দিয়া আমার ছাত্রী , সেভেনে পড়ে , ফাইভ থেকে পড়ছে, ওদের বাড়ি গিয়ে পড়াই । রাস্তার ধরে ঘর , পড়াই , চলে আসি , অন্দরের খবর খুব একটা রাখি না ।
দিয়ার দিদি কলেজে পড়ে , এঘরে কমই আসে, এলেও কোন দিকে তাকায় না, কথা বলে না । সংকোচ না দেমাক বুঝি না । আমি ওর কথা ভাবি , ওর সঙ্গে কথা বলতে চাই , ইচ্ছা করে ওকে জড়িয়ে ধরে আদর করতে , কিন্তু পারি না – পারি না ।
আমার বয়স ৩৪ , বিয়ে করিনি না হয় নি জানি না । আমাদের পুরনো পৈতৃক বাড়ি । মা আর আমি থাকি । মায়ের ফ্যামিলি পেনসন , সামান্য বাড়ি ভাড়া আর আমার টিউশনি এই নিয়ে কাটে আমাদের চৈতালি বাতাসের মত খরখরে দিনগুলো ।
দিয়ার দিদি- আকাশ ভাঙা রূপ নেই , আছে ভাদরের ভিজে মাটির মত পেলবতা । ও আমার মনের কোণে ভাবের জল বনে , শরীরে কাঁপন ধরায় , আমার স্বপনে হানা দেয় দিয়ার দিদি ।
দিয়ার পরীক্ষা শেষ হয়ে গেছে , বেশ কিছুদিন পড়াতে যায় নি । সেদিন সকালে ঠুং ঠুং করে কে যেন কড়া নাড়লো । খুলতেই দেখি দিয়ার দিদি , – একী স্বপ্ন না মায়া ! আমার দুয়ারে দিয়ার দিদি !
ঘরে ঢুকে ব্যাগ থেকে একটা বাহারি বিয়ের কার্ড বের করে লজ্জা জড়ানো গলায় বলে, দিদিমণি , সামনের মাসে আমার বিয়ে, বাবা বলেছেন আপনি যেন অবশ্যই যাবেন । এই বলে ও নিচু হয়ে আমাকে প্রনাম করলো ।আমি ওকে বুকে টেনে নিয়ে ওর কপালে একটা আবেগী চুম্বন রেখা এঁকে দিলাম।