-এই মুড়িটা খেয়ে দেখুন জবুদা, পিসীমা বললেন, -আমি একটু চা করে নিয়ে আসছি। বলে বারান্দায় বসে থাকা জবুদা’র হাতে মুড়ির একটা বাটি ধরিয়ে দিয়ে ভিতরে চলে গেলেন পিসীমা। আর সেই গমনপথের দিকে দেখতে দেখতে কেমন সংকুচিত হয়ে উঠছিলেন জবুদা। খানিকক্ষণ সেদিকে তাকিয়ে থেকে চোখ সরিয়ে নিলেন মুড়ির বাটিতে। বেশ …
Read More »অজৈব- নির্মাল্য ঘরামী
ওরা ওকে আড়াল-আবডাল থেকে নজরে রেখেছিল। পূর্ণিমা রাত হওয়ার কোন অসুবিধে হল না। এবারে আর চাটনিকে কেউ ছাড়ল না। ও যে ডাইন, তার নিশ্চিত প্রমাণ পাওয়া গেছে। মঙ্গল–একেশ্বরও কিছু বলতে বা করতে পারল না। ওদের কথা শুনবেটা কে? সবাই তখন নিজের নিজের স্বাস্থ্য-সম্পদের রক্ষা করতে মরীয়া! চাটনি যে সিংরাই …
Read More »জাগরণ – নির্মাল্য ঘরামী
তখনও ছটফট করছিল ছাগলটার শরীরটা। চারখানি পা তার এলোমেলো নড়ছিল। যদিও দেহ থেকে মাথাটা বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল, তাও শরীরের স্পন্দন তার থামেনি। পেটটা থেকে থেকেই ওঠা নামা করছিল। কাটা গলাটা থেকে তখনও তাজা রক্ত বেরোচ্ছিল। অনেকটা তাজা রক্ত বেরিয়ে ভিজিয়ে দিয়েছিল সামনের ঘাস। ক্রমশ রক্ত ছড়িয়ে পড়ছিল আরও দূরে। …
Read More »হিমেল কুয়াশা তখন- নির্মাল্য ঘরামী
-আচ্ছা, এই নদীটার নাম কী? নুড়ি পাথর দিয়ে প্রায় সম্পূর্ণ পরিবৃত একটা ছোট্ট নদী দেখিয়ে জানতে চাইল মাধবী। এই গরমে তির–তির করে সামান্য জল বয়ে যাচ্ছে সেটাতে। সামনের পাহাড় দু’টির মধ্যে দিয়ে বেরিয়ে এসে সেটা ক্রমশ চওড়া হয়ে গেছে ভাটির দিকে। নদীটির দুই তীর পলাশ, কুসুম, মহুল, …
Read More »এখন কাজের সময়- নির্মাল্য ঘরামী
সুশীলা ওকে অনুরোধটা না করলে, হয়তো কাজটা হাতেই নিত না ভুবন। ফেসবুকে যোগাযোগ আছে ওরে সঙ্গে, যদিও তা অনিয়মিত। বাল্যের সেই টানটা হয়তো নেই, কিন্তু একটা চার্ম কি থেকে যায় না? আর এমনিতে মেয়েটা ওর থেকে কোনদিন কোন সাহায্য চায় নি। ফলে বাস্তববুদ্ধি সম্পন্ন মধ্য যৌবনে পৌঁছে গিয়েও ওকে না …
Read More »ফাঁদ- নির্মাল্য ঘরামী
ক্লান্ত এক সন্ধ্যায় একাকী ফাঁদের পাশে বসে লোকটা আজ ভেবে দেখল যে সে অনেকদিন ধরে চেষ্টা করে যাচ্ছে পাখিটিকে ধরার। নয় নয় করেও কয়েক হাজার বছর হয়ে গেল। এটাকে ধরতে পারলেই আর কোন চিন্তা নেই। সমস্যা এটা যে এই পাখিটাকে ধরতে গেলেই এর সঙ্গী অন্য পাখিটা চলে আসছে। সঙ্গীটি মারাত্মক। …
Read More »ছেঁড়া পুতুল- নির্মাল্য ঘরামী
বাচ্চা মেয়েটি পুতুলটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিল একটা ঝোপের মধ্যে- ঘোড়ানিম ও পলাশের ঝোপের আড়ালে।। মাঝে মাঝে দুপুরে ও বেড়িয়ে পড়ত। এদিক-সেদিক ঘুরে ফিরে আসত বাসায়। তবে দিন দু’য়েক হল ওর মাসি যমুনা একটা দোকানে যায় কাজে। সেই সুযোগে সে আরেকটু দূরে চলে গিয়েছিল। আনমনে খেলতে খেলতে বুনো ঝোপের মধ্যে পুতুলটিকে পেয়েছিল। …
Read More »মেঘলা রিপু- নির্মাল্য ঘরামী
ক্রিঁক……ক্ল্যাং………ক্রিঁক…………ক্ল্যাং…………ক্রিঁক…………ক্রিঁক………..ক্রিঁক………ক্রিঁক………ক্রিঁক…. একটানা এই বিচ্ছিরি আওয়াজটা শুনে ঘুম ভেঙে গেল চন্দ্রমণিজীর। প্রথমে ঘুমের ঘোরে ঠিক বুঝতে পারেন নি, ঘুম ভেঙে গেলেও না, কেননা ঘুমের রেশ তখনো কাটেনি। তন্দ্রালু অবস্থাতেই উঠে বসলেন বিছানায়। নাহ, শব্দটা অ্যালার্মের নয়। সেটার আওয়াজ আলাদা। তাছাড়া বাইরে সূর্যের আলো ফোটেনি। জানালা দিয়ে চেয়ে দেখলেন, দূরে দূরপীন পাহাড়ের …
Read More »কিটু কি আমাকে ভালোবাসে?-নির্মাল্য ঘরামী
প্রশ্নের সঠিক উত্তরটা এই মুহূর্তেও আমি জানি না। পুরোনো বন্ধুত্ব, অন্তরঙ্গতা, ভাবাবেগ- সবই ঠিক আছে। কিন্তু আমি এখনও পরিষ্কার করে বুঝে উঠতে পারছি না কিটু আমাকে ভালোবাসে কিনা। আচ্ছা, এটা জানার কী খুব দরকার আছে? কিন্তু ভাবনা বাস্তবের সীমানা ছাড়িয়ে কল্পলোকে পাখনা মেলে দেয়। কৌতূহল চরিতার্থ করার ইচ্ছে বড়ই প্রকট …
Read More »জহুরীর চোখ- নির্মাল্য ঘরামী
স্কুল থেকে ফেরার সময়ে অরুণজীর চোখ হঠাৎই চলে গেল রাস্তার দিকে। কিছুটা দূরে ফুটপাথের উপরে বসে পাগলি মতন একটা মেয়ে তার বোঝা নামিয়ে রেখে কোন রেস্তোরাঁর ফেলে দেওয়া একটা প্যাকেট বের করে সেটা থেকে একমনে হরেক খাবার বের করে খাচ্ছিল। আরে ও বিনসা না! আঁতকে উঠলেন তিনি। আরে কি যা …
Read More »