, দেখাই যাক না, কতটুকু জানে লোকটা। একরাশ বিরক্তি সহকারে জবাব দিলেন, “কী?”

  • যাক, আমাকে বাজিয়ে দেখার ইচ্ছেটা ভাগ্যিস হল। তেমন কিছু না। আজ থেকে বছর কুড়ি আগে পলাশ রাঙা পুরুলিয়ায় সেই আদিবাসী মেয়েটার কথা মনে আছে? যার হাতে এক বেহিসেবী জোৎস্না রাতে মহুয়া খেয়েছিলেন, তারপর সারা রাত মেয়েটার বেহুঁশ হবার সুযোগ নিয়ে তার কোমর ধরে নদীর পাড়ে নেচেছিলেন, তার ঘরে আশনাই করে ছিলেন। মনে পড়ে সেই চরম মুহূর্তগুলো? আপনি তো তার পরদিন ভোরবেলা ওষুধ কিনতে যাবার নাম করে পালিয়ে এসেছিলেন হোটেলে। আপনার দুই বন্ধুকেও জানাননি কিচ্ছুটি। শরীর খারাপের দোহাই দিয়ে তড়িঘড়ি ফিরে এসেছিলেন কলকাতায়। পাছে কেউ জানতে পারে!”
  • আপনি কী করে মানে…
  • জানি মশাই সব জানি। মেয়েটার কোলে তারপরে একটা ছেলে এসেছিল। আপনার ছেলে। মেয়েটা যদিও গরুখোঁজা খুঁজেছিল আপনাকে। পায়নি। লোকের প্রশ্নের মুখে বলতেও পারেনি কার ছেলে সে? তার বাপ কে? গ্রামের লোকেরা সালিশি সভা ডেকেছিল। মেয়েটাকে মেরেই ফেলত হয় তো। প্রশাসনের লোকজন খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে একটি হোমে নিয়ে যায়। সেই থেকে মেয়েটি হোমেই আছে। কোলের সেই ছেলেটি এখন অনেক বড় হয়েছে। ডাক্তারি পড়ছে সে। নাহ্ এখন আর তার বাপের পরিচয়ের দরকার নেই। তা এই মেয়েটির কথা মিস সেন জানেন তো?”
  • আপনি কি ব্ল্যাকমেল করছেন আমাকে? কী চান আপনি? “
  • প্রশ্ন তো আমি করলাম আপনাকে। আগে তার জবাব দিন । তারপর নয় পাল্টা প্রশ্ন করবেন। কী যেন নাম ছিল মেয়েটির? অবশ্য আপনি তো জানবেন না। জানার চেষ্টাও করেননি। শুধু শরীরটাকেই চেয়েছিলেন সেই রাতে।
  • চুপ করুন আপনি। আপনাকে কে পাঠিয়েছে বলুন তো? হ্যালো, হ্যালো…

নাহ্ , এবারে সে একেবারেই চুপ করে গেছে। ফোনের ওপারে আবার সেই অসহ্যকর নিঃস্তব্ধতা।

 

সমীর বাবু কিছুদিন আর কোনো কাজে মন বসাতে পারলেন না । ফোন এলেও আর ধরলেন না সহজে। একটা আতঙ্ক রাত দিন যেন গ্রাস করছিল তাকে।

 

এদিকে তাঁকে ফোনে না পেয়ে খসড়ার জন্য তাড়া দিতে একদিন প্রকাশক অরুণ সোম নিজেই চলে এলেন বাড়িতে। “কী মশাই, কী লিখছেন এত যে ফোন ধরার সময় পাচ্ছেন না?” সমীরবাবু একটু অপ্রস্তুত হয়ে বললেন, “আসলে নতুন একটা উপন্যাস লেখায় একটু ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলাম আর কি!”

– তা ভালো। তবে আগে আমাকে আজ ‘দেবীদর্শন’-র পান্ডুলিপিটা দিয়ে দিন দেখি। আমি চলে যাই।

– ওঃ, ওটা তো একটু বাকি আছে দাদা। আমি এই রবিবারের মধ্যেই দিয়ে দেবো। কথা দিচ্ছি।

– ধুর মশাই। তা বললে হয় নাকি! আমাকে প্রেসে আজ দিতেই হবে। না হলে এই বইমেলাতে এটা আর বের করতে পারবো না। এত ভালো একটা লেখা এরকম প্লাটফর্মে বের করতে পারলে আমার আপনার দুজনেরই লাভ। বোঝেনই তো। পাঠকেরা আপনার নতুন লেখা পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকে। আপনি বরং ওটুকু আজ ঝটপট লিখে ফেলুন। আমি অপেক্ষা করছি। কার্তিককে বলে দিন আমার জন্য চারটি ভাত চড়িয়ে দিতে।

সমীর বাবু হালকা হেসে বললেন, “আচ্ছা বেশ।” তারপর তিনি অরুণ বাবুকে বসিয়ে কার্তিককে ডাকতে যাবেন, এমন সময় আবার সশব্দে বেজে উঠল ফোনটা। সমীর বাবু একটু ইতস্তত করে অরুণ বাবুর সামনেই ধরলেন ফোনটা।

  • হ্যালো।
  • আরে, কী ব্যাপার? ভয় পেয়েছেন মনে হচ্ছে। ফোনই ধরছেন না।
  • আমি ভয় পাবো কেনো? ভয় তো আপনার পাবার কথা। বড্ড বাড়াবাড়ি করছেন আপনি। আপনার বেয়াদবি অনেক সহ্য করেছি। আর নয়। এবার কিন্তু সব পুলিশকে জানাতে বাধ্য হবো।

 

কথাগুলো একদমে বলে হাঁফাতে লাগলেন সমীর বাবু।

 

  • হা হা হা হা হা। পুলিশ, অ্যাঁ? তা ডাকুন ডাকুন। বেশ হয় তবে। আমিও তো তাই চাই। তারাও একটু জানুক, শুনুক আপনার মহান কীর্তির কথা।
  • যা বলছেন সব মিথ্যে।
  • সে তো তদন্ত সাপেক্ষ। বরং আপনি বলুন আপনার নতুন এই উপন্যাসটা লেখার আগে কী যেন একটা উপন্যাস লিখেছিলেন, যেটা বেস্ট সেলার হল?
  • আপনি তো সবই জেনে বসে আছেন। এটা জানেন না? ‘গোপগড়ের গহীনে’।
  • ঠিক ঠিক। তা আপনার সৃষ্ট গোয়েন্দা চরিত্রটির নাম যেন কী বেশ? অর্কপ্রভ দেব তাই না?
  • হম।
  • জানি , তবু ঝালিয়ে নিলাম একটু। স্মৃতি বড় বিশ্বাসঘাতকতা করে কিনা। তা নামটা ভালই। তবে আরো ভালো হত, যদি সেটা জাহাঙ্গীর হুসেন হত। ঠিক কিনা?”
  • তার মানে?
  • মানে কিছুই না। মেদিনীপুরে কলেজে অধ্যাপনা করার সময় আপনারই ছাত্র তাজউদ্দীন হুসেন আপনাকে একটি গল্প লেখা খাতা দেয়। তাজের ঠাকুরদা মনিরুল হুসেনের লেখা গল্প। উনি শখের লেখক ছিলেন। তাঁর কোনো লেখাই ছাপা হয়ে বের হয় নি কোনো কালে। তাঁর যদিও তেমন কিছু করার খুব ইচ্ছে ছিল। কিন্তু অর্থ, লোকবল, সুযোগ এবং সর্বোপরি আত্মবিশ্বাস সব কিছুই তার সেই ইচ্ছেপূরণের পথে অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তাঁর সেই খাতা একদিন তার পৌত্র তাজের হাতে আসে। বাংলা সাহিত্যের ছাত্র হিসেবে বুঝেছিল সে, তার দাদুর লেখাগুলো যথেষ্ট সম্ভাবনাময়। সে নিশ্চিত হবার জন্যই আপনাকে সেই খাতাটা দেখিয়েছিল। আপনি সেটা আপনার কাছে রেখে দেন কিছুদিন, সেগুলো পড়েন। জহুরী জহর চেনে। আপনিও একই ভাবে বুঝেছিলেন সেগুলো আপনার কলমে আরেকটু ধার দিয়ে নিলে বেস্ট সেলার হতে বাধ্য। আপনি লেখাগুলো প্রথমে নকল করে রাখলেন। তারপর তাজকে খাতাটা ফেরত দিয়ে বলেছিলেন, সেগুলো সবই রদ্দি গল্প। চলবে না।
  • তাজ বলেছে আপনাকে? এর সঙ্গে আমার লেখার কী সম্পর্ক?
  • আছে, রায় সাহেব, আছে। আপনি তা বিলক্ষণ জানেন। মনিরুল হুসেনের একটি গল্প ছিল সেই খাতায়। নাম – হারানো কেল্লায় হাহাকার। সেই গল্পেরই প্রধান চরিত্র ছিল দারোগা জাহাঙ্গীর হুসেন। তিনি এই গল্পে গোপগড়ে একটি শতাব্দী প্রাচীন পরিত্যক্ত কেল্লায় গুপ্তধনের লোভে ঘটে যাওয়া পরপর তিনটি অস্বাভাবিক খুনের তদন্ত করে সূত্র মিলিয়ে খুনিকে ধরেন। আপনি সেই গল্প পড়ে, সেই গল্পেরই চরিত্র আর জায়গার নাম কিছু ওলটপালট করে উগরে দেন বইতে। তারপর বেশ গালভারি নাম রাখেন তার – ‘গোপগড়ের গহীনে’। সম্পূর্ণ গল্প নাকি আপনার মস্তিষ্কপ্রসূত। অন্ততঃ তেমনটাই আপনার পাঠকরা জানে। এই ভাবে মনিরুল হুসেনকে তাঁর ন্যায্য প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করে যাবতীয় রয়্যালটি বাবদ টাকা নিজের পকেটস্থ করেন।
  • লেখক বিভিন্ন ঘটনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েই থাকেন। সেটা দোষের কিছু নয়।
  • অবশ্যই নয়। কিন্তু আপনি খুব ভালো ভাবেই জানেন এটা অনুপ্রেরণা নয়, ডাহা চুরি! গল্প চুরি! আপনি বোধ হয় জানেন না, আপনার সেই ছাত্র এখন দুরারোগ্য ক্যান্সারের সাথে পাঞ্জা লড়ছে। অনেক টাকার প্রয়োজন। আপনি আপনার পুরনো কলেজে যোগাযোগ করে ছেলেটির হাতে কালকের মধ্যে রয়্যালটির অর্ধেক টাকা পৌঁছে দেবার ব্যবস্থা করুন। তা না হলে আপনার বাকি কীর্তিগুলোর কথা এবার সত্যি সত্যি আপনার শত্রুপক্ষের কানে তুলে দেব। তখন বুঝবেন কাকে বলে ব্ল্যাক মেল।
  • আচ্ছা। ঠিক আছে। তাই হবে । এবার আমায় রেহাই দিন।
  • কথা মত টাকা পৌঁছে দিলে আর আপনি যাদের ঠকিয়েছেন, তাদের কারুর তেমন বিপদ না ঘটলে হয় তো আমার তরফ থেকে ফোন আর আসবে না। তবে একটা শর্ত আছে।
  • কী শর্ত?
  • আপনাকে সৎ ভাবে এর পর থেকে চলতে হবে। লেখক হিসেবে আপনি সমাজের কাছে দায়বদ্ধ। আপনাকে অনেকেই আদর্শ হিসেবে মানে।
  • আচ্ছা বেশ, তাই হবে। কথা দিলাম। এবার আমার একটা অনুরোধ রাখুন। শেষ অনুরোধ। ফোন ছাড়ার আগে একবারটি বলে যান আপনি কে?
  • সমীর রায়।
  • সে তো আমি!
  • আমিও বটে। আমিই আপনার বিবেক।

 

……০……

Leave a comment

Check Also

দর্পণে

দর্পণে – নির্মাল্য ঘরামী    

    -চল, আমি জোরের সঙ্গে বললাম, -ওসব একদম ভাবিস না। তোকে এতদিন পরে পাচ্ছি, …

ফয়সালা

ফয়সালা – নির্মাল্য ঘরামী

  -দেখুন স্যার। বলে সিকিউরিটি গার্ডটি বিজয়ীর দৃষ্টিতে মহাকুলসাহেবের দিকে তাকালো। তার হাতে ধরা ব্যাগটির …

রক্তগোলাপ/ মৌসুমী পাত্র/ পুণ্যতোয়া ধর

রক্তগোলাপ – মৌসুমী পাত্র

  একটা মোটা দড়ি থেকে পাশাপাশি ঝোলানো সারি সারি মৃতদেহ। ছাল ছাড়ানো। গত কদিন ধরেই …

যখন অন্ধকার হাতছানি দিল

যখন অন্ধকার হাতছানি দিল – নির্মাল্য ঘরামী

  আলোটা এবারে দপ করে নিভে গেল। -যাহ! ওর মুখ দিয়ে শব্দটা প্রতিবর্তক্রিয়ার মতন-ই বেরিয়ে …