কবিতা

কবিতাঃ ১ আগামী দিনের ধর্ম – সুদীপ্ত বিশ্বাস এমন দিনও আসবে যখন কোনও ধর্মই থাকবে না মানুষ তখন গড-ভগবান কাউকে মনে রাখবে না। মানুষ হবে মুক্তমনা বুদ্ধি জ্ঞানে দীপ্ত ধর্ম নামের খুড়োর-কলে হবে না তাই ক্ষিপ্ত। আগামীতে সেই মানুষই বিশ্বজুড়ে বাঁচবে তারায়-তারায়, গ্যালাক্সিতে মনের সুখে নাচবে। স্বপ্নমাখা ডাগর চোখে করবে …

ভালবাসা যদি ফিরে পাই তবে তো নাচবো ভাই তাধিন তাধিন… পোড়া বিড়ি দেব ছুঁড়ে ফেলে। ফেলে দেব তামাকের শিশি ছেড়ে দেব সব ছাইপাঁশ তেতো জল, বিলিতি বা দিশি। ভালবাসা যদি ফিরে পাই তবে তো গাইবো ভাই গলা ছেড়ে যা আসবে মনে বাতাসকে বলে দেব আমি কত সুখি আকাশকে বলে দেব …

অবলা কথারা আটকে রয়েছে চোখে অবুঝ মনের বোবা কান্নার মত আজকে এখন পাথর চোখেতে শুধু হারানো আবেগ পুরানো দিনের ক্ষত। বুঝলে না কিছু বুঝতে চাওনি বলে সুরের ইশারা সুরকার শুধু জানে দূরের বাতাস দূরে চলে যায় আরও মন শুধু বোঝে হারানো গানের মানে।

আমরা দু’জন আর চারখানি হাত রচনা করেছে এক বিজয় মিনার সেখানে উজ্জ্বল আলো জ্বলে দিন রাত ইমন মুছিয়ে দেয় সব অন্ধকার মন্ময় খেলা শুরু হাতের মুদ্রায় সেতারে হাতের টানে সুদীর্ঘ আলাপ নীল থেকে নীলান্তরে প্রাণ ভেসে যায় অস্তির সমগ্র জুড়ে জেগেছে গোলাপ —————————————————-

রাতের কাছে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই বরং ও রাত ঘন কালো চাদর মুড়ে ঢেকে রাখে আমার যত নগ্নতা সব। ওই আকাশে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই বরং আকাশ ছাতার মত মাথার উপর মুড়ে রাখে সবকিছু  তার বুকের ভিতর। জল বাতাসে নগ্ন হতে লজ্জা তো নেই তারা বরং একটু বেশি …

বৃষ্টি নামে মেঘলা দিনে        রথের ঠিকানায়- মেলা শেষে খোকাখুকু          ফিরছে পায় পায়।   পাঁপড় খেল খোকাবাবু           জিলিপি খেল খুকু- কচি কচি মুঠোয় ধরা         খুশির রেশ টুকু।

                  এখানে হৃদয় জুড়ে শুধুই বিস্মৃতি হাঁচড়-পাঁচড় শেষে অবসন্ন দেহে তীরভূমি ছুঁয়ে দেখি, হাসে মহাকাল। সবকিছু মিশে যায় দিকচক্রবালে অবিরাম বেজে চলে কালের সেতার। অতীতেরা চুপচাপ ফিরে ফিরে এলে সময়ের গাছ থেকে খসে পড়ে পাতা মিশরের মমি থেকে উঠে আসে কেউ আগামীর …

পথিক আমি, পথের কাছে কথা আমার দেওয়াই আছে ঠিক যেভাবে ছোট্ট নদী ছুটতে-ছুটতে দারুণ বাঁচে! মাধুকরী করেই আমি পাহাড় দেখে ঝর্ণাতলে সেই যেখানে অরণ্য-বন ভালবাসার কথাই বলে; সেই সে দেশে যেই না গেছি ছুটতে ছুটতে হন্যে হয়ে নদীও দেখি দারুণ খুশি, আমার জন্যে যাচ্ছে বয়ে।

  ব্যাঙ চললো ব্যাংককে আর চিল চললো চাইনাতে রাত দুপুরে গান ধরল হাসনাবাদের হায়নাতে। মৎস্য বলে, ‘বৎস শোনো, চিংড়ি কোনও মাছই না।’ নেংটি বলে, ‘মাউস রে তোর রঙ্গ দেখে বাঁচি না!’

পাহাড়ের বুক চিরে ঝর্ণাটা নামে অনেক না বলা কথা আছে নীলখামে। ঝর্ণারা মিলেমিশে হয়ে যায় নদী শুনবে নদীর গান, কান পাতো যদি। ও নদী কোথায় যাও? ছলছল তানে? দাও নদী দাও বলে, জীবনের মানে। ঘন্টার ঠুনঠুন, আজানের সুর; নদী জলে মিশে যায় সোনা রোদ্দুর। ছোটছোট ঢেউ তুলে নেচেনেচে যায় সব …