Home / কিশোর গল্প / অ্যালার্মের ব্যারাম -মৌসুমী পাত্র

অ্যালার্মের ব্যারাম -মৌসুমী পাত্র

মুরগী মুরগী মুরগী রে
কোঁকর কোঁকর কোঁ
অ্যালার্ম দিতে ভুল করিস তুই
ভ্যাঁপ্পর ভ্যাঁপ্পর ভোঁ।

মুরগীটা রোজ রাতে শোবার আগে অ্যালার্ম দিয়ে শোয়। ভোর পাঁচটায় উঠে কোঁকর- কোঁ ডাকতে হয় কিনা! না হলে পুটুস সময়মতো উঠবে কী করে?


তা সেদিন রাতে হয়েছে কী, মুরগীটার না খুউউব ঘুম পেয়ে গিয়েছিল। ঘুমচোখে কী যে অ্যালার্ম দিয়েছে, নিজেই জানে না। মোটকথা, ভোর পাঁচটায় অ্যালার্ম আর বাজেনি। ফলে মুরগির ঘুম ভাঙেনি। ঘুম যেহেতু ভাঙেনি, সেহেতু কোঁকর- কোঁ ডাকার প্রশ্নই নেই। আর কোঁকর কোঁ ডাক কানে যায়নি বলে পুটুসেরও ঘুম ভাঙেনি।
অন্যদিন পুটুস উঠে তার মা’কে ঘুম থেকে তোলে। পুটুস না ওঠায় তার মাও বিছানায় ঘুমিয়ে কাদা। পুটুস আর তার মা ঘুমিয়ে থাকায় তার বাবাও পাশবালিশ আঁকড়ে ধরে একই ভাবে ঘুমোতে থাকল।

alarm-baram

ওরা তিনজন উঠে পড়লে শব্দে শব্দে পুটুসের ঠাম্মির ঘুম ভাঙে। ঠাম্মি আর পিসি শোয় পুরনো দিনের একটা বিশাল পালঙ্কে। ঠাম্মি উঠলে পালঙ্কের ওই ক্যাঁচকোঁচ আওয়াজে পিসির ঘুম ভেঙে যায়। বালিশটা আঁকড়ে ধরে পাক্কা বারো মিনিট শুয়ে থাকে পিসি। পুটুস অনেকবার ঘড়ি ধরে মিলিয়েছে। তারা সবাই উঠলে পর ঘরের সবসময় কাজের লোক টেবুরানি আড়মোড়া ভাঙে। রান্নার মাসি আকন্দ থাকে ঠিক পিছনের বস্তিতে। তাদের ওখান থেকে পুটুসদের ফ্ল্যাটটা অনেকটাই দেখা যায়। আকন্দ যখন বোঝে যে পুটুসরা সবাই উঠে পড়েছে, তখন হেলতে দুলতে কাজে আসে।
আজ সবই গোলমাল হয়ে গেল। ঠাম্মি জাগল না, পিসি পাশবালিশ আঁকড়ে ধরে ঘুমোতেই থাকল, টেবুরানিও গাত্রোত্থান করল না।
পুটুসদের একদম উল্টোদিকের ফ্ল্যাটে যারা থাকে, তাদের রোজই ঘুম ভাঙে আকন্দের হাঁকেডাকে। আজ আকন্দ দূর থেকে নজর রাখছিল ঠিকই। কিন্তু পুটুসদের কারুর নড়াচড়া না দেখে ভাবল, তাহলে বোধহয় এখনো ভালোমতো সকাল হয়নি। এই ভেবে সে মাটির কলসি থেকে ফাটা স্টিলের গ্লাসে একগেলাস জল গড়িয়ে খেয়ে আবার শুয়ে পড়ল। এদিকে আকন্দের হাঁকডাক নেই বলে পাশের ফ্ল্যাটের লোকজনেরও ঘুম ভাঙল না। আর দোতলার বাসিন্দারা বরাবরই একতলার লোকেদের কথাবার্তার কথাবার্তার আওয়াজে উঠতে অভ্যস্ত। একতলার অধিবাসীরা ওঠেনি বলে দোতলাও ঘুমিয়ে রইল। একতলা- দোতলা ওঠেনি বলে তিনতলার তো ঘুম ভাঙার প্রশ্নই নেই। আর একতলা, দোতলা, তিনতলা পুরোপুরি চুপচাপ, নিস্তব্ধ বলে চারতলাও নাক ডাকিয়েই চলল।
পুটুসদের বিল্ডিংটাই অন্যদিন সবার আগে জাগে। সবাই ঘুমিয়ে বলে পাশের বিল্ডিংও জাগল না। এই করে করে পুরো হাউজিং-ই শুয়ে থাকল।
পাশেই এস পি মোড়ে যে বাজারটা বসে, হাউজিং-র মানুষজনেরাই তার মূল খদ্দের। খদ্দের আসেনি বলে দোকানিরাও হাই তুলতে তুলতে আবার ঘুমিয়ে পড়ল। এদিকে আবার সূ্য্যি ওঠার আগে থেকেই আকাশ ঘনকালো মেঘে ঢাকা। ফলে যে সামান্য দু-চারজন পুরুষ মহিলা সকালে হাঁটতে বেরোবে ভেবেছিল, তারাও ফের বিছানার মধ্যে গিয়ে সেঁধোল।
যাত্রী না থাকলে বাসই আর চলে কি করে? ফলে বাসের ড্রাইভার স্টিয়ারিং ধরে ঘুমিয়ে রইল, খালাসি একটা সিটে হাত-পা ছড়িয়ে চিৎপটাং হয়ে পড়ে রইল। আর কণ্ডাকটার খুচরো পয়সা গুনতে গিয়ে বেজার হয়ে নাক ডাকাতে থাকল, আর তার খোলা মুখের মধ্যে একটা মাছি ভনভন করে উড়তে থাকল, উড়তেই থাকল।
এই করে করে অনেক বেলা গড়িয়ে গেল। দোকানপাট বন্ধ, যান চলাচল বন্ধ। অফিসকাছারিতে যারা নাইটগার্ড, তারা ভাবল, বাবুরা সব এলে তবেই অফিস খুলব। নাহলে আবার চুরিচামারি হলে আমাদের দায় এসে যাবে। বাবুরা আর আসে না দেখে শেষকালে তারাও অফিস তালাবন্ধ করে যে যার বাড়িতে নিদ্রাদেবীর আরাধনা করতে চলে গেল। যে দু’- একজন ছুটকোছাটকা লোক অফিস চলে এসেছিল, অফিস তালাবন্ধ দেখে তারা ভাবল, বোধহয় কোন বিশেষ কারণে ছুটি হয়ে গেছে। যাকগে, বেশি ভেবে লাভ নেই। ছুটি যখন পাওয়া গেছে, আর সকালের বিছানাটাও যখন তোলা হয়নি, তখন যাই, তার মধ্যেই ঢুকি গে।
এই করে করে প্রায় সারাদিন কেটে গেল। এর মধ্যে কয়েকজনের যে ঘুম ভাঙেনি এমন নয়। কিন্তু ঘোর অন্ধকার আকাশ দেখে তারা সবাই ভেবেছে, তাহলে বোধহয় এখনো ভালো করে দিনের আলো ফোটেনি আর ঘুমচোখে হয়তো ঘড়ি ভুল দেখছি।
মুরগীর ঘুম ভাঙল বিকেল পাঁচটায়। অ্যালার্মের শব্দে। চোখ কচলাতে কচলাতে উঠে অ্যালার্মটা বন্ধ করে কয়েকবার কোঁকর- কোঁ ডেকে মুরগি দাঁত মাজতে চলে গেল।
মুরগীর ডাকে পুটুস ধড়মড়িয়ে বিছানায় উঠে বসল। সে ঠেলে তুলল তার মা কে। মা উঠে বসতে বসতেই বলল, “তাই তো পুটুস, আজ না তোর ক্লাস টেস্ট? চল্‌, তাড়াতাড়ি তৈরি হয়ে নিবি।”
পুটুসের মায়ের গলার শব্দে পুটুসের বাবা আড়মোড়া ভাঙে, “তাইতো, আজ অফিসে খানপাঁচেক জরুরী মিটিং আছে। চটপট তৈরি হয়ে নি।”
তাদের হইচইয়ে পুটুসের ঠাম্মি ঘুম ভেঙে কপালে হাত ঠেকিয়ে ইষ্টদেবতাকে স্মরণ করে খাট থেকে নামলেন। খাটের ক্যাঁচকোঁচ আওয়াজে পুটুসের পিসি পাশবালিশটা আঁকড়ে ধরে পাশ ফিরল।
পাক্কা বারো মিনিট পর পিসি উঠে ‘পুটুস’ ‘পুটুস’ হাঁক দিতে টেবুরানি গাত্রোত্থান করে ভাবল, কাল রাতে লুকিয়ে লুকিয়ে চপদুটো সাবাড় না করলেই ভালো হত। গা টা বড্ডো ম্যাজম্যাজ করছে!
আকন্দ ওদিকে একবার ঘুম ভেঙে পুটুসদের বাড়িপানে চেয়ে দ্যাখে, তাইতো! ওরা যে সবাই উঠে পড়েছে দেখছি!
আকন্দের হাঁকেডাকে উল্টোদিকের ফ্ল্যাটের লোকেরা বিছানা ছাড়ল। একতলা জেগে যেতে দোতলাও জেগে গেল। একতলা দোতলা জাগতে তিনতলাও উঠে পড়ল। আর নিচের তিনটে তলাই উঠে যেতে চারতলাও নাক ডাকানো থামানোই সাব্যস্ত করল।
এই করে করে পুরো হাউজিং-ই জেগে গেল কিছুক্ষণের মধ্যেই।
পুরো হাউজিং-র ঘুম ভাঙতে এস পি মোড়ের দোকানীরাও ঘুমঘুম চোখে উঠে বসল। বাসের ড্রাইভার, খালাসি, কন্ডাকটররা দেখল, আরে তাই তো, যাত্রীরা সব আসতে শুরু করেছে!
ধীরে ধীরে পুরো শহরটাই নড়েচড়ে বসল। পড়ন্ত বিকেলের আলো। সবাই ভাবছে, এবারে সকাল হচ্ছে। আকাশ ফরসা হবে। কিন্তু ও মা! এ কী কাণ্ড! সময় যত গড়ায় তত যে অন্ধকার ঘনায়। ঘড়িতে ওদিকে সাতটা বাজে।
হাউজিং-র ভবেশবাবু বেশ ভাবনাদার মানুষ। তিনি বলে বসলেন, “সূর্যগ্রহণ নয় তো?”
যেই না বলা, সাথে সাথে পটাপট কয়েকটা বাড়িতে পোঁ পোঁ করে শাঁখ বেজে গেল।
পুটুসের মা অবশ্য শাঁখ বাজাননি। তিনি যুক্তি দিয়ে বিচার না করে কোন কাজ করেন না। গ্রহণের সময় শাঁখ বাজানো মোটেই পছন্দ করেন না তিনি। যেটা নিতান্ত প্রাকৃতিক ঘটনা, তার সঙ্গে শাঁখের কী সম্পর্ক?
কিন্তু দু’ ঘন্টা পরও যখন আলো ফুটল না, বরং অন্ধকার ঘনতর হল, তখন সবারই ব্যাপারটা কিরকম কিরকম যেন ঠেকল। বিষয়টা কেউই ধরতে পারল না।
এদিকে মুরগিটা দাঁতটাঁত মেজে খানিক পাড়া বেড়িয়ে ঘরে ফিরল। ঘরে ফিরে জলখাবার খেতে খেতে ভাবল, যাই আজ অ্যালার্মটা আগেভাগেই দিয়ে রাখি। কাল ঘুমচোখে খুব কষ্ট হচ্ছিল।
অ্যালার্ম দিতে গিয়ে মুরগির মাথায় বজ্রাঘাত! ও হরি! ফাইভ পি এম কেন সেট করা? তবে কি… তবে কি…? বাইরের দিকে চেয়ে মুরগির মাথাটা ধীরে ধীরে পরিষ্কার হয়ে এল।
কিন্তু কী করা যায়? কী করা যায়? কী করলে সবাই বুঝবে? মুরগি তো ভেবে ভেবে কুলকিনারা পাচ্ছে না। এমন সময়, এমন সময়… হঠাৎ! মেঘের আবরণ সরিয়ে আকাশে উঁকি মারল পূর্ণিমার গোলগাল চাঁদ। মুরগি তাই দেখে ফূর্তিতে মহা শোরগোল জুড়ে দিল।
পুটুস আর তার মা বাবা মিলে স্কুল আর অফিস যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিল। মুরগির ডাকাডাকি শুনে পুটুস বাইরে বেরিয়ে দেখে, তাই তো! আকাশে চাঁদ উঠেছে! উৎসাহে চেঁচিয়ে ওঠে, “মা, মা, দেখো, দিনের বেলায় কেমন রাতের মতোই চাঁদ উঠেছে!”
পুটুসের বাবা আবার দিনের বেলা সানগ্লাস ছাড়া বাইরে বেরোন না। তিনি পড়লেন মহা ফাঁপরে। একরাশ উদ্বেগ ঝরে পড়ল তাঁর গলায়, “তাহলে আমি অফিস যাই কী করে? আমার তো মুনগ্লাস মোটে নেই। ও পুটুসের মা, দোকানে এসময় মুনগ্লাস পাবো কিনা বলতে পারবে? আচ্ছা মুশকিলে পড়া গেল যা হোক।”
পুটুসের মা বাইরে বেরিয়ে দেখেন, ঠিকই তো! মায়াবী আলো লুটোপুটি খেলছে এ বিল্ডিং সে বিল্ডিং জুড়ে। চাঁদের নরম আলোয় রঙচটা বাড়িগুলোও কিরকম লাবণ্যের ক্রিম মেখে ফেলেছে। যা বোঝার বোঝেন তিনি। পুটুসের বাবাকে বলাতে তিনি স্বস্তির শ্বাস ফেলেন, “যাক্‌, তাহলে অফিস যেতে হচ্ছে না। মুনগ্লাসও কিনতে দৌড়তে হচ্ছে না। ভারি চিন্তায় পড়েছিলাম যা হোক।”
আস্তে আস্তে সবাই উপলব্ধি করে যে এতক্ষণ ধরে রাতটাকেই তারা দিন বলে ভুল করছিল।
আস্তে আস্তে সবাই উপলব্ধি করে যে, এতক্ষণ ধরে রাতটাকেই তারা দিন বলে ভুল করছিল। কিন্তু গণ্ডগোলটা তাহলে পাকাল কে? টানাটানি করতে করতে শেষে মুরগির নাম বেরিয়ে পড়ল।
সবাই মিলে চেপে ধরে মুরগিকে, – এসব কী ইয়ার্কি হচ্ছে, অ্যাঁ? আমরা সবাই মিলে তোকে দায়িত্ব দিয়েছি বলে তুই যা খুশি তাই করবি?
মুরগি দেখে, আচ্ছা ঝামেলায় পড়া গেল! কী করা যায়? কী করা যায়? আচমকাই মাথায় বুদ্ধি খেলে যায় মুরগির। পুটুস সেদিন ইংরেজি বই থেকে চেঁচিয়ে চেঁচিয়ে পড়ছিল না, অফেন্স ইস দা বেস্ট ডিফেন্স? আক্রমণই আত্মরক্ষার সর্বশ্রেষ্ঠ উপায়।
মুরগি হাঁউমাঁউ করে ওঠে, “ভুল খালি আমার হয়, না? আর তোমরা সব ঠিক করার মাস্টার? এই যে পুটুস সেদিন স্কুলে বাংলা খাতার বদলে বিজ্ঞানের বই নিয়ে গিয়েছিল, তার বেলা? তারপর আকন্দ পরশু চাপাতার বদলে কালোজিরে দিয়ে চা বানিয়েছিল, তার বেলা? পুটুসের মা দেওয়ালে আগের বছরের ক্যালেণ্ডার টাঙিয়ে রেখেছিল ভুল করে, তার বেলা? দাঁড়াও, দাঁড়াও, আরো আছে। ভবেশবাবু তার মেয়েকে ভুল করে পাশের বাড়ির মেয়ে ভেবে বলেছিল, ‘বুল্টি এখন বাড়ি নেই, পরে আসিস’, তার বেলা? নিত্যবৌদি সিরিয়াল দেখতে গিয়ে ভুল করে একটা গোটা আই পি এল-র ম্যাচই দেখে ফেলেছিল, তার বেলা? আরো বলবো?”
লোকজন দেখে বেগতিক। এবার কার যে কী ভুল বেরিয়ে পড়ে, তার নেই ঠিক। মুরগির তো দেখাই যাচ্ছে, সবার হাঁড়ির খবর জানা। অতএব, বেশি না ঘাঁটানোই বাঞ্ছনীয়। গাজুবাবু বললেন, “আহা! আহা! ও বাচ্চা মুরগি। ভুল করে করে ফেলেছে। ছেড়ে দাও।”
তিনুকাকিমা হঠাৎ করে নিজের পায়ের দিকে তাকিয়ে দেখেন, এই রে! ভুল করে তাড়াহুড়োয় রন্টুকাকুর পায়ের জুতো গলিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। তিনি ব্যস্ত হয়ে বললেন, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, ও তো বাচ্চাই। বাচ্চাদের ভুল অতো ধরতে টরতে নেই।”
মুরগিকে ছেড়ে দেওয়া হল অবশেষে। এবার তাহলে কী করা যায়? এতক্ষণ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে ঘুমও আসছে না কারুর। পুটুস বলে ওঠে, “মা, মা, গান করলে কেমন হয়?”
সমস্বরে সবাই সায় দেয়, “হ্যাঁ, হ্যাঁ, তাই হোক।”
হাউজিং-র মস্ত মাঠে গোল হয়ে বসে সবাই একসংগে গান ধরে-

এক যে ছিল মুরগী
জাতে সে তরুণ তুর্কী
অ্যালার্মের চক্করে পড়ে
হয়ে গেল সে বিবাগী।

এক যে ছিল মুরগী…

মুখে মুখে করিস চোপা
এ কী তোর ভঙ্গি!
ধরতে পারলে করতাম তক্তা
তখন পেতিস টেরটি।

এক যে ছিল মুরগী…

নেহাত করছে গা ম্যাজম্যাজ
তুই বড্ডো জাঁহাবাজ
দয়া করে দিলাম ছেড়ে
নইলে বেরোত ইয়ার্কি।

এক যে ছিল মুরগী…

Leave a comment

Check Also

ভুতুম থুম- মৌসুমী পাত্র

পূর্ণিমার চাঁদটা ভেসে আছে বিরাট একটা গোল থালার মতো। একটা শিশুগাছের ডালের কয়েকটা পাতার ছায়া …

 ছেঁড়া রামধনু – মৌসুমী পাত্র

আমার মা বেজায় দুষ্টু হয়েছে আজকাল। একটা কথাও শুনতে চায় না। এই তো পরশুদিন, বললাম, …

chitrogupter-computer-mp

চিত্রগুপ্তের কম্পিউটার- মৌসুমী পাত্র

“যত্ত সব আদ্যিকালের জিনিস নিয়ে কাজকারবার! আর পারা যায় না বাপু!”, নিজের মনেই গজগজ করতে …

শিল্পী- গুঞ্জা

ফুল-পাখি কথা – মৌসুমী পাত্র

সে ছিল এক গভীর বন। আর সেই বনের ঠিক মধ্যিখানে খানিকটা ফাঁকা জায়গায় ছিল এক …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *