জাগল উষা মুছল আঁধার উঠল জেগে পাখি
ভোরাই সুরে গান গেয়ে সে খুলল সবার আঁখি।
দুলিয়ে কোমর কাশফুলেরা ডাকছে শুধু, ‘আয়!’
সে ডাক শুনে বদ্ধঘরে আর কি থাকা যায় ?
চলল সবাই নিজের কাজে মৌমাছিরা ফুলে
নদীর তীরে কাশফুলেরা উঠল দুলে দুলে।
গাঁয়ের পথে কলমিলতা ফুল ফুটিয়ে ডাকে
ছোট্ট নদী যায় হারিয়ে একটু দূরের বাঁকে।
সবাই দারুণ ব্যস্ত এখন, লাঙল চালায় চাষি
গ্রামের গরু চরছে মাঠে, রাখাল বাজায় বাঁশি।
এমনি করেই দিন গড়িয়ে আসল দুপুরবেলা
ফিরল খোকন মায়ের কোলে সাঙ্গ করে খেলা।
নিঝুম দুপুর সূয়্যিমামা এখন প্রখর খুব
মাছের খোঁজে মাছরাঙাটা দিচ্ছে তবু ডুব।
অলস দুপুর ফুরিয়ে গিয়ে বিকেল এল ওই
নদীর বুকে জোয়ার এল, জল করে থই থই।
গাঁয়ের রাখাল ফিরল ঘরে উড়িয়ে দিয়ে ধুলো
সূয়্যিমামাও চোখরাঙিয়ে দিগন্তে ওই শুলো।
মুছল আলো সন্ধ্যাবুড়ির নিকষকালো হাত
গাঁয়েরবুকে আসল নেমে শেয়াল ডাকা রাত।