ওই ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটা কে বলো তো দেখি? ওই যে, লাল-নীল রঙের স্কুল ড্রেস পরে মায়ের হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছে? আরে, ও হোলো পুচুম। ভারি ভালো মেয়ে। সবসময় হাসিখুশি থাকে আর সকলের সঙ্গেই ওর ভাব।

-হঠাৎ চলে গেলে কেন ঋতু? কেন আমাকে একবার-ও জানালে না? -তীব্র সেই মানসিক যন্ত্রণা আর আমি সহ্য করতে পারছিলাম না ঋষি। -আমার কথা একবার-ও ভাবলে না। অভিমানভরা গলায় ঋষি বলল, -জান আমি কত খোঁজ করেছিলাম তোমার?

১ শিঙি মাছে ডিঙি বায় পিঁপড়ে টানে মই খোকন সোনা মাছ ধরেছে এত্ত বড় কই।

-উঁহু। তুই খালি শুনতে শুনতে ঘুমিয়ে পড়িস। -আজ ঘুমোব না। বলো না গো। -না বুজাই। আজ থাক। ঘুম পাচ্ছে। -বলোই না। আচ্ছা মা, দাদু যে বলে, তুমি যে গল্পগুলো বলো, তার সবই নাকি গুল! -হুমম। তা তো তোর দাদু বলবেই। সত্যি কথাগুলো ফাঁস হয়ে যায় কিনা।

ঘর থেকে বেরিয়ে যাওয়া প্রতুলবাবুকে দেখতে দেখতে বড়ুয়াসাহেব চ্যাটার্জিসাহেবকে বললেন, -কী মনে হয়? -কী? একটু অপেক্ষা করলেন বড়ুয়াসাহেব। দরজা খুলে প্রতুলবাবু বেরিয়ে গেছেন। ধীরে ধীরে সেই দরজাও বন্ধ হয়ে গেল।

জাগল উষা মুছল আঁধার উঠল জেগে পাখি ভোরাই সুরে গান গেয়ে সে খুলল সবার আঁখি। দুলিয়ে কোমর কাশফুলেরা ডাকছে শুধু, ‘আয়!’ সে ডাক শুনে বদ্ধঘরে আর কি থাকা যায় ? চলল সবাই নিজের কাজে মৌমাছিরা ফুলে নদীর তীরে কাশফুলেরা উঠল দুলে দুলে। গাঁয়ের পথে কলমিলতা ফুল ফুটিয়ে ডাকে ছোট্ট নদী …

অনেকদিন আগে এক বন্ধুতুতো দিদির কাছে একটা ঘটনা শুনেছিলাম। সে মফস্বল শহরের মেয়ে, ঘটনাচক্রে একবার রবীন্দ্র সদনে গিয়ে পড়েছিল কোন এক অনুষ্ঠান দেখতে। অনুষ্ঠানস্থল উপচে পড়েছে ভিড়ে। তার ঠিক সামনেই একদল তরুণী– চলনে-বলনে, বেশভূষায়, প্রসাধনে ঠিকরে পড়ছে উন্নাসিকতা। খানিকক্ষণ বাদেই প্রবল স্থানাভাব- প্রায় বনগাঁ লোকালের তুল্য। এ ওর ঘাড়ে পড়ে …

রথের বেলা ফুরিয়ে এল, আঁধার গেল নেমে- খোকাখুকু ফিরছে ঘরে রথের দড়ি টেনে।

বাহান্ন বাজার তিপান্ন গলি , তবে জানলি তুই চন্দ্রকোণা এলি । চন্দ্রকোণা শহর সম্পর্কে লোকমুখে একদা শোনা যেত এই বুলি। বোঝাই যায় একসময় যথেষ্ট বর্ধিষ্ণু অঞ্চল ছিল এটি। কিন্তু ইতিহাসও কি তাই বলে? চলুন দেখে নেই একবার। ঘুরে দেখা যাক বর্তমানের আরশিতে অতীতের চন্দ্রকোণা।

এবারে বোধহয় ভেবে দেখার সময় হয়ে গেছে। গত কয়েকদিন ধরেই ভাগাড়জাত মাংস বিক্রি নিয়ে শোরগোল পড়ে গেছে। আম বাঙালী যারপরনাই শঙ্কিত। মজার কথা, এতদিন ধরে এইরকম বিশাল ব্যাপ্তি ও পরিধির ব্যবসা রমরমিয়ে চলল, অথচ কেউ কিছু জানতেই পারল না! তবুও, যাঁদের দৌলতে অন্ততঃ সত্যিটা প্রথমবার সামনে এল, তাঁদের কিছুটা হলেও …