এই সিন্দুক খোলা যায় না, শুধু একদিন ছাড়া।
সুন্দরবাবু আজ ধীরে ধীরে তাঁর সিন্দুকটি খুলে ফেললেন। তারপরে তাঁর জমানো সম্পত্তির হিসেব নিকেশ করতে বসলেন। অনেক কিছুই জমেছে এত গুলো বছরে। প্রথমেই একটা বড় শূন্য হাতে তুলে নিলেন। তারপরে আরো একটা। অনেক শূন্য আছে ভাঁড়ারে, এর যোগফল নিতান্ত কম হবে না। প্রথম প্রথম বড় বড় শূন্য হাতে ঠেকছিল, কিছুক্ষণ পরে ছোট ছোট শূন্য হাতে ঠেকতে থাকল। সংখ্যায় তা অজস্র। সব বের করে হিসেব মেলাতে বসলেন সুন্দরবাবু। অনেক প্রচেষ্টার পরে হিসেব মিলল।
একটি অতি, অতি বৃহৎ শূন্য!
সেটা আজ অবলীলায় হতে তুলে নিলেন উনি। আরে এ যে একেবারে হালকা! হাসবেন না কাঁদবেন, বুঝতে পারলেন না তিনি। ততক্ষণে সেই মহাশূন্যের টানে তিনি হাওয়ায় ভাসতে শুরু করে দিয়েছেন।
তাঁর চিতা থেকে তখনও ধোঁয়া উঠছিল!
……০…..
অংকনঃ- সোমক সেনগুপ্ত