নিরন্তর এক্সপেরিমেন্ট -অন্তে কবিতা বা সঙ্গীতচর্চা যেদিকে মোড় নিচ্ছে, তাতে একই সঙ্গে পুলক, শিহরন, উৎসাহ, উদ্দীপন, দুর্বোধ্যতার দুর্মর উদ্ভটপনায় চমৎকার ঘেঁটে থাকার ইন্টেলেক্ট-চোঁয়া বন্দোবস্ত করে ফেলা যায়।
ধরা যাক, এক কুশলী প্রকরণ পেড়ে দেওয়া গেল, পাসটাইমের কৃষ্টিতে টাইমপাসের নবতম ডাইমেনশন, নন্দনতত্ত্বকে রিডিফাইন করে এমন এক আই-ওপেনার, ঘরের চার দেওয়ালে চার রকমের রঙের চেয়েও ঢের বেশি অভিনব কিছু… কবিতায় বুনে দেওয়া হল ত্রৈরাশিক,বর্গমূল, দ্বিঘাত সমীকরণ, ল্যাজামুড়ো ফ্যাক্টর কিংবা কলন বিদ্যা, গানে কোয়ান্টাম থিওরি, থার্মোডায়নামিক্স… অর্থাৎ এতদিন যা ছিল হৃদি-অনুভবের বিষয়, কাব্য বা সঙ্গীতসুধা মনে বা অনুভূতিতে চারিয়ে নেওয়া ও জারিয়ে নেওয়া এক ভাললাগার উপলব্ধি, সেই প্রাচীন চর্চাভ্যাস থেকে একশো আশি ডিগ্রি বিপ্রতীপে মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস সঞ্জাত প্রখর বুদ্ধিবৃত্তি পুষ্ট এক যুগান্তকারী লেখন-চর্চা, লেখচিত্রের মতনই নিখুঁত অঙ্ক-আবেশ…
নামমাত্র শব্দ বা অক্ষরে লেখা আবেগ.. তীক্ষ্ণ বা ললিত, ঝকঝকে স্মার্ট ও বুদ্ধিদীপ্ত আবেগ, আর তাতেও যদি আই.কিউ পর্যাপ্ত মাথা ঘামানোর খোরাক না পায়, তো আরও বিবিধ পরীক্ষানিরীক্ষা, যেমন,একটিমাত্র শব্দে বা একটি বর্ণে লেখা আস্ত এক কবিতা অথবা স্রেফ কয়েকটি অক্ষর কে পাশাপাশি বা ওপর নিচে সাজিয়ে বা কল্পিত আয়নার গায়ে কিছু অক্ষরকে অদৃশ্য আঠা মাখিয়ে ছুঁড়ে দিয়ে বিম্বিত প্রতিচ্ছায়া নির্মাণ, যেন একটা ধাঁধা বা তুখোড় ওয়ার্ড গেম যা-বোঝা আর না-বোঝার মাঝে এক অবর্ণনীয় চমৎকারিত্বের রেশ থেকে যায় মিডিওক্রিটির যোজন দূরে তীব্র মৌলিক সৃষ্টিসুখের উল্লম্ব উল্লাসে…
এভাবেই ইতিহাসের এক শব্দদূষণহীন ইকো ফ্রেন্ডলি অধ্যায় নিরেট মাইলফলক পুঁতে দিয়ে দিগন্তরেখার দিকে সটান এগিয়ে যাবে।
……০……