(শিয়ালনীর পাঠশালায় প্রচুর মজাদার ব্যাপার স্যাপার চলে, যার প্রথম হদিশটা দিয়েছিলাম ‘বাগে এলো বাঘু’ গল্পে। শিয়ালনীর পাঠশালার খবর তোমাদের মাঝেমধ্যে দেবো। পাঠশালাটা কোথায় জানো? বনের ঠিক সেই জায়গায়, যেখানে প্রচুর গাছপালা মিলে মাথার উপরে একটা চাঁদোয়ার মত বানিয়েছে, আর দুটো সেগুনগাছের ইয়া মোটা মোটা গুঁড়ি দুদিক থেকে এসে একটা দরজার মতো তৈরি হয়েছে। জঙ্গলের যত ছানাপোনা জন্তুজানোয়ার, সবাই আজকাল সক্কালবেলা হলেই হাতমুখ ধুয়ে চাট্টি মুড়ি খেয়ে ওখানেই পড়তে যায়। তাদের মধ্যে আছে বাঘিনীর বাচ্চা ছেলে বাঘু, হাতির বাচ্চা মেয়ে হাতুশি আর হনুমানের ছানা মেয়ে হিনিমিনি। এছাড়াও আছে ভালুকের পুঁচকি মেয়ে ভালকি আর কুমীরের বাচ্চা ছেলে কুমরু।)
বনের মধ্যিখানের এই জায়গাটা ভারি সুন্দর। চারিদিকে বড় বড় গাছ তাদের আঁচল বিছিয়ে রেখেছে। দূরের নদীর ধারের সুরদোলানো বাতাস জংগলের ডালপালার সঙ্গে খেলা করতে আসে প্রায়ই। আর নরম নরম ঢেউখেলানো বাতাসে ভারি আরাম লাগে শিয়ালনীর পাঠশালার পোড়োদের। এমনকি, শিয়ালনীরও চোখ বুজে আসে মাঝেমধ্যেই।
গরমের ছুটির পর শিয়ালনীর পাঠশালা খুলেছে সবে। এখনও বর্ষা নামেনি। দুপুরবেলা। টিফিনের পরের ক্লাসে শিয়ালনী অংক করতে দিয়েছে। তারপর জংগলের নরম মিষ্টি হাওয়ায় শিয়ালনীর ঘাড় একপাশে হেলে পড়ল, চোখের পাতা মুদে এল।
পাঠশালার পোড়োরাও অপেক্ষায় থাকে এই সময়টার। হাতুশির অঙ্কে মাথা বরাবরই ভালো। চটপট চটপট আঁকগুলো সেরে ফেলে সে। হিনিমিনি বসেছিল ওর ঠিক পাশেই। সেও অঙ্কগুলো করে নিল তাড়াতাড়ি। ওদিকে ভালকি আর কুমরু মন দিয়ে অঙ্ক কষে যাচ্ছে। খালি বাঘু চুপচাপ এককোণে বসে একমনে কীসব ভেবে যাচ্ছে তো ভেবেই যাচ্ছে।
হিনিমিনির অঙ্ক করা শেষ হতে হাতুশি বলল, “চল, দিদিমণি চোখ খুলতে খুলতে আমরা একটু কাটাকুটি খেলে নি।” হিনিমিনি একগাল হেসে বলল, “যা বলেছিস।” গাছের একটা ছোট ডাল পড়েছিল একপাশে। সেটাকে কুড়িয়ে নিয়ে শুঁড়ে পেঁচিয়ে কাটাকুটির ঘর কাটতে শুরু করল হাতুশি। অমনি পেছন থেকে বাঘুর গলা পাওয়া গেল, “হ্যাঁ রে, হ্যাঁ রে, হ্যাঁ রে, তোরা কি এখন কাটাকুটি খেলবি?”
হিনিমিনি হালকা তেড়েই গেল, “হ্যাঁ, খেলবই তো। তাতে তোর কী? দুজনের বেশি খেলা যায় না।”
“না রে, খেলব না। বলছিলাম কী, অঙ্ক খাতাটা একবার দিবি? একটা অঙ্ক হচ্ছে না।”
কথাটা কিন্তু মিথ্যে। বাঘু মোটেও একটা অংক করার চেষ্টা করেনি।
তা হিনিমিনি আর বেশি কথার দিকে গেল না। নিজের খাতাটা দিয়ে দিল বাঘুকে। তারপর হাতুশি আর হিনিমিনি মেতে গেল খেলায়। বাঘু এদিকে হিনিমিনির খাতা দেখে টুকছে তো টুকছেই। টোকাটুকি শেষ করে কিসব আঁকিবুঁকি কাটল হিনিমিনির খাতায়। তারপর শিয়ালনীর কাছে গিয়ে নিজের খাতা, হিনিমিনির খাতা সব জমা দিয়ে এল। তারপর সোনামুখ করে এসে বসল ওদের দুজনের পাশে।
একটু পরেই চোখ খুলেছে শিয়ালনি। চোখ খুলে চশমাটা ভালো করে চোখে আঁটল। তারপর গম্ভীর গলায় এক হুঙ্কার ছাড়ল- “অ্যাই, গোলযোগ কিসের?”
হিনিমিনি তাড়াতাড়ি কাটাকুটি খেলার জায়গাটা মুছে দিল। ভালকি আর কুমরু ইকিড় মিকিড় চাম চিকিড় খেলছিল। ওরা খেলা থামিয়ে সামনে যে খাতাটা পেল সেটা নিয়েই পড়তে শুরু করে দিল। শিয়ালনী আবার হাঁক দিল, “কোন গোলযোগ নয়। সব চুপচাপ।”
সবাই চুপ । খালি বাঘু উঠে সামনের দুটো থাবা জোড় করে প্রশ্ন ঠুকল, “দিদিমণি, গোলযোগ মানে কী? গোলযোগ কি জলযোগের মাসতুতো বোন?”
শিয়ালনী দাঁত কিড়মিড় করল, “বাঘু, ইদিকে আয়। তোকে গোলযোগ বোঝাচ্ছি। আয়, আয় বলছি।”
বাঘু তার লেজটা পেণ্ডুলামের মত দোলাতে দোলাতে বলল, “দিদিমণি, মানেটা বোধহয় বুঝেছি। গোলযোগ মানে গোলমাল। মানে বিচ্ছিরি রকমের গোলমাল।”
এক হুংকার দিল শিয়ালনী, “বাঘু, কাছে আসতে বলছি, আয়।
বাঘু হাসি হাসি মুখে মুখে ঘাড় নাড়ল, “না দিদিমণি, এখন আপনার কাছে যাবো না। গেলে গোলযোগ হয়ে যাবে।”
শিয়ালনী এক ধমক দিতে গিয়েও থমকে গেল, “ঠিক আছে। দাঁড়া, তোদের খাতাগুলো দেখি। আজ যদি ভুল পেয়েছি বাঘু, তবে বাছাধন… কিল পাইবি এক মণ!”
কিলের কথায় বাঘু ঘাবড়ে টাবড়ে গিয়ে শুকনো মুখে বসে পড়ল। শিয়ালনী হাতুশির খাতা দেখছে প্রথমে। সব ঠিকঠাক। খাতাখানা শুঁড়ে দোলাতে দোলাতে নাচতে নাচতে ফিরল হাতুশি।
তারপর ভালকির খাতা। ভালকি সবই ঠিক করেছে, কিন্তু একটার উত্তর লিখতে গিয়ে ভুল করেছে। কুমরুর দুটো অঙ্ক ভুল। এরপর এল বাঘুর খাতা। শিয়ালনী খাতা দেখে আর ঘাড় নাড়ে, “বা! বাঃ! বাঘু! দারুণ রে দারুণ! সাধু সাধু!”
বাঘু যেন কতোই না লজ্জা পেয়েছে, এমনই ভান করে মাথা নিচু করে। শিয়ালনী ওদিকে খাতা দেখতে দেখতে বলেই চলেছে, “ইস, ইস, ইস। বাঘু, তুই এত ভালো অঙ্ক করিস জানতামই না তো! নাঃ! তুই দুষ্টুমি করিস বটে, কিন্তু পড়াশুনোটা তো ঠিকই করছিস। বেশ, বেশ! চালিয়ে যা।”
বাঘু কাঁচুমাচু মুখ করে বলল, “দিদিমণি, আপনি তো সারাক্ষণ আমার দুষ্টুমিটাই দেখতে পান। একটু আধটু করি ঠিকই, তাই বলে কি সবসময়ই আমি ওরকম?”
বলেই বাঘু সামনের দুই থাবা দিয়ে চোখ ঘষতে শুরু করে দিল। শিয়ালনী ভাবল, বাঘু বুঝি কাঁদছে। ব্যস্ত হয়ে বলল, “বাঘুসোনা, কাঁদে না মনা। নাহয় তোকে বকি, তাই বলে কি কম ভালোবাসি?”
একথায় বাঘু চোখ থেকে হাত সরিয়ে ফুৎ ফুৎ করে দুবার হাসল। শিয়ালনী ততক্ষণে হিনিমিনির খাতা দেখা শুরু করেছে। দেখতে দেখতে ভুরু কুঁচকে চোখ লাল করে মুখ গোল করে বিশাল এক হুংকার ছাড়ল শিয়ালনী- “অ্যাই হিনিমিনি! বলি ইদিকে আয়! এসব কী হচ্ছে? সব কটা অঙ্ক ভুলভাল। আর এটা কী? বলি, এটা কী? অ্যাঁ? এই যে, এইটা কী? আমার ছবি এঁকে তাঁর তলায় লেখা হয়েছে- ঘুমন্ত দিদিমণি?”
হিনিমিনি বেচারি কাঁচুমাচু মুখ করে গেল শিয়ালনীর কাছে। শিয়ালনী ততক্ষণে রাগে ঠকঠক করে কাঁপছে, “হিনিমিনি! তোকে আমি ভালো বলে ভাবতুম! অঙ্ক ভুল করলি করলি, আবার আমার ছবি এঁকেছিস! অ্যাঁ? আমার সঙ্গে ইয়ার্কি? আমার সঙ্গে চালাকি? তোর লেজ আমি কেটে দেবো!”
এ কথায় হিনিমিনি বেজায় ঘাবড়ে গিয়ে কাঁউমাঁউ জুড়ে দিল, “না, দিদিমণি, না। আমার লেজ কেটে দিলে আমি লেজকাটা হনুমান হয়ে যাবো। আঁ আঁ আঁ… আমার লেজ কাটলে আমি মশা তাড়াবো কী দিয়ে? আঁ আঁ আঁ…।”
শিয়ালনী যত বকে, হিনিমিনি তত কাঁদে। হাতুশি মাঝে বলার চেষ্টা করল, “দিদিমণি, কোথাও একটা ভুল হচ্ছে। আমি আর হিনিমিনি তো একসঙ্গেই অঙ্ক করছিলাম। ও কিছু করলে তো আমি দেখতে পেতাম।”
এ কথায় শিয়ালনী এক ধমক দিয়ে বলল, “থাম, মেলা বকিস না। উনি আবার হিনিমিনির হয়ে বলতে এসেছেন! বাঘুটা দিনদিন ভালো হচ্ছে, আর হিনিমিনিটা দিনদিন খারাপ হচ্ছে!”
ভালকি এতক্ষণ চুপচাপ বসেছিল। এইবার সটান উঠে দাঁড়াল, “দিদিমণি, আমার একটা জিনিস মনে পড়ল। হিনিমিনির অঙ্ক করা শেষ হলে খাতাটা বাঘু নিয়েছিল দেখে দেখে টুকবে বলে। আমার মনে হচ্ছে এটা বাঘুর কাজ।”
হাতুশি সঙ্গে সঙ্গে শুঁড় দুলিয়ে বলল, “হ্যাঁ দিদিমণি। আমাদের অঙ্ক হয়ে গেলে আমি আর হিনিমিনি সব উত্তরগুলো মিলিয়েছিলাম। আর হিনিমিনি ছবি আঁকলে সেটা তো আমার নজরে আসত।”
হিনিমিনি লেজ ঝাঁকাতে ঝাঁকাতে বলল, “হ্যাঁ দিদিমণি, আমি কিচ্ছুটি করিনি। কিচ্ছু জানিনা। বাঘু খাতাটা চাইল টুকবে বলে। আমি দিয়ে দিলাম। তারপর ওই তো আমার আর ওর খাতা জমা দিয়ে দিল।”
শিয়ালনী চশমাটা নাকের ডগায় নামিয়ে চোখ দুটোকে লাটিমের মত ঘোরাতে ঘোরাতে খাতাটা দেখতে শুরু করল ভালো করে। তারপর বাঘুর খাতাটা নিল। সবশেষে গলা ঝাড়ল, “হামম। হামম। ঠিক। এই যে, বাঘুর খাতার হাতের লেখা আর এটার হাতের লেখা তো মিলে যাচ্ছে। আর হিনিমিনির হাতের লেখা তো অন্যরকম। ঠিকই বলছিস তোরা।” বলেই বিশাল একটা হুংকার ছাড়ল শিয়ালনী, “বাঘু! বাঘুউউউউউ!”
বাঘু আহ্লাদী আহ্লাদী মুখ করে বসেছিল। তার তো এতক্ষণ ভারি মজা লাগছিল হিনিমিনি বকুনি খাচ্ছে বলে। ব্যাপারটা যে ওর দিকেই ঘুরে যাবে সেটা আর বুঝতে পারেনি। এইবারে লেজ টেজ গুটিয়ে শুকনো মুখে বলল, “ইয়ে, মানে হ্যাঁ দিদিমণি!”
“হ্যাঁ দিদিমণি? অ্যাঁ? হিনিমিনির উত্তর সব ভুল করে দিয়ে খাতায় আবার আমার ছবি আঁকা হয়েছে? অ্যাঁ?”
“ইয়ে মানে… মানে হ্যাঁ দিদিমণি… মানে, না দিদিমণি… মানে ওই… মানে ইয়ে… মানে ঘুমোলে আপনাকে ভালো দেখায় কিনা…ইয়ে মানে মানুষের মত…”
“অ্যাঁ? কী বললি? ক্কী ক্কী বললি? আমি ঘুমোচ্ছিলাম? আমাকে মানুষের মত দেখাচ্ছিল?”, রাগের চোটে বনবন করে লেজ ঘুরছে শিয়ালনীর, “অ্যাঁ? আমার সঙ্গে ইয়ার্কি? আমার সঙ্গে চালাকি? তোর লেজ আমি কেটে দেবো।”
তাই শুনে সামনের থাবাদুটো জোড় করে ভেউভেউ করে কান্না জুড়ে দিল বাঘু, “না, দিদিমণি, না। আমার লেজ কাটবেন না। আমি লেজকাটা বাঘ হতে চাই না। আমার অত সুন্দর লেজ… উঁ উঁ উঁ…”।
কুমরু শুরু থেকেই চুপচাপ ছিল। এখন গলা খেলিয়ে গান ধরল-
লেজকাটা বাঘু রে-
কাঁদবি এবার নাকী সুরে।
তাই না শুনে বাঘু তো ভেউভেউ করে জোর কান্না জুড়ে দিল। শিয়ালনী এবার জোর বকুনি দিল সবাইকে, “থাম দেখি সব। পাঠশালা চলছে না চড়কের মেলা চলছে?” এ কাঁদে, ও গান গায়- ইয়ার্কি হচ্ছে? ইয়ার্কি? সব্বার লেজ আমি কেটে নেব।”
তাই শুনে বাঘু অত দুঃখের মধ্যেও মিটিমিটি করে চাইতে চাইতে শুধোল, “আপনার নিজের লেজটাও কেটে ফেলবেন, দিদিমণি?”
হাতুশি বলল, “না, না, সে ভারি বাজে ব্যাপার হবে।”
কুমরু নিজের লেজ এপাশ ওপাশ আছড়াল, “আপনার লেজ কাটবেন না, দিদিমণি। আপনি যখন লেজে ফিতের ফুল বেঁধে পাঠশালায় আসেন, কী সুন্দর লাগে!”
হিনিমিনি সায় দিল, “হ্যাঁ, হ্যাঁ। আমাদের লেজ যায় যাক। দিদিমণির লেজ আমরা কাটতে দেব না। দরকারে আমরা ‘লেজকাটা নিবারণ সমিতি’ গঠন করব।”
শিয়ালনী দেখল, ব্যাপারটা অন্যদিকে ঘুরে যাচ্ছে। তাই পেল্লায় এক ধমক দিল, “থাম দেখি সব। তখন থেকে প্যাঁ প্যাঁ প্যাঁ প্যাঁ করে গাজনের বাজনা বাজিয়েই যাচ্ছে।”
বকুনি খেয়ে সকলে মাথা নিচু করে দঁড়িয়ে গেল। শিয়ালনী বাজপড়ার মত আওয়াজ করে ডাকল, “বাঘু, বাঘুউউউউ! ইদিকে আয়।”
বাঘু তো কোনমতে মাটিতে থাবা ঘষটে ঘষটে গেল শিয়ালনীর কাছে। শিয়ালনীর চোখ রাগে লাল টসটস করছে, “বাঘু, এই তুইই যত নষ্টের গোড়া। লেজ আমি কারুর কাটি না। কিন্তু তোর লেজে আমি গিঁট বেঁধে দেব। আয় ইদিকে।”
বেচারি বাঘু আর কী করে? সুড়সুড় করে গেল শিয়ালনীর কাছে। শিয়ালনী এবার বাঘুর লেজে গিঁট দিতে শুরু করল। একের পর এক গিঁট দিচ্ছে তো দিয়েই যাচ্ছে। বাঘুর লেজ তো গুটিয়ে এইটুকুনি হয়ে গেল। তাই দেখে কুমরু ফূর্তিতে থাবাতালি (হাততালির মত আর কী!) দিয়ে উঠল-
বাঘুর লেজে পড়ল গিঁট
বাঘু এবার হবেন ঢিট।
হাতুশি বলল, “একদম জিলিপির প্যাঁচের মতো লাগছে!”
হিনিমিনি বলল, “বেশ হয়েছে। যেমন আমাকে শুধুশুধু বকুনি খাওয়ালি!”
শিয়ালনী বলল, “এবারে পাঠশালা ছুটি। তোরা বাড়ি যা। আর বাঘু, তোকে যা গিঁট দিয়েছি, নিজে তো খুলতে পারবি না। আর বাড়িতে গিয়ে মাকে সব সত্যি কথা বলবি। নইলে কিন্তু কালকে ফের লেজে গিঁট দিয়ে দেব।”
বেচারি বাঘু আর কী করে? হাঁউমাঁউ করে কান্না জুড়ল, “আমি আর কোনদিন দুষ্টুমি করবো না… আঁই আঁই আঁই আঁই (কান্না)… আমি মাকে গিয়ে সব সত্যি বলবো… আঁই আঁই আঁই আঁই (কান্না) …আমার লেজে কালকে আর গিঁট দেবেন না… আঁই আঁই আঁই আঁই (কান্না)…আর আমি কোনদিন আপনার ছবি আঁকবো না… আঁই আঁই আঁই আঁই… (কান্না)।”
………০………