শুরু হয়ে গেছে দেবীপক্ষ। মানে বাঙালির বচ্ছরকার ‘মেগাফেস্টিভাল’ প্রায় বলতে গেলে নাকের ডগায়। মনে বেশ ফুর্তি ফুর্তি ভাব।পূজো পূজো গন্ধে নাক সুড়সুড় করছে| নীল আকাশে ভেসে বেড়ানো সাদা মেঘের বেশ কিছু ভেলা পথভ্রষ্ট হয়ে মনের মধ্যেও ইদানিং যথেচ্ছ বিচরণ করছে। আর হবে নাই বা কেন। সারা বছর কলুর বলদের মতো …
Read More »Yearly Archives: 2018
সানু নানি- মৌসুমী পাত্র
চরম খাড়াই রাস্তায় তীব্রগতিতে বাঁকের পর বাঁক পেরোচ্ছে গাড়িটা। ভয়ে চোখ বুজেই ফেললাম। আচমকাই পাশ থেকে মাসিমণি বলল, “নে, এবার চোখ খোল্। কালেবুঁ এসে গেছি।” “কালেবুঁ?”, আমি সংশয়ভরা দৃষ্টি মেলে তাকাই। “হ্যাঁ, রে, হ্যাঁ। তোরা যাকে কালিম্পং বলিস।” “মানে? কালিম্পং আর কালেবুঁ এক! ধুস, কী যে যা তা বকো না …
Read More »একাদশ ও দ্বাদশ পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
একাদশ পর্ব বিকেল পাঁচটা। বিডিও-র চেম্বার। চিন্তাহরণবাবু, পুলিন, পয়মন্ত, হ্লাদিনী দেবী , রামতারণবাবু সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসে। জগত্তারণবাবু আর টিনুবৌদিও আছেন। সবারই মনে একটা চোরা উৎকণ্ঠা। হঠাৎ করে কী এমন হল, যার জন্য তাঁদের সবাইকে ডেকে পাঠানো? নীরবতা ভেঙ্গে কথাটা তুলল পুলিনই, “বিডিও ম্যাডামকে তো দেখছি না।” হ্লাদিনী …
Read More »নবম ও দশম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর
নবম পর্ব নিশুত রাত। নতুন দারোগাবাবু পোশাক আশাক পরে বাইরে বেরোবার জন্য তৈরি। অভ্যাসমত সার্ভিস পিস্তলটা একবার নেড়েচেড়ে দেখে নিলেন। এবার দাঁড়ালেন আয়নার সামনে। নিজের চেহারা দেখে নিজের মনেই আত্মপ্রসাদের হাসি হাসলেন একটু। পুলিশবাবু আজকেও থানাতে এসছিল। ভুঁড়ি চুপসে গিয়ে আগের সেই জৌলুসটাও নেই। বলতে নেই, একটু মায়াই হচ্ছিল …
Read More »চড়াইছানার চড়ুইভাতি – মৌসুমী পাত্র
খুদে খুদে চড়াইছানা। এইটুকুনি মুখ, ছোট ছোট ডানা। ছানাগুলোর খিদে পেয়েছে। মা চড়াই গেছে খাবার আনতে। আসে না, আসেই না। মা চড়াই বলে গেছে, “চুপচাপ থাকবি। গোলমাল করবি না।”
Read More »সপ্তম ও অষ্টম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
সপ্তম পর্ব ফিরছিলেন সকলে। থানা পেরিয়ে একটু এগোলেই বিডিও অফিস। বড় বড় করে লেখা ‘সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়’। দলটা তার পাশ দিয়ে বেরোনোর সময় পয়মন্তের মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল কথাটা, “আচ্ছা, ব্লকে গিয়ে বিডিওকে একবার জানালে হয় না?” দেখা গেল, বাকি সবারই মনে কথাটা ঘুরঘুর করছিল। …
Read More »ষষ্ঠ পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভু্ঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
ষষ্ঠ পর্ব নতুন দারোগাবাবু গুছিয়ে বসে নানান ভাবনাচিন্তা করছিলেন একটু আগে। তাঁর পূর্বসূরী খাসা একখানা চেম্বার বানিয়ে রেখে গেছেন। নরম গদিওয়ালা চেয়ারে বসে হালকা ঠাণ্ডা আমেজে তাঁর চোখ জুড়িয়ে গেল ধীরে ধীরে। বেয়ারা সবুজলাল খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিল তার নতুন সাহেবকে। ভুঁড়েলবাটির জলবাতাসের প্রভাবেই হবে হয়তো, এ ক’দিনেই সাহেবের গায়ে বেশ …
Read More »মেঘবৃষ্টি -মৌসুমী দে
নীল আকাশে ছেঁড়া তুলোর ছোট্ট ছোট্ট ভেলা, রোদ বৃষ্টি মেঘের যেন লুকোচুরি খেলা।
Read More »পঞ্চম পর্ব- ভুঁড়েলবাটির ভুঁড়ি চোর- মৌসুমী পাত্র
পঞ্চম পর্ব উপর্যুপরি এইসব ঘটনায় গঞ্জে মহা শোরগোল পড়ে গেল। লোকজনের সমবেত চাপা দীর্ঘশ্বাসে প্রায় সারাক্ষণই ছোটখাটো ঝড় বইছে। আশেপাশের দশটা গাঁয়ের লোক যতই মহুলবাটিকে ভুঁড়েলবাটি বলে হাসাহাসি করুক না কেন, মহুলবাটির বাসিন্দারা নিজেদের নিয়ে বরাবরই অত্যন্ত গর্ববোধ করে। ছেলেছোকরারা অন্যান্য গ্রামের লোকজনদের শুনিয়ে শুনিয়ে ছড়া কাটে- এমন ভুঁড়িটি কোথাও …
Read More »আমার বাড়ি- মৌসুমী পাত্র
আমার বাড়ি রঙ- বাহারি আলো-ছায়ায় ঘেরা। সবুজ ঘাসে পাখির ডাকে …
Read More »